পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

नश्रेनौछु Bఫి & তখন আপনার জীবনকে চারীর জীবন হইতে দরে সরাইয়া লইয়া-ডাক্তার যেমন সাংঘাতিক ব্যাধিগ্রস্ত রোগীকে দেখে, ভূপতি তেমনি করিয়া নিঃসম্পক লোকের মতো চারকে দরে হইতে দেখিল। ঐ একটি ক্ষীণশক্তি নারীর হদয় কী প্রবল সংসারের স্বারা চারি দিকে আক্লান্ত হইয়াছে। এমন লোক নাই যাহার কাছে সকল কথা ব্যন্ত করিতে পারে, এমন কথা নহে যাহা ব্যস্ত করা যায়, এমন সথান নাই যেখানে সমস্ত হৃদয় উদঘাটিত করিয়া দিয়া সে হাহাকার করিয়া উঠিতে পারে— অথচ এই অপ্রকাশ্য অপরিহার্য অপ্রতিবিধেয় প্রত্যহপঞ্জীভূত দুঃখভার বহন করিয়া নিতান্ত সহজ সম্পন্ন করিতে হইতেছে। ভূপতি তাহার শয়নগহে গিয়া দেখিল, জানালার গরাদে ধরিয়া অশ্রহীন অনিমেষ দটিতে চার বাহিরের দিকে চাহিয়া আছে। ভূপতি আস্তে আস্তে তাহার কাছে আসিয়া দাঁড়াইল—কিছ বলিল না, তাহার মাথার উপরে হাত রাখিল। বিংশ পরিচ্ছেদ বন্ধরা ভূপতিকে জিজ্ঞাসা করিল, “ব্যাপারখানা কী। এত ব্যস্ত কেন।” ভূপতি কহিল, “খবরের কাগজ—” বন্ধ। আবার খবরের কাগজ ? ভিটেমাটি খবরের কাগজে মড়ে গঙ্গার জলে ফেলতে হবে নাকি । • ভূপতি। না, আর নিজে কাগজ করছি নে। বন্ধ। তবে ? ভূপতি। মৈশরে একটা কাগজ বের হবে, আমাকে তার সম্পাদক করেছে। বন্ধ। বাড়িঘর ছেড়ে একেবারে মৈশরে যাবে? চারকে সঙ্গে নিয়ে যাচ্ছ ? ভূপতি। না, মামারা এখানে এসে থাকবেন। বন্ধ। সম্পাদক নেশা তোমার আর কিছুতেই ছটল না! ভূপতি। মানুষের যা-হোক-একটা-কিছু নেশা চাই। বিদায়কালে চার জিজ্ঞাসা করিল, “কবে আসবে।” ভূপতি কহিল, "তোমার যদি একলা বোধ হয়, আমাকে লিখো, আমি চলে আসব।” বলিয়া বিদায় লইয়া ভূপতি যখন বারের কাছ পৰ্যন্ত আসিয়া পেশছিল তখন হঠাৎ চার ছয়টিয়া আসিয়া তাহার হাত চাপিয়া ধরিল, কহিল, “আমাকে সঙ্গে নিয়ে যাও । আমাকে এখানে ফেলে রেখে যেয়ো না।” ভূপতি থমকিয়া দাঁড়াইয়া চারার মাখের দিকে চাহিয়া রহিল। মাটি শিথিল হইয়া ভূপতির হাত হইতে চারীর হাত খালিয়া আসিল। ভূপতি চাররে নিকট হইতে সরিয়া বারান্দায় আসিয়া দাঁড়াইল । - ভূপতি বঝিল, অমলের বিচ্ছেদসমতি যে বাড়িকে বেষ্টন করিয়া জুলিতেছে, চার দাবানলগ্রস্ত হরিণীর মতো সে বাড়ি পরিত্যাগ করিয়া পালাইতে চায় –কিন্তু, আমার কথা সে একবার ভাবিয়া দেখিল না ? আমি কোথায় পালাইব। যে শী হাদয়ের