পাতা:গল্পগুচ্ছ (দ্বিতীয় খণ্ড).djvu/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

मृत्र'एभ्रूण ○0● 5bल शहैझा छैर्मठेल । বৈশাখ মাসও আসিল । একদিন আদালত হইতে সকাল-সকাল ফিরিয়া আসিয়া খবর পাইলাম, বৈশাখের উদ্দীপনা আসিয়াছে, আমার স্মী তাঁহা পাইয়াছে। ধীরে ধীরে নিঃশব্দপদে অন্তঃপারে গেলাম। শয়নঘরে উকি মারিয়া দেখিলাম, আমার সন্ত্রী কড়ায় আগমন করিয়া একটা বই পড়াইতেছে। দেয়ালের আয়নায় নিঝরিণীর মুখের যে প্রতিবিম্ব দেখা যাইতেছে তাহাতে পাট বাঝা গেল, কিছ পবে সে অশ্রবষণ করিয়া লইয়াছে। • মনে আনন্দ হইল, কিন্তু সেইসঙ্গে একট দয়াও হইল। আহা, বেচারার গল্পটি উদ্দীপনায় বাহির হয় নাই। কিন্তু এই সামান্য ব্যাপারে এত দুঃখ! সীলোকের অহংকারে এত অপেই ঘা পড়ে। আবার আমি নিঃশব্দপদে ফিরিয়া গেলাম। উদ্দীপনা-আপিস হইতে নগদ দাম দিয়া একটা কাগজ কিনিয়া আনাইলাম। আমার লেখা বাহির হইয়াছে কি না দেখিবার জন্য কাগজ খলিলাম। সচিপত্রে দেখিলাম, পরস্কারযোগ্য গল্পটির নাম বিক্রমনারায়ণ নহে, তাহার নাম “ননদিনী’, এবং তাহার রচয়িতার নাম—এ কী ! এ যে নিঝরিণী रझदौ ! বাংলাদেশে আমার সন্ত্রী ছাড়া আর কাহারও নাম নিঝরিণী আছে কি। গল্পটি খলিয়া পড়িলাম। দেখিলাম, নিঝরের সেই হতভাগিনী জাঠতুত বোনের বক্তাতটিই ডালপালা দিয়া বর্ণিত। একেবারে ঘরের কথা-সাদা ভাষা, কিন্তু সমস্ত ছবির মতো চোখে পড়ে এবং চক্ষ জলে ভরিয়া যায়। এ নিঝরিণী যে আমারই নিবার তাহাতে भएअश्। नाइँ । - তখন আমার শয়নঘরের সেই দাহদশ্য এবং ব্যথিত রমণীর সেই লান মাখ অনেকক্ষণ চুপ করিয়া বসিয়া বসিয়া ভাবিতে লাগিলাম। - রাত্রে শইতে আসিয়া সন্ত্রীকে বলিলাম, “নিঝর, ষে খাতায় তোমার লেখাগুলি আছে সেটা কোথায় ।” নিঝরিণী কহিল, “কেন, সে লইয়া তুমি কী করবে।” আমি কহিলাম, “আমি ছাপিতে দিব।” নিঝরিণী। আহা, আর ঠাট্টা করিতে হইবে না। আমি। না, ঠাট্টা করিতেছি না। সত্যই ছাপিতে দিব। নিঝরিণী। সে কোথায় গেছে, আমি জানি না। আমি কিছ: জেদের সঙ্গেই বলিলাম, “না নিবার, সে কিছতেই হইবে না। বলো, সেটা কোথায় আছে।” - নিঝরিণী কহিল, “সত্যই সেটা নাই।” अभि । रकन, कौं श्ञ । নিঝরিণী। সে আমি পাড়াইয়া ফেলিয়াছি। আমি চমকিয়া উঠিয়া কহিলাম, “অ্যাঁ, সে কী! কবে পড়াইলে।" নিঝরিণী। আজই পড়াইয়াছি। আমি কি জানি না যে, আমার লেখা ছাই লেখা। স্মীলোকের রচনা বলিয়া লোকে মিথ্যা করিয়া প্রশংসা করে। .