পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সমাপিত ૨૦૧ আর পিপাসা মিটিল না। এখন থাকিয়া থাকিয়া মনে কেবল উদয় হয়, ‘আহা, অমকে সময়টিতে যদি এমন করিতাম, অমুক প্রশ্নের যদি এই উত্তর দিতাম, তখন যদি এমন হইত।’ অপবর মনে এই বলিয়া ক্ষোভ জন্মিয়াছিল যে, মন্ময়ী আমার সম্পণে পরিচয় পায় নাই। মন্ময়ীও আজ বসিয়া বসিয়া ভাবে, তিনি আমাকে কী মনে করিলেন, কী বঝিয়া গেলেন। অপব তাহাকে যে দুরন্ত চপল অবিবেচক নিবোধ বালিকা বলিয়া জানিল, পরিপািণ হািদয়ামতধারায় প্রেমপিপাসা মিটাইতে সক্ষম রমণী বলিয়া পরিচয় পাইল না, ইহাতেই সে পরিতাপে লক্ষজায় ধিককারে পীড়িত হইতে লাগিল। চুম্বনের এবং সোহাগের সে ঋণগুলি অপরের মাথার বালিশের উপর পরিশোধ করিতে লাগিল । এমনি ভাবে কতদিন কাটিল । অপব বলিয়া গিয়াছিল, ‘তুমি চিঠি না লিখিলে আমি বাড়ি ফিরিব না।’ মন্ময়ী তাহাই স্মরণ করিয়া একদিন ঘরে বার রন্ধ করিয়া চিঠি লিখিতে বসিল । অপব তাহাকে যে সোনালি-পাড়-দেওয়া রঙিন কাগজ দিয়াছিল তাহাই বাহির কবিয বসিয়া ভাবিতে লাগিল। খুব যত্ন করিয়া ধরিয়া, লাইন বাঁকা করিয়া অঙ্গলিতে কালি মাখিয়া অক্ষর ছোটো বড়ো করিয়া উপরে কোনো সবোধন না করিয়া একেবারে লিখিল, “তুমি তামাকে চিঠি লিখ না কেন । তুমি কেমন আছ, আর তুমি বাড়ি এসো। আর কী বলিলার অাছে কিছুই ভাবিয়া পাইল না। আসল বক্তব্য কথা সবগুলিই বলা হইয়া গৈল বটে, কিন্তু মনুষ্যসমাজে মনের ভাব আব-একট বাহুল্য করিয়া প্রকাশ করা অবশ্যক। মন্ময়ীও তাহা বুঝিল ; এইজন্য আরও অনেকক্ষণ ভাবিয়া ভাবিয়া আর কয়েকটি নতন কথা যোগ করিয়া দিল— এইবার তুমি আমাকে চিঠি লিখো, অব কেমন আছ লিখো, আর বাড়ি এসো, মা ভালো আছেন, বিশ পটি ভালো আছে, তাল আমাদের কালো গৈারর বছর হয়েছে। এই বলিয়া চিঠি শেষ করিল। চিঠি লেফাফাস মডিয়া প্রত্যেক অক্ষরটির উপর একটি ফোঁটা করিয়া মনের ভালোবাসা DD DBS BBBS BBB BB BBBBBB BBS BBBB BDD DBS BBB BB BBBS অক্ষর সছেদি এবং বানান শািন্ধ হইল না। BBBBBBB uBSB BBuS BBB BB BBS BBB BBBBB BBBB BBB BB BB BBS BB BBu BBB BBBBBB DuB BB BB BBB BuB এ : ? লিখকসত দাসীল হাত দিয়া ডাকে পাঠাইয়া দিল । ললা বাঙ্গলো, এ পরে কোনো ফল হইল না, অপব বাড়ি আসিল না। অষ্টম পরিচ্ছেদ মা দেখিলেন, ছয়টি হইল তব অপব’ বাড়ি আসিল না। মনে করিলেন এখনও সে তাঁহাব উপর রাগ করিয়া আছে। মন্ময়ীও স্থির করিল, অপব তাহার উপর বিরক্ত হইয়া আছে, তখন আপনার চিঠিখানি মনে করিয়া সে লক্ষজায় মরিয়া যাইতে লাগিল। সে চিঠিখানা যে কত তুচ্ছ, তাহাতে যে কোনো কথাই লেখা হয় নাই, তাহার মনের ভাব যে কিছুই প্রকাশ করা হস নাই, সেটা পাঠ করিয়া অপব যে মন্ময়ীকে আরও ছেলেমানষে মনে করিতেছে,