পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミやミ গল্পগুচ্ছ ক্ষীরোদার ফাঁসির হুকুম দেওয়ার দই-এক দিন পরে ভোজনবিলাসী মোহিত জেলখানার বাগান হইতেই মনোমত তরিতরকারি সংগ্ৰহ করিতে গিয়াছেন। ক্ষীরোদা তাহার পতিত জীবনের সমস্ত অপরাধ সমরণ করিয়া অনন্তপত হইয়াছে কি না জানিবার জন্য তাঁহার কৌতুহল হইল। বন্দিনীশালায় প্রবেশ করিলেন। দর হইতে খুব একটা কলহের ধবনি শুনিতে পাইতেছিলেন। ঘরে ঢাকিয়া দেখিলেন, ক্ষীরোদা প্রহরীর সহিত ভারি ঝগড়া বাধাইয়াছে। মোহিত মনে মনে হাসিলেন; ভাবিলেন, সত্ৰীলোকের স্বভাবই এমনি বটে! মৃত্যু সন্নিকট, তব ঝগড়া করিতে ছাড়িবে না। ইহারা বোধ করি যমালয়ে গিয়া যমদ্বতের সহিত কোন্দল করে। মোহিত ভাবিলেন, যথোচিত ভৎসনা ও উপদেশ বারা এখনো ইহার অন্তরে অনন্তাপের উদ্রেক করা উচিত। সেই সাধ উদ্দেশ্যে তিনি ক্ষীরোদার নিকটবতী হইবামাত্র ক্ষীরোদা সকরণস্বরে করজোড়ে কহিল, “ওগো জজবাব দোহাই তোমার ! উহাকে বলো, আমার আংটি ফিরাইয়া দেয় ।” প্রশ্ন করিয়া জানিলেন, ক্ষীরোদার মাথার চুলের মধ্যে একটি আংটি লকোনো ছিল— দৈবাৎ প্রহরীর চোখে পড়াতে সে সেটি কাড়িয়া লইয়াছে। মোহিত আবার মনে মনে হাসিলেন। আজ বাদে কাল ফাঁসিকাঠে আরোহণ করিবে, তব আংটির মায়া ছাড়িতে পারে না; গহনাই মেয়েদের সবসব । প্রহরীকে কহিলেন, “কই, আংটি দেখি।”— প্রহরী তাঁহার হাতে আংটি দিল । তিনি হঠাৎ যেন জলন্ত অঙ্গার হাতে লইলেন, এমনি চমকিয়া উঠিলেন । আংটির এক দিকে হাতির দাঁতের উপর তেলের রঙে অঙ্কিা একটি গম্বফশমশ্রনশোভিত যবেকের অতি ক্ষুদ্র ছবি বসানো আছে এবং অপর দিকে সোনার গায়ে খোদ রহিয়াছে—বিনোদচন্দ্র। তখন মোহিত আংটি হইতে মুখ তুলিয়া একবার ক্ষীরোদার মুখের দিকে ভালো করিয়া চাহিলেন। চব্বিশ বৎসর পবেকার আর-একটি অশ্রুসজল প্রীতিসকোমল সলজশঙ্কিত মখ মনে পড়িল; সে মাখের সহিত ইহার সাদশ্য আছে। মোহিত আর-একবার সোনার আংটির দিকে চাহিলেন এবং তাহার পরে যখন ধীরে ধীরে মুখ তুলিলেন তখন তাঁহার সম্মুখে কলঙ্কিনী পতিতা রমণী একটি ཧྥུ་རྒྱུ་ང་ལ་ཨ་མ་ཀརྨ་བཟ ཅེས་དག ཨ་ཙ་ཟ ཕར་ལ༢ཀ ཨཕྱ་མ་༣ ཙ་བཱ། བྱས་པ་ན་ཟ “ཅེས་ ! পৌষ ১৩০১