পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪০২

রাজটিকা రిషిపి লাবণ্য আভ্যন্তরিক হাস্যের সমস্ত আভাস মুখ হইতে সম্পণে দরে করিয়া দিয়া উদবিগুনভাবে থাকিয়া থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিতে লাগিল, “আজ তোমার কী হইয়াছে বলো দেখি ! অসুখ করে নাই তো ?” w নবেন্দ কায়ক্লেশে হাসিয়া কোনোমতে একটা দেশকালপাত্রোচিত উত্তর করিল; কহিল, "তোমার এলেকার মধ্যে আবার অসুখ কিসের । তুমি আমার ধন্বন্তরিনী।” কিন্তু, মহেতেমধ্যেই হাসি মিলাইয়া গেল এবং সে ভাবিতে লাগিল, “একে আমি কনগ্রেসে চাঁদা দিলাম, কাগজে কড়া চিঠি লিখিলাম, তাহার উপরে ম্যাজিস্ট্রেট নিজে আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে আসিলেন, আমি তাঁহাকে বসাইয়া রাখলাম, না জানি কী মনে করিতেছেন!” “হা তাত, হা পণেন্দ্যশেখর! আমি যাহা নই ভাগ্যের বিপাকে গোলেমালে তাহাই প্রতিপন্ন হইলাম।” পরদিন সাজগোজ করিয়া ঘড়ির চেন কলাইয়া মস্ত একটা পাগড়ি পরিয়া নবেন্দ বাহির হইল। লাবণ্য জিজ্ঞাসা করিল, “যাও কোথায় ।” নবেন্দ কহিল, “একটা বিশেষ কাজ আছে—” লাবণ্য কিছু বলিল না। সাহেবের দরজার কাছে কাড বাহির করিবামাত্র আরদালি কহিল, “এখন দেখা হইবে না।" নবেন্দর পকেট হইতে দুইটা টাকা বাহির করিল। আরদালি সংক্ষিপত সেলাম করিয়া কহিল, “আমরা পাঁচজন আছি।” নবেন্দ তৎক্ষণাৎ দশ টাকার এক নোট বাহির করিয়া দিলেন । সাহেবের নিকট তলব পড়িল । সাহেব তখন চটিজতা ও মনিংগেীন পরিয়া লেখাপড়ার কাজে নিযন্তে ছিলেন। নবেন্দ একটা সেলাম করিলেন, ম্যাজিস্ট্রেট তাঁহাকে অগলিসংকেতে বসিবার অনুমতি করিয়া কাগজ হইতে মুখ না তুলিয়া কহিলেন, "কী বলিবার আছে, বাবা।” নবেন্দ ঘড়ির চেন নাড়িতে নাড়িতে বিনীত কম্পিত স্বরে বলিল, “কাল আপনি অনুগ্রহ করিয়া আমার সহিত সাক্ষাৎ করিতে গিয়াছিলেন, কিন্তু—” সাহেব ভ্ৰ কুষ্ঠিত করিয়া একটা চোখ কাগজ হইতে তুলিয়া বলিলেন, “সাক্ষাৎ *#re forrison ! Babu. what nonsense are vou talking!" নবেন্দ “Bog vour pardon! ভূল হইয়াছে, গোল হইয়াছে” করিতে করিতে ঘমালত কলেবরে কোনোমতে বাহির হইয়া আসিলেন। এবং সে রাত্রে বিছানায় শনইয়া কোনো দরঙ্গবনশ্রত মন্ত্রের ন্যায় একটা বাক্য থাকিয়া থাকিয়া তাঁহার কানে yif» II ergw| *f*r* *tfsrat, “Babu, v ou arc a howling idiot!” পথে আসিতে আসিতে তাঁহার মনে ধাবণা হইল যে, মাক্তিসেট যে তাঁহার সহিত দেখা করিতে আসিয়াছিল সে কথাটা কেবল রাগ করিয়া সে অস্বীকার করিল। মনে মনে কহিলেন, "ধরণ বিধা হও!” কিন্তু ধরণ তাঁহার অনুরোধ রক্ষা না করাতে নিবি ঘো বাড়ি আসিয়া পেপছিলেন।