পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মণিহারা #. 80S রাগিয়া উঠিবে সামান্য কারণে, আর স্মীলোক শ্রাবণমেঘের মতো আশ্রপোত করিতে থাকিবে বিনা উপলক্ষে, বিধাতা এইরুপ বন্দোবস্ত করিয়াছিলেন, কিন্তু সে আর টে“কে না । 鸭 ফণিভূষণ অপরাধিনী সাঁকে লক্ষ্য করিয়া মনে মনে কহিল, এই যদি তোমার বিচার হয় তবে এইরুপই হউক, আমার কতব্য আমি করিয়া যাইব ।’ আরও শতাব্দীপাঁচছয় পরে যখন কেবল অধ্যাত্মশক্তিতে জগৎ চলিবে তখন বাহার জন্মগ্রহণ করা উচিত ছিল সেই ভাবীৰগের ফণিভূষণ উনবিংশ শতাব্দীতে অবতীর্ণ হইয়া সেই আদিযুগের স্ত্রীলোককে বিবাহ করিয়া বসিয়াছে, শাস্ট্যে যাহার বন্ধিকে প্রলয়ংকরী বলিয়া থাকে। ফণিভূষণ স্মীকে এক-অক্ষর পত্র লিখিল না এবং মনে-মনে প্রতিজ্ঞা করিল, এ সম্ভবন্ধে সন্ত্রীর কাছে কখনও সে কোনো কথার উল্লেখ করিবে না। কী ভীষণ দণ্ডবিধি । দিনদশেক পরে কোনোমতে যথোপযন্ত টাকা সংগ্ৰহ করিয়া বিপদত্তেীর্ণ ফণিভূষণ বাড়ি আসিয়া উপস্থিত হইল। সে জানিত, বাপের বাড়িতে গহনাপন্ন রাখিয়া এতদিনে মণিমালিকা ঘরে ফিরিয়া আসিয়াছে। সেদিনকার দীন প্রাথীভাব ত্যাগ করিয়া কৃতকায" কৃতীপরাষ স্ত্রীর কাছে দেখা দিলে মণি যে কিরাপ লজিত এবং অনাবশ্যক প্রয়াসের জনা কিষ্টিং অনন্তপ্ত হইবে, ইহাই কল্পনা করিতে করিতে ফণিভূষণ অন্তঃপরে শয়নাগারের বারের কাছে আসিয়া উপনীত হইল । দেখিল, স্বার রন্ধ। তালা ভাঙিয়া ঘরে ঢাকিয়া দেখিল, ঘর শান্য। কোণে লোহার সিন্দকে খোলা পড়িয়া আছে, তাহাতে গহনাপত্রের চিহ্নমাত নাই। স্বামীর বকের মধ্যে ধক করিয়া একটা ঘা লাগিল! মনে হইল সংসার উদ্দেশ্যহীন এবং ভালোবাসা ও বাণিজ্য-ব্যাবসা সমস্তই ব্যথ । আমরা এই সংসারপিঞ্জরের প্রত্যেক শলাকার উপরে প্রাণপাত করিতে বসিয়াছি, কিন্তু তাহার ভিতরে পাখি নাই, রাখিলেও সে থাকে না। তবে অহরহ হৃদয়খনির রক্তমানিক ও আশ্রজেলের মতোমালা দিয়া কী সাঙ্গাইতে বসিয়াছি। এই চিরজীবনের সব স্বজড়ানো শনা সংসার-খাঁচাটা ফণিভূষণ মনে-মনে পদাঘাত করিয়া অতিদারে ফেলিয়া দিল। ফণিভূষণ স্মীর সবন্ধে কোনোরাপ চেষ্টা করিতে চাহিল না। মনে করিল, যদি ইচ্ছা হয় তো ফিরিয়া আসিবে। বন্ধ রাহমল গোমস্তা আসিয়া কহিল, চুপ করিয়া থাকিলে কী হইবে, কলীবধরে খবর লওয়া চাই তো। এই বলিয়া মণিমালিকার পিত্তালয়ে লোক পাঠাইয়া দিল। সেখান হইতে খবর আসিল, মণি অথবা মধ্য এ পর্যন্ত সেখানে পৌঁছে নাই । তখন চারি দিকে খোঁজ পড়িয়া গেল। নদীতীরে-তীরে প্রশ্ন করিতে করিতে লোক ছটিল। মধর আল্লাস করিতে পালিসে খবর দেওয়া হইল—কোন নৌকা, নীকার মাঝি কে, কোন পথে তাহারা কোথায় চজিয়া গেল, তাহার কোনো সন্ধান 'भर्गब्जक ना । মধ্যে বারোয়ারির যাত্রা আরম্ভ হইয়াছে। মযলধারায় ব্যষ্টিপাতশঙ্গে যাত্রার গানের সরে