পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দটিদান B0s স্বামী কিছু কুষ্ঠিত হইয়া বলিলেন, “চোখে অস্ত করা আবশ্যক হইয়াছে।” আমি একটা রাগের ভান করিয়া কহিলাম, “অস্ম করিতে হইবে, সে তো তুমি জানিতে কিন্তু প্রথম হইতেই সে কথা আমার কাছে গোপন করিয়া গেছ। তুমি কি মনে কর, আমি ভয় করি।” স্বামীর লন্জা দরে হইল; তিনি বলিলেন, “চোখে অসন্ন করিতে হইবে শুনিলে ভয় না করে পরেষের মধ্যে এমন বীর কয়জন আছে।” আমি ঠাট্টা করিয়া বলিলাম, “পরেষের বীরত্ব কেবল সীর কাছে।” স্বামী তৎক্ষণাৎ লানগম্ভীর হইয়া কহিলেন, “সে কথা ঠিক। পরেষের কেবল অহংকার সার।” আমি তাঁহার গান্ডীয উড়াইয়া দিয়া কহিলাম, “অহংকারেও বাকি তোমরা মেয়েদের সঙ্গে পার ? তাহাতেও আমাদের জিত ।” ইতিমধ্যে দাদা আসিলে আমি দাদাকে বিরলে ডাকিয়া বলিলাম, “দাদা, আপনার সেই ডাক্তারের ব্যবস্থামত চলিয়া এতদিন আমার চোখ বেশ ভালোই হইতেছিল, একদিন ভ্রমক্সমে খাইবার ওযন্ধটা চক্ষে লেপন করিয়া তাহার পর হইতে চোখ যায়-যায় হইয়া উঠিয়াছে। আমার স্বামী বলিতেছেন চোখে আসা করিতে হইবে।” দাদা বলিলেন, “আমি ভাবিতেছিলাম, তোর স্বামীর চিকিৎসাই চলিতেছে, তাই আরও আমি রাগ করিয়া এতদিন আসি নাই।” আমি বলিলাম, “না, আমি গোপনে সেই ডাক্তারের ব্যবসথামতই চলিতেছিলাম, স্বামীকে জানাই নাই, পাছে তিনি রাগ করেন।” সত্ৰীজন্ম গ্রহণ করিলে এত মিথ্যাও বলিতে হয় ! দাদার মনেও কষ্ট দিতে পারি না, স্বামীর যশও ক্ষয় করা চলে না। মা হইয়া কোলের শিশকে ভুলাইতে হয়, সী হইয়া শিশরে বাপকে ভুলাইতে হয়— মেয়েদের এত ছলনার প্রয়োজন । ছলনার ফল হইল এই যে, অন্ধ হইবার পবে আমার দাদা এবং স্বামীর মিলন দেখিতে পাইলাম। দাদা ভাবিলেন, গোপনচিকিৎসা করিতে গিয়া এই দীঘটনা ঘটিল; স্বামী ভাবিলেন, গোড়ায় আমার দাদার পরামশ শুনিলেই ভালো হইত। এই ভাবিয়া দই অনন্তপ্ত হাদয় ভিতরে ভিতরে ক্ষমাপ্রাথী হইয়া পরস্পরের অত্যন্ত নিকটবতী হইল। স্বামী দাদার পরামশ লইতে লাগিলেন, দাদাও বিনীতভাবে সকল বিষয়ে আমার স্বামীর মতের প্রতিই নিভার প্রকাশ করিলেন। অবশেষে উভয়ের পরামর্শক্রমে একদিন একজন ইংরাজ ডাক্তার আসিয়া আমার বাম চোখে অক্ষাঘাত করিল। দবােল চক্ষ সে আঘাত কাটাইয়া উঠিতে পারিল না, তাহার ক্ষীণ দীপিতটুকু হঠাৎ নিবিয়া গেল। তাহার পরে বাকি চোখটাও দিনে দিনে অল্পে অপে অন্ধকারে আবত হইয়া গেল। বাল্যকালে শভেদটির দিনে যে চন্দনচচিত তরশেমতি আমাব সম্মখে প্রথম প্রকাশিত হইয়াছিল তাহার উপরে চিরকালের মতো পদ পড়িয়া গেল। একদিন স্বামী আমার শয্যাপাশেক আসিয়া কহিলেন, “তোমার কাছে আর মিথ্যা वफ़ाई कब्रिय मा, ठाधाग्न फ्राथमप्लेि आधिझे मच्छे कब्रिज्ञाहि ।” দেখিলাম, তাঁহার কণ্ঠস্বরে আশ্রজেল ভরিয়া আসিয়াছে। আমি দই হাতে তাঁহার प्रक्रिणशम्ठ कान्ब्रिा कहिलाभ, "रवण कब्रिग्नाइ, खामाग्न जिमिन छूधि लट्टेग्नाइ । छायिन्ना