পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8२२ গল্পগুচ্ছ হেমাঙ্গিনী মাথা নিচু করিয়া ধীরে ধীরে কহিল, "দিদি, তোমার আশীবাদ লইতে আসিয়াছি।” প্রথম একমাহত কাঠের মতো হইয়া পরক্ষণেই উঠিয়া বসিলাম, কহিলাম, "কেন আশীবাদ করিব না, বোন ! তোমার কী অপরাধ।” হেমাঙ্গিনী তাহার সমিষ্ট উচ্চকণ্ঠে হাসিয়া উঠিল; কহিল, "অপরাধ ! তুমি বিবাহ করিলে অপরাধ হয় না আর আমি করিলেই অপরাধ ?” হেমাঙ্গিনীকে জড়াইয়া ধরিয়া আমিও হাসিলাম। মনে-মনে কহিলাম, জগতে আমার প্রাথনাই কি চড়ান্ত। তাঁহার ইচ্ছাই কি শেষ নহে। যে আঘাত পড়িয়াছে সে আমার মাথার উপরেই পড়কে, কিন্তু হৃদয়ের মধ্যে যেখানে আমার ধম, আমার বিশ্বাস আছে, সেখানে পড়িতে দিব না। আমি যেমন ছিলাম তেমনি থাকিব । হেমাঙ্গিনী আমার পায়ের কাছে পড়িয়া আমার পায়ের ধলা লইল। আমি কহিলাম. “তুমি চিরসৌভাগ্যবতী, চিরসখিনী হও ।” হেমাঙ্গিনী কহিল, “কেবল আশীবাদ নয়, তোমার সতীর হস্তে আমাকে এবং তোমার ভগ্নীপতিকে বরণ করিয়া লইতে হইবে। তুমি তাঁহাকে লন্জা করিলে চলিবে না। যদি অনুমতি কর তাঁহাকে অন্তঃপরে লইয়া আসি।” আমি কহিলাম, “আনো।” কিছুক্ষণ পরে আমার ঘরে নতন পদশব্দ প্রবেশ করিল। সস্নেহ প্রশন শুনিলাম. “ভালো আছিস, কুম ?” আমি ত্ৰসত বিছানা ছাড়িয়া উঠিয়া পায়ের কাছে প্রণাম করিয়া কহিলাম, “দাদা !” হেমাঙ্গিনী কহিল, “দাদা কিসের । কান মলিয়া দাও, ও তোমার ছোটো ভগ্নীপতি।” তখন সমস্ত বুঝিলাম। আমি জানিতাম, দাদার প্রতিজ্ঞা ছিল বিবাহ করিবেন না; মা নাই, তাঁহাকে অননয় করিয়া বিবাহ করাইবার কেহ ছিল না। এবার আমিই তাঁহার বিবাহ দিলাম। দুই চক্ষ বাহিয়া হহে করিয়া জল ঝরিয়া পড়িতে লাগিল, কিছতেই থামাইতে পারি না। দাদা ধীরে ধীরে আমার চুলের মধ্যে হাত বলাইয়া দিতে লাগিলেন ; হেমাঙ্গিনী আমাকে জড়াইয়া ধরিয়া কেবল হাসিতে লাগিল । রাত্রে ঘমে হইতেছিল না ; আমি উৎকণ্ঠিতচিত্তে স্বামীর প্রত্যাগমন প্রত্যাশা করিতেছিলাম। লন্জা এবং নৈরাশ্য তিনি কিরাপভাবে সবরণ করবেন, তাহা আমি সিথর করিতে পারিতেছিলাম না। অনেক রাত্রে অতি ধীরে বার খলিল। আমি চমকিয়া উঠিয়া বসিলাম। আমার স্বামীর পদশব্দ। বক্ষের মধ্যে হাংপিণ্ড আছাড় খাইতে লাগিল। তিনি বিছানার মধ্যে আসিয়া আমার হাত ধরিয়া কহিলেন, “তোমার দাদা আমাকে রক্ষা করিয়াছেন । আমি ক্ষণকালের মোহে পড়িয়া মরিতে যাইতেছিলাম। সেদিন আমি যখন নৌকায় উঠিয়াছিলাম, আমার বকের মধ্যে যে কণী পাথর চাপিয়াছিল তাহা অন্তষামী জানেন; যখন নদীর মধ্যে ঝড়ে পড়িয়াছিলাম তখন প্রাগের ভয়ও হইতেছিল, সেইসঙ্গে ভাবিতেছিলাম, যদি ডুবিয়া যাই তাহা হইলেই আমার উদ্ধার হয়। মখরগঞ্জে পেপছিয়া শুনিলাম, তাহার পর্বদিনেই তোমার দাদার সঙ্গো হেমাঙ্গিনীর বিবাহ झद्देझा काट्छ । कौ लब्छाम्न ७व१ कौ ठान्टन्म नौकाम्न शीव्रम्नाइिलाग्न ठाझा बाँजाउ