পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ 8go নস্টনীড় প্রথম পরিচ্ছেদ ভূপতির কাজ করিবার কোনো দরকার ছিল না। তাঁহার টাকা যথেষ্ট ছিল, এবং দেশটাও গরম। কিন্তু গ্রহবশত তিনি কাজের লোক হইয়া জন্মগ্রহণ করিয়াছিলেন। এইজন্য তাঁহাকে একটা ইংরাজি খবরের কাগজ বাহির করিতে হইল। ইহার পরে সময়ের দীর্ঘতার জন্য তাঁহাকে আর বিলাপ করিতে হয় নাই । ছেলেবেলা হইতে তাঁর ইংরাজি লিখিবার এবং বস্তৃতা দিবার শখ ছিল। কোনোপ্রকার প্রয়োজন না থাকিলেও ইংরাজি খবরের কাগজে তিনি চিঠি লিখিতেন, এবং বক্তব্য না থাকিলেও সভাপথলে দ্য কথা না বলিয়া ছাড়িতেন না। তাঁহার মতো ধনী লোককে দলে পাইবার জন্য রাষ্ট্রনৈতিক দলপতিরা অজস্র সতুতিবাদ করাতে নিজের ইংরাজি রচনাশন্তি সম্বন্ধে তাঁহার ধারণা যথেষ্ট পরিপন্ট হইয়া উঠিয়াছিল। অবশেষে তাঁহার উকিল শ্যালক উমাপতি ওকালতি-ব্যবসায়ে হতোদ্যম হইয়া ভগিনীপতিকে কহিল, "ভূপতি, তুমি একটা ইংরাজি খবরের কাগজ বাহির করো। তোমার যেরকম অসাধারণ” ইত্যাদি । ভূপতি উৎসাহিত হইয়া উঠিল । পরের কাগজে পত্র প্রকাশ করিয়া গৌরব নাই, নিজের কাগজে বাধীন কলমটাকে পরোদমে ছটাইতে পারবে। শ্যালককে সহকারী কবিয়া নিতান্ত অল্পবয়সেই ভূপতি সম্পাদকের গদিতে আরোহণ করিল। অল্পবয়সে সম্পপাদকি নেশা এবং রাজনৈতিক নেশা অত্যন্ত জোর করিয়া ধরে । ভূপতিকে মাতাইয়া তুলিবার লোকও ছিল অনেক। এইরপে সে যতদিন কাগজ লইয়া ভোর হইয়া ছিল ততদিনে তাহার বালিকা বধ চারুলতা ধীরে ধীরে যৌবনে পদাপণ করিল। খবরের কাগজের সম্পাদক এই মস্ত খবরটি ভালো করিয়া টের পাইল না। ভারত-গবমে’স্টের সীমান্তনীতি ক্রমশই সফীত হইয়া সংযমের বন্ধন বিদীণ করিবার দিকে যাইতেছে, ইহাই তাহার প্রধান লক্ষেব বিষয় ছিল । ধনীগহে চারলেতার কোনো কম ছিল না। ফলপরিণামহীন ফলের মতো পরিপণ অনাবশ্যকতার মধ্যে পরিচফট হইয়া উঠাই তাহার চেষ্টাশন্য দীঘ দিনরাতির একমাত্র কাজ ছিল। তাহার কোনো অভাব ছিল না। এমন অবস্থায় সংযোগ পাইলে বধ স্বামীকে লইয়া অত্যন্ত বাড়াবাড়ি করিয়া থাকে, দাম্পত্যলীলার সীমান্তনীতি সংসারের সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করিয়া সময় হইতে অসময়ে এবং বিহিত হইতে অবিহিতে গিয়া উত্তীণ হয়। চারুলতার সে সযোগ ༈་། གླུ། གླ་ཨ་ཐབ ཨ་འཐག ཁ༥ ཐia" ལ་ཁ་ཟ ཨ་སཝ་ཟ ཝག ཨ་ཐ་༣ ལྷག་པར་ར་ য়াছিল। যাবতী পত্রীর প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করিয়া কোনো আত্মীয়া তাহাকে ভৎসনা করিলে ভূপতি একবার সচেতন হইয়া কহিল, “তাই তো, চায়র একজন কেউ সঙ্গিনী থাকা উচিত, ও বেচারার কিছই করিবার নাই।”