পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তারাপ্রসনের কীতি (రిపి মেম একখানা বই বাহির করিয়াছে কিন্তু তাহাতে বেদান্তপ্রভাকরের কোনো উল্লেখ করে নাই।” দাক্ষায়ণী বলিলেন, “আহা, ও-সব কথা নয়— আর কী আনলে বলো-না।” তারাপ্রসন্ন বলিলেন, “কতকগুলো চিঠি আছে।” তখন দাক্ষায়ণী স্পষ্ট করিয়া বলিলেন, “টাকা কত আনলে।” তারাপ্রসন্ন বলিলেন, “বিধভূষণের কাছে পাঁচ টাকা হাওলাত করে এনেছি।” অবশেষে দাক্ষায়ণী যখন সমস্ত বক্তান্ত শুনিলেন তখন পথিবীর সাধতা সম্বন্ধে তাঁহার সমস্ত বিশ্বাস বিপর্যস্ত হইয়া গেল। নিশ্চয় দোকানদারেরা তাঁহার স্বামীকে ঠকাইয়াছে এবং বাংলাদেশের সমস্ত ক্লেতা ষড়যন্ত্র করিয়া দোকানদারদের ঠকাইয়াছে। অবশেষে সহসা মনে হইল, যাহাকে নিজের প্রতিনিধি করিয়া স্বামীর সহিত পাঠাইয়াছিলেন সেই বিধভূষণ দোকানদারদের সহিত তলে তলে যোগ দিয়াছে— এবং যত বেলা যাইতে লাগিল ততই তিনি পরিস্কার বঝিতে পারিলেন, ও-পাড়ার বিশ্বম্ভর চাটভো তাঁহার স্বামীর পরম শহর নিশ্চয়ই এ-সমস্ত তাঁহারই চক্রান্তে ঘটিয়াছে। তাই বটে, যেদিন তাঁহার স্বামী কলিকাতায় যাত্রা করেন তাহার দই দিন পরেই বিশ্বকভরকে বটতলায় দাঁড়াইয়া কানাই পালের সহিত কথা কহিতে দেখা গিয়াছিল-- কিন্তু বিশ্বম্ভর মাঝে মাঝে প্রায়ই কানাই পালের সহিত কথাবাত কয় না কি, এইজন্য তখন কিছ মনে হয নাই, এখন সমস্ত জলের মতো বুঝা যাইতেছে। এ দিকে দক্ষায়ণীর সাংসারিক দভাবনা রুমেই বাড়িতে লাগিল। যখন অথ’সংগ্রহের এই একমাত্র সহজ উপায় নিষ্ফল হইল তখন আপনার কন্যাপ্রসবের অপরাধ তাঁহাকে চতুগণ দগধ করিতে লাগিল। বিশ্ববভর বিধভূষণ অথবা বাংলাদেশের BBBBuBBBBB BB BBBBB BB DDBB BBu BBB BBS BBBB BBD uBB BBB DuBB DBu uS BBB B BBBB uBBBB BB BBB তাহাদিগকেও কিঞ্চিং কিঞ্চিং অংশ দিলেন। অহোরান্ত মহত্যের জন্য তাঁহার মনে *ার শাচিত রহিল না । BBBBBBB DBBBu BBBBB BBBB BBB DDD BS BBBB BBBB আশংকার কারণ হইয়া দাঁড়াইল। নিরপোয় তারাপ্রসন্ন পাগলর মতো হইয়া BuBB BBB BB BDuDSDD BBB B BBBB BB BB BB BBB যদি কিছু টাকা দাও তো আমি শহর হইতে ভালো দাই আনাই ।” বিশ্ববভর বলিল, “ভাই, সেজন্য ভাবনা নাই, টাকা যাহা লাগে আমি দিব, তুমি বই লইয়া যাও।” এই বলিয়া কানাই পালের সহিত অনেক বলাকহা করিষা কিঞ্চিং টাকা সংগ্ৰহ করিয়া আনিল এবং বিধভূষণ স্বয়ং গিয়া নিজে হইতে পাথেয দিয়া কলিকাতা হইতে ধাত্রী আনিল । দাক্ষায়ণী কী মনে করিয়া স্বামীক ঘরে ডাকাইযা আনিলেন এবং মাথার দিব্য দিয়া বলিলেন, “যখনই তোমার সেই বেদনার উপক্রম হইবে, বনলন্ধ ঔষধটা খাইতে ভূলিয়ো না। আর. সেই সন্ন্যাসীর মাদলিট কখনোই খালিয়া রাখিয়ো না। আর, এমন ছোটোখাটো সহস্র বিষয়ে স্বামীর দটি হাতে ধরিয়া অঙ্গীকার করাইয়া লইলেন। আর বলিলেন, বিধ্যভূষণের উপর কিছুই বিশ্বাস নাই, সেই তাঁহার স্বামীর