পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাসমণির ছেলে ○ >> কাছে উঠিয়া আসিল। আর কিছু আশা করিবার নাই; গ্রীষ্মের সময়-পঙ্গার সময়— কলেজের ছয়টি হয়, কিন্তু যাহার জন্য তাঁহার দরিদ্র ঘর শান্য হইয়া আছে সে আর কোনোদিন কোনো ছটিতেই ঘরে ফিরিয়া আসিবে না। “ওরে বাপ আমার!” বলিয়া ভবানীচরণ সেইখানেই মাটিতে বসিয়া পড়িলেন। কালীপদ তাহার বাপের দারিদ্র্য ঘচাইবে বলিয়াই কলিকাতায় গিয়াছিল, কিন্তু জগৎসংসারে সে এই বন্ধকে কী একান্ত নিঃসম্প্রবল করিয়াই চলিয়া গেল – বাহিরে বাটি আরও চাপিয়া আসিল । এমন সময় অন্ধকারে ঘাসপাতার মধ্যে পায়ের শব্দ শোনা গেল। ভবানীচরণের বকের মধ্যে ধড়াস করিয়া উঠিল। যাহা কোনোমতেই আশা করিবার নহে, তাহাও যেন তিনি আশা করিয়া বসিলেন। তাঁহার মনে হইল, কালীপদ যেন বাগান দেখিতে আসিয়াছে। কিন্তু, ব্যষ্টি যে মনুষলধারায় পড়িতেছে— ও যে ভিজিবে, এই অসম্ভব উদবেগে যখন তাঁহার মনের ভিতরটা চঞ্চল হইয়া উঠিয়াছে এমন সময়ে কে গরাদের বাহিরে তাঁহার ঘরের সামনে আসিয়া মহন্তকালের জন্য দাঁড়াইল । চাদর দিয়া সে মাথা মুড়ি দিয়াছে-- তাহার মুখ চিনিবার জো নাই। কিন্তু, সে যেন মাথায় কালীপদরই মতো হইবে। “এসেছিস বাপ !” বলিয়া ভবানীচরণ তাড়াতাড়ি উঠিয়া বাহিরের দরজা খলিতে গেলেন । বার খলিয়া বাগানে আসিয়া সেই ঘরের সম্মুখে উপসিভি হইলেন। সেখানে কেহই নাই। সেই বটিতে বাগানময় ঘুরিয়া বেড়াইলেন, কাহাকেও দেখিতে পাইলেন না। সেই নিশীথরাত্রে অন্ধকারের মধ্যে দাঁড়াইয়া ভাঙা গলায় একবার ‘কালীপদ বলিয়া চীংকার করিয়া ডাকিলেন– কাহারও সাড়া পাইলেন না । সেই ডাকে নট চকেরটা গোহালঘর হইতে বাহির হইয়া আসিয়া অনেক করিয়া বন্ধকে ঘরে লইয়া আসিল । পরদিন সকালে নট ঘর ঝাঁট দিতে গিয়া দেখিল, গরাদের সামনেই ঘরের ভিতরে প:টুলিতে বাঁধা একটা কী পড়িয়া আছে। সেটা সে ভবানীচরণের হাতে আনিয়া দিল । ভবানীচরণ খলিয়া দেখিলেন, একটা পরাতন দলিলের মতো। চশমা বাহির করিয়া চোখে লাগাইয়া একট পড়িয়াই তিনি তাড়াতাড়ি ছটিয়া রাসমণির সম্মুখে গিয়া উপস্থিত হইলেন এবং কাগজখানা তাঁহার নিকট মেলিয়া ধরিলেন। রাসমণি জিজ্ঞাসা করিলেন, “ও কী ও ।” ভবানীচরণ কহিলেন, “সেই উইল ।” রাসমণি কহিলেন, "কে দিল।” ভবানীচরণ কহিলেন, “কাল রাত্রে সে আসিয়াছিল— সে দিয়া গেছে ।" রাসমণি জিজ্ঞাসা করিলেন, “এ কী হইবে ।" ভবানীচরণ কহিলেন, “আর আমার কোনো দরকার নাই ।” বলিয়া সেই দলিল ছিন্ন ছিন্ন করিয়া ফেলিলেন। এ সংবাদটা পাড়ায় যখন রটিয়া গেল তখন বগলাচরণ মাথা নাড়িয়া সগবে বলিল, “ठाशि ताल माइँ काठलौ•फ्नाटक प्रिज्ञाइँ प्लेद्देठल प्लेन्थाद्र झड्रेट्द ?” রামচরণ মনদি কহিল, “কিন্তু দাদাঠাকুর, কাল যখন রাত দশটার গাড়ি এস্টেশনে