পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গল্পগুচ্ছ H උ কঙ্কাল আমরা তিন বাল্যসঙ্গী যে ঘরে শয়ন করিতাম তাহার পাশের ঘরের দেয়ালে একটি আসত নরকঙ্কাল ঝালানো থাকিত। রাত্রে বাতাসে তাহার হাড়গলা খটখট শব্দ করিয়া নড়িত। দিনের বেলায় আমাদিগকে সেই হাড় মাড়িতে হইত। আমরা তখন পণ্ডিত-মহাশয়ের নিকট মেঘনাদবধ এবং ক্যাম্বেল স্কুলের এক ছাত্রের কাছে অস্থিবিদ্যা পড়িতাম। আমাদের অভিভাবকের ইচ্ছা ছিল, আমাদিগকে সহসা সববিদ্যার পারদশী করিয়া তুলিবেন। তাঁহার অভিপ্রায় কতদর সফল হইয়াছে যাহারা আমাদিগকে জানেন তাঁহাদের নিকট প্রকাশ করা বাহুল্য এবং যাঁহারা জানেন না তাঁহাদের নিকট গোপন করাই শ্রেয় । তাহার পর বহুকাল অতীত হইয়াছে। ইতিমধ্যে সেই ঘর হইতে কংকাল এবং আমাদের মাথা হইতে অস্থিবিদ্যা কোথায় পথানান্তরিত হইয়াছে, অশ্বেষণ করিয়া জানা যায় না | অলপদিন হইল, একদিন রাত্রে কোনো কারণে অন্যত্র পথানাভাব হওয়াতে আমাকে সেই ঘরে শয়ন করিতে হয়। অনভ্যাসবশত ঘমে হইতেছে না। এপাশ ওপাশ করিতে করিতে গিজার ঘড়িতে বড়ো বড়ো ঘণ্টাগলো প্রায় সব কটা বাজিয়া গেল। এমন BB BBBB BB B BBBB BB BSBBSBBS BB BB BBB BBBB BBB খালি খাইতে খাইতে একেবারে নিবিয়া গেল। ইতিপকেই আমাদের বাড়িতে দুইএকটা দর্ঘেটনা ঘটিয়াছে। তাই এই আলো নেবা হইতে সহজেই মৃত্যুর কথা মনে উদয় হইল। মনে হইল, এই-ষে রান্তি দুই প্রহরে একটি মীপশিখা চিরান্ধকারে মিলাইয়া গেল, প্রকৃতির কাছে ইহাও যেমন, সাব মানুষের ছোটো ছোটো প্রাণশিখা কখনো দিনে কখনো রাত্রে হঠাৎ নিবিয়া বিসমত ই ইয়া যায়, তাহাও তেমনি । ক্ৰমে সেই ককালের কথা মনে পড়িল । তাহার জীবিতকালের বিষয় কল্পনা করিতে কবিতে সহসা মনে হইল, একটি চতন পদার্থ অন্ধকারে ঘরেব দেয়াল ংড়াইলা আমার মশারির চারি দিকে ঘুরিয়া ঘুরিয়া বেড়াইতেছে, তাহার ঘন ঘন নিশবাসের শব্দ শুনা যাইতেছে । সে যেন কণী খুজিতেছে, পাইতেছে না, এবং দ্রুততর BBB BBBB BBBB BBBBS BBB BBBB BBBB BBBBBB BBB BBBBB উষ্ণ মস্তিকের কল্পনা এবং আমারই মাথার মধ্যে বা বোঁ করিয়া যে রক্ত ছয়টিতেছে তাহাই দ্রুত পদশদের মতো শনাইতেছে। কিন্তু তব গা ছমছম করিতে লাগিল। জোর করিয়া এই অকারণ ভয় ভাঙিবার জন্য বলিয়া উঠিলাম, “কেও ” পদশব্দ আমার মশারির কাছে আসিয়া থামিয়া গেল এবং একটা উত্তর শানিতে পাইলাম, “আমি । আমার সেই কংকালটা কোথায় গেছে তাই খুজিতে আসিয়াছি।” আমি ভাবিলাম, নিজের কাল্পনিক সন্টিল কাছে ভয় দেখানো কিছ নয়— পাশবালিশটা সবলে অাঁকড়িয়া ধরিয়া চিরপরিচিতের মতো অতি সহজ সরে বলিলাম, “এই দপের রাত্রে বেশ কাজটি বাহির করিয়াছ। তা, সে কঙ্কালে এখন আর তোমার আবশ্যক ?” অন্ধকারে মশারির অত্যন্ত নিকট হইতে উত্তর আসিল, “বল কী। আমার বকের