পাতা:গল্পগুচ্ছ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

83 গল্পগুচ্ছ সম্বন্ধে পণ্ডিতমশায়ের ব্যবহার আর ভাষা এক মহতে কর্তৃবাচ্য থেকে ভাববাচ্যে এসে পৌছল এবং সেটা নিরতিশয় সম্পভাববাচ্য। . এমন সময় ডাকাতি তদন্ত শেষ হয়ে গেল, বাবা ঘরে ফিরে এলেন। আমি জানি, মা আস্তে আস্তে সময় নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে বাবার বিশেষ প্রিয় তরকারিরান্নার সঙ্গে সঙ্গে একটা একটা করে সইয়ে সইয়ে কথাটাকে পাড়বেন বলে প্রস্তুত হয়ে ছিলেন। বাবা পণ্ডিতমশায়কে অর্থলখে বলে ঘৃণা করতেন; মা নিশ্চয়ই প্রথমে পণ্ডিতমশায়ের মদেরকম নিন্দা অথচ তাঁর সন্ত্রী ও কন্যার প্রচুর রকমের প্রশংসা করে কথাটার গোড়াপত্তন করতেন। কিন্তু, দভাগ্যক্রমে পণ্ডিতমশায়ের আনন্দিত প্ৰগলভতায় কথাটা চারি দিকে ছড়িয়ে গিয়েছিল। বিবাহ যে পাকা, দিনক্ষণ দেখা চলছে, এ কথা তিনি কাউকে জানাতে বাকি রাখেন নি। এমন-কি, বিবাহকালে সেরেস্তাদার বাবর পাকা দালানটি কয়দিনের জন্যে তাঁর প্রয়োজন হবে, যথাস্থানে সে আলোচনাও তিনি সেরে রেখেছেন। শুভকমে সকলেই তাঁকে যথাসাধ্য সাহায্য করতে সক্ষমত হয়েছে। বাবার আদালতের উকিলের দল চাঁদা করে বিবাহের ব্যয় বহন করতেও রাজি। স্থানীয় এনট্রেন্স-স্কুলের সেক্রেটারি বীরেশ্বরবাবর তৃতীয় ছেলে তৃতীয় ক্লাসে পড়ে, সে চাঁদ ও কুমাদের রপেক অবলম্বন করে এরই মধ্যে বিবাহ সম্বন্ধে ত্রিপদী ছন্দে একটা কবিতা লিখেছে । সেক্রেটারিবাব সেই কবিতাটা নিয়ে রাস্তায় ঘাটে যাকে পেয়েছেন তাকে ধরে ধরে শুনিষেছেন। ছেলেটির সম্বন্ধে গ্রামের লোক খাব আশান্বিত হয়ে উঠেছে। সতরাং, ফিরে এসেই বাইরে থেকেই বাবা শভেসংবাদ শনতে পেলেন। তার পরে মায়ের কান্না এবং অনাহার, বাড়ির সকলের ভীতিবিহবলতা, চাকরদের আকারণ জরিমানা, এজলাসে প্রবল বেগে মামলা ডিসমিস এবং প্রচণ্ড তেজে শাস্তিদান, পণ্ডিতমশায়ের পদচ্যুতি এবং রাঙতা-জড়ানো বেণী-সহ কাশীশ্বরীকে নিয়ে তাঁর অন্তধৰ্শন—এবং ছটি ফরোবর পবেই মাতৃসঙ্গ থেকে বিচ্ছিন্ন করে আমাকে সবলে কলকাতায় নিবাসন। আমার মনটা ফাটা ফুটবলের মতো চুপসে গেল— আকাশে আকাশে, হাওয়ার উপরে তার লাফালাফি একেবারে বন্ধ হল। दे আমার পরিণয়ের পথে গোড়াতেই এই বিঘ}– তার পরে আমার প্রতি বারে বারেই প্রজাপতির ব্যর্থ-পক্ষপাত ঘটেছে। তার বিস্তারিত বিবরণ দিতে ইচ্ছা করি নে— আমার এই বিফলতার ইতিহাসের সংক্ষিপ্ত নোট দটো-একটা রেখে যাব । বিশ বছর বয়সের পবেই আমি পরো দমে এম.এ. পরীক্ষা পাস করে চোখে চশমা পরে এবং গোঁফের রেখাটাকে তা দেবার যোগ্য করে বেরিয়ে এসেছি। বাবা তখন রামপুরহাট কিবা নোয়াখালি কিবা বারাসত কিবা ঐরকম কোনো-একটা জায়গায় । এতদিন তো শব্দসাগর মন্থন করে ডিগ্রিরক পাওয়া গেল, এবার অর্থসাগর-মন্থনের পালা। বাবা তাঁর বড়ো বড়ো পেট্রন সাহেবদের স্মরণ করতে গিয়ে দেখলেন, তাঁর সব চেয়ে বড়ো नशङ्ग यिनि ठिान *ब्रटनाटक, ठाँव्र ८ळ्रग्न यिनि किइ का ठिान नन्नन निरग्न विल८७, যিনি আরও কমজোরী তিনি পাঞ্জাবে বদলি হয়েছেন, আর যিনি বাংলাদেশে বাকি