శీ8ఫీ গন্ধ উত্তপ্ত মাটির গন্ধের সঙ্গে মিশে চারিদিক আকুল করে তুলেছে। পথের পাশে কস্তকগুলো নীল রংএর পার্থী কেউ তা’ন্ধের নাম জানে না। পথের সৌন্দর্ঘ্যে শোভার মন যখন মাতাল হয়ে উঠেছে, তখন তার সেই গভীর নীরবতার শাস্তি ভঙ্গ করে’ গাড়েীয়ান মাঝে মাঝে আপন-মনে বকে চলেছিল—মীকে মাঝে চাবুক উঠিয়ে দূরে fক যেন দেখাবারও বৃথা প্রদাস পাচ্ছিল। কিন্তু এসব কিছুই শোভার মাকে স্পর্শ করতে পাবৃছিল ৰা। মন তার নিজের স্বীসঙ্গের রূপদ্ধ নিজেক্ট জোগাছিল। ৰুছদিন স্তীয় প্রার্থনা করার অভ্যাস চলে গিয়েছে। তবুও তার সমস্ত হৃদয় জালোড়িড় করে, এই প্রার্থনা স্বতঃই জেগে উঠছিল, সে যেন এই নির্জন পল্লীগ্রামে প্রকৃত স্বশ্বের সন্ধান পায়—জীবন যেন তা’র বিফল না হয়। এক অস্থপম শাৰিতে ও অপূর্ব মধুধ্যে তার সমস্ত জন্তু র ভরে উঠলো। তার মনে হ’ল যেন সারাজীবন ধরে অকুখস্ত এই পথের জলপ্ত শোভা উপভোগ করতে করতে চলতে পাঞ্চলেই সত্যিকারের রূর্থের সন্ধান সে পাবে। চলতে চলতে হঠাৎ গাড়ী ঝোপঝাড়পূর্ণ একটি গভীর খাতের কাছে এসে পড়লে । অমূনি ভিজে মাটির একটি মিষ্টি গন্ধ বাতাসের সঙ্গে ৰৱে এল। বেীপের নীচে বোধ হয় একটি প্রচ্ছন্ন জলের উৎস ছিল । অনতিদূরে খাতের পাশে গুটি কয়েক কপোত গাড়ীর শব্দে সচকিত হয়ে উড়ে গেল। শোভার মনে অতীতের স্মৃতি জেগে উঠলো। মনে পড়ে গেল তার নিজের বাল্যজীবনের কথা—যে জীবনকে সে আজ পেছনে ফেলে এসেছে তারই অতীত দিনের স্থতি তাঁর মনকে নাড়া দিতে লাগলো। এইখানে সে ছোট ৰেলায় প্রতিসন্ধ্যায় বেড়াতে আসূত্তো। এই খাতটি দেখেই সে বুঝতে পালে যে সে প্রায় বাড়ীর কাছাকাছি এসে পড়েছে। সেই As MK নবম বর্ষ, চিরপরিচিত বাৰুল গাছগুলি, সেই গোলাঘর —সবই সেরকম রয়েছে। এক পিসিমা ও ঠাকুরদাদা ছাড়া শোভার সংসারে আপনার বলতে আর কেউই ছিল না। ভা’র মাকে সে অনেকদিন আগেই হারিয়েছে । তাঁর পিতা একজন এঞ্জিনিয়ার ছিলেন। সম্প্রতি মাস ডিনেক জাগে উীর মৃত্যু হয়েছে। শেভার পিসিম আজ তার ভাইঝিটার আশপথ চেয়ে ব্যাকুল প্রতীক্ষাৰ অপেক্ষা করছিলেন। ঠাকুরদা" ছাদের উপর দ্ব্যক্তিত্ত্বে নাতনীর আগমন প্রতীক্ষ কবৃছিলেন। তঁদের মনে আজ আর আনন্দ ধরে না । বহুদিন পরে শিক্ষা সমাপ্ত করে শোভা ফিরে আসছে নিজের বাড়ীতে-উীদের সঙ্গে থাকৃবে বলে। শোভাকে দেখে পিসিমা আনন্দে স্বধীর হয়ে ছুটে গেলেন তাকে সাদর অভ্যর্থন স্বানাবার জন্ম-স্তাকেবুকে চেপে ধরে অঞ্জবিকৃত স্নেহবাগ্রকণ্ঠে উচ্ছ্বাসভরে কত কি বলতে. লাগলেন । ওঁর স্বনে এই সন্দেহও মাঝে মাঝে উঞ্চি মাছিল বেতার উচ্চশিক্ষিতা সহরে পালিত। ভাইঝিটি উদ্ধের আপনার কোরে নিতে পারবে কি না, উদেৱ ভালবামৃতে পাবে কি ৰা। শোভার ঠাকুরদা’র সম্বে ধৰ ধবে লম্বা দাড়ি। বেশ নশ্বর পুষ্ট গোলগলে দেহ গুপ্ত কাঞ্চন বর্ণ। ইাপানি রোষ্ট্ৰ—ক্টার লাঠিটির উপর ভর দিয়ে তিনি যখন চলেম, তার বিপুল স্কুড়িটি যেন আগে শ্ৰীশ্ন চলতে থাকে। শোভার পিলিমার বকুল আন্ধীজ ৰিম্বাল্লিশ তেণ্ডাল্লিশ-প্রৌঢ়ত্বের সীমা এখনও তিনি অতিক্রম করেন নি। তার বেশভূষার পারিপাট্য দেখলে মনে হয়, যেন তিনি উার বিগত যৌবনকে আরও কিছুদিন ধরে রাখতে চান । তাই তার যৌবন-স্ত্রী রক্ষা করবার ৰাৰ্থ প্রয়াস। ছোট ছোট পদবিক্ষেপে পিঠ ৰাৰুিদ্ধে চলার অঙ্গীটি তার অম্বুড়গোছের। ঠাকুরষ্কার ইচ্ছায় শোভায় গৃহাগমন উপলক্ষ্যে
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৩০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।