পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৩০৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

आश्विन, XÒ8 à অন্য কোনও বিষয় সম্বন্ধে যখন তর্ক উঠতো ডাক্তারের মুখ দেখেই বেশ বোঝা যেতে যে, তার এ-বিষয়ে কোনও জ্ঞান বা কুচি নেই— অনেকদিন কিছু পড়েন নি বা পড়বার চেষ্টাণ্ড রেন নি। তার সেই গম্ভীর মুখে কোন ভাব লক্ষণাই প্রকাশ পেতো না। তিনি যেন কোনও কলানৈপুণ্যহীন চিত্রকরের স্বীকা একগালি পটমাত্র। পরিধানে একই সেই সাদা কোট। সৰ্ব্বদাই যেন এক দুৰ্ব্বোশ্য মৌনতার রহস্যঞ্জলি দিয়ে নিজেকে ঘিরে রাগবার প্রচেষ্টা । তনু৪ তক্ষণীয়া ও বয়স্থার তাকে প্রায় প্রাধান্ত পিস্তে ছাড় তো না—উরি ভঙ্গর কায়দীয়, শিষ্টাচারের প্রশংসায় লক্ষমূৰ্খ হতে সকলেই ! সবাষ্ট শোভাকে ঈর্গ করতে—কারণ তার প্রতি ৬া গুণয়ের আকর্ষণ সকলেরই চোখে পড়েছিল। শোভা প্রতিদিনই বিরক্তভাব নিয়ে বাড়ী ফিরতো—প্রতিদিন মনে মনে সঙ্কল্প কবৃতো যে, সে আয় বাড়ীর বা’র হবে নী—এৰায় থেকে সে বাড়ীতেই থাকৃবে রোজ । কিন্তু দিনের শেষে যেই সন্ধ্যার ছায়া ঘণিয়ে আসতে, অমৃলি সে কারপানার দিকে বেরিয়ে পুঞ্জ তো—পুর্গ দিনের সঙ্কল্প তার জর টি কৃতে ন - জ বার প্রতি সন্ধ্যায় সেই বৈচিত্ম্যহীন আমোদ-প্রমোদ গল্প-গুজবের পালা। সমস্ত শীতকাল শোচর এই রকম ভাবেই কাটলে | শোভা নিজেকে পড়াশুনা দিয়ে ভুলিয়ে ব্ল্যখতে চাইল। নিত্য নতুন বই, মাসিক-পত্রিকার অর্ডার দিতে লাগলো সে নিজের ঘরের মধ্যে আবদ্ধ হয়ে চুপটি করে একূল একুল বসে সে বই পড়তে আরম্ভ করলো। গভীর রান্ধি পৰ্য্যন্ত বিছানায় শুয়ে সে পড়তে । বারান্সার ঘড়িতে ঢং ঢং করে দু’টা তিলটে বেজে যেভেHৰন্থ ক্ষণ ধরে পড়ার দক্ষণ তাঁর কপালের ছ’পাশের শিরাগুলি ব্যথায় টল্টন কবৃতে খাৰুতো । 考円z爱 Ցք Ֆ সে শস্যার উপয় উঠে বলে ভাব তো—কি করি ? কোথায় ঘাই ? তা'র অভিশপ্ত অশান্ত হৃদয়ের এই ব্যাকুল প্রশ্নের জবাব দেবে কে r এর কত জুবাবই তো দেওয়া যেতে পারে। কিন্তু কোনটাই যথার্থ জবাব বলে মনে হয় না। - এক একবার শোভার মনে হ’ত দশের সেবায় নিজেকে উংসর্গ করে দিতে পারলেই বুঝি বা ভীর জীবন লর্থক স্বন্দর হয়ে পড়ে উঠ ৰে । আৰ্ত্ত মানবের শেবা দু’শীর বেদনাশ্র মুছিয়ে BBBBS BBSBBS YBBBBB BBBS দেণ্ডয়া কত পবিত্র, কস্ত মহং, কত স্বন্দর কাজ । একেই সে জীবনের মহাব্ৰত বলে গ্রহণ কৰে। কিন্তু এই সব লোকদের সঙ্গন্ধে তার জ্ঞান কতটুকু 1–কী বা এদের সঙ্গে তার পরিচয় । সে এদের সেবা করবে কি করে তবে ? দুঃণী দরিদ্র পীড়িত মানৰ—যাগের সে সেবা কবৃতে চায়—তারা তো তার কাছে সম্পূর্ণ অপরিচিত—তাদের কোনও স্বপ, কোনও ব্যথাই তো অ’র গুদৱ-তন্ত্রীতে তেমন করে আঘাত করে না । তাদের জীর্ণ কুটীরের বদ্ধ দৃধিত বাতাসে অ’ৱ যেন দম বন্ধ হয়ে আসতে চায় । কর্ণক্লাস্ত সন্ধ্যার গৃহ-প্রত্যাগত কৃষকদের মাতলামিভরা গল্প-গুজব, রহসালাপ—তাদের অশ্রাব্য শ্বালিগালাজ, কলঙ্ক-বিবাদ আমোদ-প্রমোদ সবই ক্ত"র কাছে অসুস্থ । ঐ গরীব লোকদের নোংরা ছেলেমেয়েদের ছুতেও তার স্বর্ণা বোধ হয় । যা নোংরা ওদের কাপড়চোপড় ? ঐ নীচশ্রেণীর স্ত্রীলোকদের স্থখ-দুঃখ অস্বপ-বিশ্বগের কাহিনী গুৰুবার ধৈর্য্য বা জাগ্ৰহ তার নেই। দারুণ লীতে বাইরের তুষারপাতের মধ্য দিয়ে অনেকখানি পথ হেঁটে গিঞ্জে দরিত্রের আলো-বাতাসহীন কুটীরে বসে, অ’দের ধূলি-মলিন অপরিস্কার ছেলেমেয়েদের পড়ানো—শিক্ষা দেওয়া—লেও ষে তার পক্ষে স্বসন্থ ! সে নেবে গরীব রুম্বকদের