পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৩৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কীৰ্ত্তিক, ১৩৪e 1 যে নেই ; অথচ একেবারে অযাচিতভাবে-লাঞ্জ রোদ কোনদিকে উঠেচে ? হাসিন্ধা অরুণ বঞ্জিল ; রহস্ত পরে কোরে, সুধ্যি আজ আর উঠবেই না। কি রকম মেখলা দেখচ, ত। এখন তাড়াতাড়ি তৈরী হয়ে পড়ে দিকি। এখুনি আমার সঙ্গে যেতে হৰে তোমায়। ব্লুজতবাবুর আপত্তি হবে না নিশ্চয় ? তোমার বৌদি আজ একটু পরেই দিল্লী চলে যাচ্ছেন। ঘরের বাহিরে জাসিয়া স্বামী রজত বলিল = বেশ বলেন আপনি । আপনার বাড়ীতে স্বাবে, তাতে কী আপত্তি থাকতে পারে অঞ্চশবাৰু ? জবাব জিঙ্কা মাধবী। বলিঙ্গ : বেশ বলে তোমরা, বৌদি যাবেন, তা আমি গিয়ে কি করবো ? তা ছাড়া হাওয়া বললেই যাওয়া হয় কি না ? এত যে মাদার পঞ্চ করা হয়েচে, জার ওই কুটুনোগুলোর কি হবে তা হ’লে ? তোমার সেই ফাল দেওয়া টিকিওয়ালা ঠাকুর-মহারাজের ত এখনো দেখা নেই। শুধু দিল্লী যাওয়ার উদ্যোগ দেখলেই ত আর পেট ভরবে না ? গম্ভীরত্বরে অয়ণ কহিল ; তুমিই দেশা করতে চেয়েছিলে, তাই । হাসিয়া মাধবী কহিল ; ভবিষাতে দেপা না হবার সম্ভাবনা আছে না কি ? গন্ধীর হুইয়া অরুণ বলিল - সঠিক তাই-ই ব। কি করে বলা বায় ? কথা খুরাইয়। রজত বলিল : দেখা করতে যাওয়া মানে কি একেবারে জমে যাওয়া না কি ? --তা' না হলেও খানিকট ষে দেরী হবে, তী’ ত নিঃসন্দেহ । রজত বলিল - উনিও এম্বেচেন, প্রতিশ্রুতি-৪ দিয়েচ যখন, কি আর করবে,একটু সূরেই এসে বহিরের ঘরে সতর্কপদে আগিয়া ৰিজিতা শুঞ্চিতা হইয়া গেল। দক্ষিণদিকের জানালার টুলের বেীকা ჭ•$ সামনের টেবিলের লাগোয়া চেয়ারে সেই মোটারের দৃষ্ট তরুণী-টি বলিয়া । আর ৰিঙীয় আসন লা থাকায় টেবিলের উপরে ঠিক তার পাশ ঘেষিয়া অঞ্চশ নিৰিষ্টচিত্ত্বে হাসিয়া হাসিন্ধু৷ কি যেন বলিতেছে। বিজিতা বুকের মধ্যে শত বৃশ্চিকের দংশন জাল অনুভব করিল। কোন কথা ন৷ কলিয়া অতি সতর্কপদে বিপরীত দিকের দ্বার ঠেলিখা সে চলিয়া গেল । অরুপ ৰিঙ্গিতার আগমনের কথা মোটেই জানিতে পারে নাই । নিজৰ্ণষ্ঠ হইবার অব্যৰস্থিত পূৰ্ব্বে প্ৰস্পষ্ট শাড়ীয় খসখস শলে সে মুখ ফিয়াইয়। দেখিল, সঙ্গে সঙ্গে একটা ফুটবুদ্ধি তাহার যপ্তিক্ষে খেলিয় গেল ! বিজেতাকে আঘাত করিবার উজ্জাম লালপা জরুণকে মাতাল করিয়া তুলিল। মাধবীর ক্ষেণে ঋছিল । তা হ’লে তুমি আমার সঙ্গে যাচ্চো ত ? জলক্ষ্যে তাহাঙ্গের কথোপকথল শুনিতে দুইটী কৰ্ণ উজ্জীব রহিয়াছে, ইহা যেন সে মানসপটে স্পষ্ট অঙ্কিত দেখিতে পাইল । জৰাস্তর কথার কিছু বুঝিতে না পারিয়া স্বাধবী তার যুগের দিকে চাহিল । জরুপ বলিয়া চলিল ; রঙ্গতবাবু আমাকেই নিয়ে যেতে বললেন । ক'দিন বেশ আমোদেই কাটান শ্বাবে, কি বলে ? দে শুঘরে পাহাড়ের ওপয়গুলা যেমন আরামপ্রদ, তেমনি নিরালা । তুমি— - ৰিঞ্জিত কিছুতেই আত্মসম্বরণ কঠিন্তে পারিল না। জড়ামু করিয়া দ্বার ঠেলিয়া ঢুকিয়া যেন কিছুই জানে না, এমনি ভণি করিয়া অরুণের উদ্ধেকে বলিল : আবার গয়নাগুলো— হঠাৎ মাধবীকে প্রথম দেখার অভিনয়ও সে স্থারভাবেই করিল। জলপ্ত ধৃষ্টট. তাহার চোখের উপর গুপ্ত করিয়া কছিল,