জগ্রহরিণ, ১৩৪e } এই শহরে এলাম। হুরাষ্ট আমার লক্ষে সঙ্গেই ঘুরছে কি না, তাই তিনদিন অনাহারে অনিত্রায় পথে পথে খুরে বেড়িয়েও, কোথাও কিছু জুটলো না । “এইবার শনিবারের রাতের কথা বলি-— "রাত্রি ডখন প্রায় বারটা । অঙ্কমনস্কের মত পথ দিয়ে চলেছি। কোথায় চলেছি, তা জানি মা। হঠাৎ দেখি, একটা বাড়ীতে মহী-সমারোহ ] ভেতর থেকে নাচ-গানের স্থর ভেসে আসছে ; মাঝে মাঝে খুন্ধির হার শোনা যাচ্ছে । মন অত্যন্ত বিদ্রোহী হয়ে উঠলে ; ভাবলাম,—এরা ত বেশ সুখে আছে , আর আমার স্ত্রী ছুটি উদয়াল্পের জন্তু পরের বাড়ীতে দাসীবৃত্তি করছে । ধৰ্ম্ম নেই, পাপ-পুণ্য নেই, ঈশ্বরও নেই । “ঘনে পড়লো, রাত্রি আড়াইটার সময় কোলকাতার একটা ট্রেণ এখানে এসে পৌছোয়। যাক্ট, শহুরে জাগবার পথে মাঠের মাঝখানটায় দাড়িয়ে থাকি । যদি যোগ পাই,— কারওনাধারণ্ড গুল টিপে ধরবো, শুরি কাছে যা জাছে স্থা কেড়ে নোব। ধৰ্ম্ম নেই, পাপ-পুণ্য নেই, ঈশ্বরও নেই । “ঝাউগুলার ঘাটেস্থ কাছাকাছি যেতে একটা অর্কুট আৰ্ত্তনাদ আমার কাণে ভেসে এল । চেয়ে দেখি পথের পাশে বটগাছতলায় একটা বৃদ্ধ ভিখারী রোগযন্ত্রণায় ছটফট করছে। কাছে এগিয়ে দেখি,—কী বীভৎস, কী কুৎসিং মুঞ্জি তার । গলিত কুণ্ঠরোগে হাত-পায়ের জাঙ্গুলগুলা খসে পড়ে গেছে— গায়ে যেখানে সেখানে দগদগে যা—একটা চোখ যেন ছিটকে বেরিয়ে এসেছে-মুখের পাশ দিয়ে লালা করে পড়ছে । “প্রথমটা শিউরে উঠলাম । তারপর ভাবলাম, সেণ্ড ত আমারই মত এক হতভাগ্য 1 কে জানে, একদিন হয় ত সেও কত স্বপ্নের জাল বুনেছিল ; शृथिरौदक कऊ शकब्र, कङ थांनन पाण' भरन অপরাধী téసీ করেছিল ? কিন্তু এৰু মুঠা আয়ের জন্তু হয় ত চিরকাল পরের স্থার উপর নির্ভর করে এসেছে ! এই পণের পাশ দিয়ে কত লোক কত শ্ৰব্যসম্ভার বহন করে নিয়ে গেছে, কত উংসবের শোভাযাত্রা বাদ্যভা ও নিয়ে রাজপথকে কোলাহুল-মুখরিত কয়ে চলে গেছে, কিন্তু বৃদ্ধ ভিখারিরীর দিকে কেউ হয় ও একবারও ফিরে চায় নি ? তাঙ্গের বিপুল অপব্যয়ের একঞ্চণা পেলেও যে একটা মামুষের প্রাণ রক্ষা হয়, সে কৰ্ণ হয় ত কেউই ভাবে নি । "মৃত্যু বৃদ্ধের দিকে চেয়ে আপন ৰনে ৰঙ্গলাখ —"বন্ধু জগৎ তোমাকে চায় না—এর উংসব-সম্ভায় তোমার আসন নেই। বঁচিবার প্রয়োজন তোমার কিছুমাত্র ছিল না—কিন্তু এতদিন ধরে যে এই बौख्९गठ निरग्न छूधि ८६८ऽश्tिन, कह जदछ পৃথিবী তোমায শুধু অভিশাপ দিয়েছে। আমি তোমার ব্যথায় বাণী—তোমার এ মৃত্যু-স্বত্রণ শ্লেখ আমার পক্ষে অলঙ্ক | হে আমার পরম সুহৃৎ, ডোমার কষ্টের লাঘব আমি করে দিচ্ছি । তুমি আমার আশীৰ্ব্বাদ করে যাe,-মার যেন মানুষ হয়ে এলে এ পৃথিবীতে না জন্মাই। এপীলে ধর্শ্ব নেই, পাপ-পুণা নেই, ঈশ্বরও নেই। “শুষ্ক ষ্ট্রণ করতলের কঠিন পেথণে ধীরে ধীরে মৃত্যুপথযাত্রীর চোখ ছটা উজ্জ্বল হয়ে উঠলো —জিবটী বাইরের দিকে ঝুলে পড়লে—কণ্ঠের ঘড়ঘড় শব্দ স্তন্ধ হয়ে অন্ধকারের গভীরতার মধ্যে ডুবে গেল ! “তারপর প্রায় পনেরো মিলিট কাল গুৰু হয়ে । সেই যুক্তির দিকে চেয়ে রইলাম। কিছুক্ষণ পরে ধীরে ধীরে আমার চেতন ফিরে এল। এক মুহুর্ভেৰ জন্য মনে দুর্বলতা দেখা দিল,—এ কী করেছি আমি রোগ-যন্ত্রণায় কাতর জরাতুর ৰুদ্ধকে গঙ্গা টিপে হত্যা করেছি! কী করে', পণ্ডর চেয়েও এত অধম হয়ে পড়লাম ! পরঙ্গশৈই
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪০৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।