অগ্রহায়ণ, ১৩৪* জাড়লে অলকের সঙ্গে দেখা হতেই প্রীত্তি অম্বুযোগ করল-আচ্ছাছেলে তুই বা হোক। অলক কিছু বুঝতে পারলে না। গ্ৰীতি হেসে বললে—ই করে দেখছি কি বোকা কোথাকার । সই-যাকে বলতে গেলি যে বড় ? অলক বললে—৪, তাই বল। আমি ভ অবাক হয়ে গেছলুম! তুই চুল ধরে টানলিকেন ? প্রীতি বোঝাতে পারে না, কেন সে তার চুল ধরে টেনেছিল। কতক্ষণ সে অলম্বের মুপের পানে তাকিয়ে রইল। অলক বলল —কাল সব ক’খানা খুড়ি ফটকে টা কেটে দিয়েছে। আজ বাছাধনকে আর ঘুড়ি উডুড়ে হবে না। দে ত শুই স্বামীর পকেট থেকে পন্থল৷ বের করে । প্রীতি হেসে বঙ্গল—৪:, বড় মহাজন যে দেখছি! কোথায় পেলি ? অলক বিস্ময়ডয়া কণ্ঠে উত্তর দিলে—বা রে, এবেল তুই-ই ত দিলি । খ্ৰীতি কিছু বললে না। তাই ত এত ভুলে হয়েছে সে ! তার মনটা কেমন হয়ে গেল। কিন্তু এমন করে আর কতদিন লে নিজেকে ঠকিয়ে পথ চলবে ! সজল মেধের উতল হাওয়ার স্পর্শ তার মনের দ্বারে জাঘাত কন্নুতে লাগল । চোখ দুটো ভারি হয়ে এল। প্রীতির বাহিরের নারী স্তব্ধ হয়ে দাড়িয়ে রইল ; তার অন্তরের নারী ৰেন কিসের স্বাক্রোশে ফুলে ফুলে উঠতে লাগল। কিশোরীর মনের দ্বন্দ্ব বোঝার ক্ষমতা তখন জলকের ছিল না । বাধা-বন্ধনহীন রঞ্জিন প্রজ+ পতির মণ্ড তার সধবক্ৰ সুবিলীল আক্ষধি গক্তি। বিশ্বের কোন খবরই সে রাখে না। शृङ्बहॉकीं দিন যায়, মাল যায়, বছর যায় । অলঙ্ক আর এখন সে কিশোর নেই। তার দেহের দ্বারে যৌবন উকি দিয়েছে। এখন প্রতির স্পর্শের মধ্যে সে যেন কিসের অস্পষ্ট আভাষ পায়। সে কোলকাতায় পড়তে যাবে। তার যাঁওয়ায় দিন ধীরে ধীরে এগিয়ে এলে। প্রীতির মনে যেন কিলের দোল লাগল, হয় ত আলকেরও } যাত্রায় দিনে সুঁতি জলককে আড়ালে ডেকে এনে বললে—জiবার কৰে আলবে ? তাদের ‘তুই এপন ভূমিতে ধাড়িয়েছে। অলঙ্ক যেন কি বলতে গেল, পারলে না। আপনাকে সামলে নিয়ে খানিক পরে বললে— छूर्छि হঙ্গেই । প্রতি সঙ্গল চক্ষু ছুটি তুলে ধরে আলকের দিকে তাকাল। লে দৃষ্টিতে অলঙ্ক যেন আঙুই হয়ে গেল । সই-বার বুকে তখন আনন্থের তুঙ্গান উঠেছে। বারবার স্তার স্বামীর তথা বলে পড়তে লাগল । মৃত্যুকালে একটি অম্বরোধই শুধু তিনি স্ত্রীকে করে গেছলেন—অলককে মানুষ কোরো। তাই ত পুত্রের পিচ্ছেদ-ব্যথায় মায়ের সার স্বস্তরটা টন্টন করে উঠলেও পুত্রের ভবিষ্যৎ छैझडिब्र श्रf*lग्न डिभि घट्न प्रश्न छूक्षुि अशृङद করছিলেন । ঐতির চোখ কিন্তু বাধা মানে না। তাঁর যলের বীনার প্রতি তারটি একসঙ্গে ঝমৃঝন করে উঠল। তার বুকে জাগল মেঘময়ারের ব্যথার স্লেশ । চোখের সামনে দিয়ে গাড়ী চলে গেল। গাড়ীর খডুখড়ি দিয়ে অলঙ্ক দেখলে প্রীতির কাজল-ঘন সজল চোখ দুটি। ওই দু'টিতে বুঝি বিশ্বের সমস্ত রহস্ত উতল হয়ে উঠেছে।
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪১২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।