পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8&స్త్రీ মেরে বসূল। মীর দারুণ রাগে ফুলতে লাগল। থানিক পরে সে বললে—ঙ্গার পারি না-খেটে খেটে গা-গতর কালি হয়ে গেল । নাও ওঠে। এবার চান করে পিণ্ডি গিলে আমার চোঙ্গ পুরুষ উদ্ধার করে। অলক চীন করতে চলে গেল। শঙ্ক্যার সময় অলক এসে বলুলে—একটু চা তৈরি করে" দেবে গা ? মীরা ধৰ্ম্মকে উঠল—চ কত্বে দেবে গ্ৰী ! আদির দেখে অঙ্গ যেন জলে যায়। শুধু স্বাসীবৃত্তি করতেই আছি আর কি ! যার এক পয়সা জানবার মুরোদ নেই, তার অালার চা খাগুয়ার সর্থ কেন ? অলক বললে-না এমে দিলে সংসার চলে কি কয়ে শুনি ? মীর বঙ্গে-জান বই কি, যে উপায়ের ছিরি —এবার আমার জন্যে কোটা বালাখানা বানিয়ে দেবে দেখছি ? আলোক বললে-পারাদিন পেটের ধান্দা জান হায়রাণ, উনি এলেন কপী শোনাতে। মীরা অলকের মুখের কাছে হাত নেড়ে বললে-ওরে আমার কম্বিষ্টি রে ; শুধু আমাদের গেটের ধালায় বুঝি যোরো ; জাহা, তুমি যেন একেবারে নিখাকি ! জলক আর কিছু না বলে রাগে ফুলতে ফুলতে সেখান থেকে চলে এসে বিছানার ওপর দেহটাকে লুটিয়ে দিলে। বিষম ক্লাস্তিতে তার মন তখন অবসন্ন হয়ে উঠেছিল। অৰ্দ্ধেক রাত্রে হঠাৎ তার ঘুম ভেঙ্গে গেল। খাইয়ের দিকে গে চেয়ে দেখলে, চারিদিৰে শুভ্র ঙ্গ্যোংস্কার ফিনিক ছুটেছে । মীরার জ্যোংঙ্গা-স্বাত মুখের দিকে চাইতে তার বুক খানকে তোলপাড় করে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসে বাইয়ের হাওয়ার সঙ্গে মিশে গেল। নবম বর্ঘ কথা মনে পড়ল। কিসের বেদনায় তার সারা অস্তুর ভারাক্রান্ত হয়ে উঠল। তারপর চোখে নেমে এল বিস্মৃতির স্বন-কাল নিবিড় ছাম্বা। ধীরে ধীরে তার চোখ বুজে এল চিন্তার হাত থেকে মুক্তি পেরে সে নিত্রীর কোলে চলে পড়ল । একদিন গে সীরাকে ধরে বলল--কিছু টাকা দেবে ? ধীগ্রা শুস্কার দিয়ে উঠল—আমার কি টাকার স্বাছ আছে না কি ? কেন, টাকা কি হবে শুনি ? অলক আমৃত অম্বিত করে উত্তর দিলে— ভা ছ’লে একনায় কোলকাতা গিয়ে কাজের সন্ধান দেখি । ওখানে আমার ছেলেবেলার अध्मक दफू बारङ् । মীরা বললে—টীকা পাব কোথা ? অলকাথা চুলকুড়ে চুল্স্তুতে উত্তর দিলে— খুন্থনা ৷ মুখের কথা মুখেই থেকে গেল। মীর ভার ধিকে বেন তেড়ে এল । তারপর অন্ধের দৃষ্টি ফিরে পাওয়ারই মত একদিন অলঙ্কৰ সম্ভব হয়ে গেল। আনন্দে দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্ত হয়ে অলঙ্ক মীরার কাছে ছুটে এসে বললে, শুনেছ, শুনেছ বীর, অামার চাকরী হয়েছে । মীরা তার কথার ভঙ্গী দেখে হেসে ফেললে, বললে—তা আমি কি করব ? লাচতে হবে না কি ? —লা লজ্জা, নাচবে কেন । সত্যি মীর, এ আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। সেদিন "হিন্তবাদী দেখে দরখাস্ত করে দিয়েছিলুম , হবে ত জানিই, কাজেই কারুকে জানাই নি। আজ চিঠি এসেছে ; ভাঙ্গ জামায় মনোনীত করেছেন। মাইনে প্রথম দেড়শ', পরে আরও বাড়তে পারে ।