ঈগ্রহায়ণ, ১৩৪e } মীর সবিস্ময়ে তার মুখের পানে চেয়ে বললে, দেখি। তারপর চিঠিখানি পড়া হয়ে গেলে বললে, ভালই হয়েছে, কবে ৰেকবে ? —আজই, কিন্তু এখন আর তোমাদের নিয়ে যাব লা—এরপর একটু গুছিয়ে নিতে পারলেই— সে আমার জানা আছে । তোমাদের ভালবাসা মুসলমানের মুরগী পোষ বই ত নয়। 鞠 普 尊 নিদিষ্ট দিনে জ্বলক কৰ্ম্মস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখলে সকলেই তার জন্যে অপেক্ষা করছেন। মত আদর-অভ্যর্থনায় নিজেই সে কেমন অস্বস্তি বোধ করতে লাগল। একজনের কাছে শুলে, হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাত্রী এখনও এসে পেছন নি। তিনি কোলকাতায় থাকেন ; একটু পরে যে গাড়ী আসবে, তাতেই আসবেন । তাকে জানতে ষ্টেশনে গাড়ী গেছে। ট্রেণের সময় উত্তীর্ণ হয়ে গেল। গাড়োয়ান পুপ্ত গাড়ী নিয়ে ফিরে এল । খবর যা দিলে, তা যেমনই অশুভ, তেমনই আশঙ্কাজনক । মাইলটাক আগেই ট্রেণ আউট লাইন হয়েছে । গাড়ী কখন এসে পৌঁছুবে, তা কেউ বলতে পারে না। ক’থান গাড়ী না কি ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে । কুংসিত মৃত্যু-বিভীষিকায় সমস্ত স্থানটা যেন স্তন্ধ হয়ে উঠেছে। সকলেই ব্যাকুল আগ্রহুে উন্মত্তের মত ছুটে চলল-সৰ্ব্বনাশ, ওই গাড়ীতে যে মা আছেন! তাদের সঙ্গে সঙ্গে অলকও বস্ত্রচালিতের মত এগিয়ে চলল। সিঙ্গীবের মত অলক এগিয়ে গিয়ে একজনের মুখে শুনূলে এখনই গাড়ী চলবে। ছ-একজন আহত হয়েছে.ৰটে, একটা গ্ৰেীচ ছদিহার
- 44
ছাড়া কেউ মারা যায় নি। ওই ওদিকে তার লাশ চাপ দেওয়া রয়েছে—দেখবেন না কি, স্বাপনাদের কেউ হয় কি না । ধীরে ধীরে অলক এগিয়ে গিয়ে দেখলে— কার ঢাকা দেওয়া ক্ষতৰিক্ষত বিকৃত দেহ ; শুধু মুখখানির ওপর কেন আঘাত দিতে নিষ্ঠুর ট্ৰেণখানারও বোধ হয় স্বয়া হয়েছিল। সকলে চীৎকার করে” কেঁদে উঠল—এই যে আমাদের যা ! জলকের বোধ হ’ল যেন চেনাচেন মুখ । স্মৃতির অতল তল হাতড়াতে হাতড়াতে তার মনে হ’ল,—এ যে প্রতি । যেীবনয় রঞ্জিন স্বপ্নের রাণী তাৱ ? একজন পিছন থেকে বললে—ও বাবা, ওকে আর জানি না, ও যে “মনিয়া বাইঞ্জী। অপর একজন জলককে প্রশ্ন করলে—ওকে চেনেন না কি ? মুখে তার কিলের হালি। অলক কিন্তু সেদিকে লক্ষ্য না করে মৃতদেহের আরও সন্নিকটে এগিয়ে গেল। সেই স্বদের দেহ,--ম্বে দেহে একদিন নীল লাগরের উতাল ঢেউ ফেনিল উচ্ছ্বাসে বয়ে যেত! সেই রহস্যময়ী মীলাক্স নয়ন—৬ই চোখ ছুটিতে না জানি একদিন কক্ত আলে!-ছায়ার স্বষ্টিই ছ’ত ! বিশ্বের কণ্ড রন্থগুই না তার মধ্যে লুকানে ধাকৃতো ! অলকের মনে পড়ল,-সেই কৈশোরের কথা, যৌবনের কথা - কোন স্থপূর হতে এক টুকরা স্বডি আজি ভেসে ওঠে তার সারা দেহ মনে, প্রতি অবয়বে ? আর মনে পড়ে প্রতির সেই বিদায়-fদনের নীরব বাণী । সে স্তন্ধ হয়ে স্বাড়িয়ে রইল। তারপর খ্ৰীতির মুখের দিকে চেয়ে সে কি খুজতে লাগল। আজি জ্জার তার চোখে জল আসে না—তার বুকে আশ্রয় পাখার জমাট বেঁধে গেছে ধেনু ।