দাদামহাশয় ঐবিমল সেন, বি-এস-সি দাদামহাশয়ের নিকট হইতে জরুরি তলব জাসিয়াছে—সকালেই অবশ্ন যেন গিন্ধা দেখা করি। তাই, জামাটা স্বায়ে দিয়া যাইবার জন্তু প্রভাক্ত হইলাম । একটা গল্প সন্থা শেষ করিয়াছি, সেটা সঙ্গে লইলাম ; কারণ, দ্বাদামহাশয়ের কড়া হুকুম আছে,—কোন গল্প লিপিয়া কোথাও পাঠাইবার পূৰ্ব্বে তাছাৰে যেন দেখাইয়া লণ্ডয়া হয়। উাহাঙ্গের বাড়ীয় বৈঠকখানায় আসিয়া দেখিলাম, তিনি তক্তাপোষের উপর কাং হুইয়া গড়গড়ায় তামাক টানিতেছেন। মুখে যেন চিন্তায় ছাপ। ব্যাপারটা একটু নূতন। দাদামহাশয়কে কখনওঁ চিস্থিত দেখি নাই। উহার শাস্ত, সৌম্য, সদাহান্তময় মুখ সব সময়েই আমাকে জানন্দ দিয়াছে। কুলিৰ পুরুষ ; ছেলে-ছোকরাদের সহিভ হালি-তামাসা লইয়াই আছেন। গ্রামের সকলেরই তিনি দাদামহাশয় হন । কিন্তু খামার প্রতিই তাহার স্নেহট একটু বেশী। আমার সাহিত্য-চৰ্চায় যথেষ্ট উৎসাহ দিয়া থাকেন। আবার কোন লেখা পছন্দসই না হইলে সেটার *াপ্তপ্রাদ্ধ করিতেও ছাড়েন না । ঘরে গিয়া লড়াইতে, গড়গড়ার নলটা সুখ হইতে গরাইয়া লইয়া বলিলেন-এসো। এতক্ষণে সময় হ’ল বাবুর ? হাতের কাগজখানা নজরে পড়িাছিল। বলিত্তে বলিয়াই জিজ্ঞাসা করিলেন-হাতে বলিলাম—একটা গল্প। কাল রাত্তিরে শেষ করেছি। আপনাকে দেখাতে নিয়ে এলুম। --ঞ্চিলের শ্বল্প ? সেবারে ত মৃত্যু-মিলন' লিগেছিলি। এটার কি নাম দিল্লি—“বেহেস্তের গ্ৰেম ? স্থাসিস্থা বলিলাম--না, দাদামশায়, বেহেস্তের গ্ৰেম-ট্রেম নয়। এবার সাদাসিধে আমাদের পৃথিবীর প্রেম নিয়েই লিখেছি। জাদামহাশয় ক্যং হুইয়াছিলেন, উঠিয়া বসিলেক্স কাপড়-চোপড় সামলাইয়া লইয়। যেন যুদ্ধের জন্ত প্রস্তুত হইয়া বলিলেন— পৃথিবীর প্রেম, মানে—পরের বেী-ঝিয়ের সঙ্গে চলাচলি, আর চুমো খাওয়া ত ? ফের আবার ঐ সব গল্প লিখেছিল। মৃত্যু মিলন ফিরে এল, তাতেও লজ্জা নেই ? বুঝিলাম, দাদামহাশয়ের কথার ‘তুবড়ি' এবার ছুটিতে আরম্ভ হইবে। বলিলাম-প্রেম ত লোকে পরের মেয়ের সঙ্গেই— শেষ না করিতে দিয়াই, তিনি মুখ-হাত লাড়িয়া ৰলিলেন—সে না হয় বুঝলুম ; প্রেম মৃত ই"গে বা’ । কিন্তু তাই বলে— दिरब श् नि, वा श्द्र नि, झुम्न श्रावि ? cकान् ‘ৱাইটে । একথা লইয়া পূৰ্ব্বেও অনেক তর্ক হইয়৷ গিয়ছে। তাই, আর বেশ না বাঁটাইয়া, চুপ করিম্বা কুহিলাম। তিনি হাতের কাগজের মোড়কটা খুলিয়া, শেষের দিকের একটা পাতা খুজিয়া বাহির করিলেন। তারপর, পড়িতে লাগিলেন—
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪১৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।