অগ্রহায়ণ, ১৩৪e ] ক্ষণকাল পরে বুধুয়া ঘরে ঢুকে বল্লে— দিদিমণি, একটি মেয়েলোক এসে কর্তাবাবুকে খুজতেছে। আপনি এসো। তিনি বাইয়ে দাড়িয়ে প্রয়েছে। স্ত্রীলোক ? কৌতুহলীচিত্রে ঘর থেকে বাইরে এলাম । বারাঙ্গার নীচে যে মহিলাটি দাড়িয়েছিল, বুদ্ধয়া তার দিকে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে। আমার সঙ্গে চোখোচোখি ই’তেই তিনি নমস্কার করে এগিয়ে এলেন । দেখলাম, যেয়েটি আমার চেয়ে বড়—বয়স, বছর চব্বিশ হবে। দোহার। ভ্ৰাটলাট গড়নের চেহারা-প্রচুর স্বাস্থ্যের অভি। তার খালে রং, ধরিয়েছে। ফল রঙ, চোগ ফুট বৃদ্ধিতে উজ্জল । হাতে তার একটি কুমীরের চামৃড়ায় “ভ্যানিটি কেস । পায়ে মেয়েদের জুতো । ক্রেপের শাড়ীর নীচে বিলাতী কলে টু ! পেটিকোটটি ত কম দামী নয় । পথশ্রমে গ্রসাধন কতক পরিমাণে নষ্ট হ’য়ে গেছে। মাথায় বা হাতে আয়তির কোন চিহ্ন নেই । মনে মনে বিস্মিত হলেও মুখে অভ্যর্থনা স্থানিয়ে বল্লাম –শাস্কন, ভিতরে অস্বিন। মহিলাটি উপরে উঠে এলো এবং বাবাম্বার ওপর আমার প্রদত্ত চেয়ারে উপবেশন করল । বল্লাম—আপনি কি বাবার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন ? উত্তর হ’ল—শ্ৰীযুক্ত জগদীশ মিত্র, যিনি এই মন্দিরের আচাৰ্য্য, আমি তার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলাম । द्धल्लो प्र-किङ्खु स्थिभि ८७ो বাড়ী নেই ; ফিরতে অন্ততঃ ঘণ্টা দুই বিলম্ব হবে। , মহিলাটি আমার কথা শুনে হতাশ বোধ করলে । তারপর সহসা তার মুখের আশ্চৰ্য্য ভাবান্তর ঘটল । হাতের রুমাল দিয়ে সে দুই নীলাঞ্জন 8&為 চোখের উন্মত আশ্র দমন করলে। আমার বিশ্বন্ধ বিষম বেড়ে উঠলে । ঘছিলtট বয়ে—আমি এইমাত্র এখানে এসে নামছি ! হঠাৎ যে গুরুতর আঘাত পেয়েছি, কিছুতেই তা ভূলতে পারছি না। আমার দুৰ্ব্বলতা ক্ষমা করবেন। অঙ্কুট কণ্ঠে বল্লাম-আপনি কি কোলকাত৷ থেকে আসিছেন । —লা, ঠিক কোলকাতা থেকে ময় । আমি. আসছি শ্বিলং থেকে । —শিলং থেকে । চকিত হয়ে উঠলাম । বল্লাম—ম্বে ভদ্রলোক কয়েকদিন আগে এই শহরে হ৩ হয়েছেন, জাপলি কি তারু--- —ধ্যা। আমি উার ছোট ধোন। আমার নাম, চন্দ্র দত্ত । আমি শিলংএর গালস স্কুলে কাঞ্জ করি । লক্ষা করে দেখলাম, ডাই-বোনের মুখের চিাট শ্রীয় এক । দেখলেই বোঝ বন্ধু । এরই কথা বিজয়বাৰু আমার বলেছিল । প্লক্কত্তিস্থ হয়ে বল্পে-ধবরের কাগজে জামি দাদার মৃত্যু-সংবাদ পড়লাম। এখানে পৌঁছেই থানায় পিছলাম। তার উ্যর ঘড়ি এবং পকেট বইখালি অামায় দিলে। তার ফটোগ্রাফ আমার দেখালে। তার বেণী আর কোন খবর দিতে পাইলে না। এ সংলায়ে দাদা ছড়ি স্বামীর আর কোন স্বাস্ত্রীয় বা বন্ধু ছিল না। সেই দ্বাদাকে ষে এমন করে হীরাতে হবে, তা স্বপ্লেগু ভাবতে পারি নি । শেষের দিকে চন্দ্রার কণ্ঠস্বর ভেঙে পড়ল । কঠিন আত্মিসংযমী মেয়ে, কিন্ত তবুও মনের বেদন লে চেপে রাখতে পারছে না । বল্লাম-ভারী দুঃখ লাগছে আপনার কথা
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪২৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।