'ச: বাধ্য হইয়। সন্তোষ গ্রামের সীমা ছাড়াইয়। চলিয়া গেল, তাহা ক্ৰমে শাখ-পঙ্কৰে পরিপুষ্ট হইয়া এমন রূপ ধারণ করিষ্কাছে, যাঁহাতে ও বাড়ীতে নিজের নিমন্ত্রণ-রক্ষা করিতে যাওয়া বিড়ম্বনা মাত্র। সকলে আকারে-ইঙ্কিণ্ডে ভাহাৰুে বিব্রত করিয়া তুলিতে প্রয়াল পাইবে না যে, তাহাও নিশ্চয় করিয়া ত কিছুক্ট বলা যায় না, স্বয়ং পাওয়াই স্বাভাবিক । সন্তোষ শরিয়া পড়িয়া তাহার সাহস অনেকখনি হরণ করিয়া লইয়া গিয়াছে । সে ধণি প্রত্যক্ষ লভ য় ধাড়াইয়া স্পষ্টভাষায় মিথ্যার তীব্র প্রতিবাক্ষ করিত, তবে ব্যাপারট। বিশেষরূপে ছড়াইয়া পড়িত সঙ্গেহ নাই, কিন্তু বীণার পক্ষে নিমন্ত্রণ-রক্ষা করাটা কিছু সড়ঙ্গ হইত বলিয়া তাহার মনে হইল। কিন্তু ঠিক কি বে হুইত, তাহা লেগু বুঝিতে পারিতেছিল না । ম:হুষ যে অবস্থায় সম্মুখে আসিয়া পড়ে ত-হাকেই শক্ত, এবং খাঁহার সন্মুখীন হওয়া গেল না, তাহাকেই সহজ মনে করিয়া থাকে- বীশ তাছাই মনে করি:তছিল। পরমুহূর্বেই আবার নিজের এই ক্ষ+ দৌৰ্ব্বল্যে বীণা নিজেই চমূকাইয়া উঠিল । এই উৎকট চিন্তু হইতে জ্ঞাপনাকে যুক্তি দিবার জন্ম পরিত্যক্ত মাণিক-পত্ৰখানা আবার তুলিয়া লইয়া তরুবালার সাহানের প্রতীক্ষাই করিতে লাগিল । স্বামী কর্তৃক বিবৃত ভূ-স্বৰ্গ কাশ্মীরের নৈসর্গিক সৌন্দর্ঘ্যরাশির মধ্যে সে যখন প্রাণমন ঢালিয়া দিয়াছে, তখন তরুবালা জাসিয়া বলিল, ছোট-বোঁ অহোরাত্র খোবার কি অনুস্থশে বই পড়া বল ত ঘরে জাগুণ লেগে গেলেও বে তোমার হ’ল হয় না । খাওয়া-দাওয়া করতে হবে না ? এই যাই।-বলিয়া বীণ। উঠিয়া জীড়াইল । [अवष ब$ শুকুৰালা এতদিন পরে এই প্রথম বীণার স্কপ লিবিষ্টচিত্ত্বে পরীক্ষা করিয়া দেখিল । এতখানি রূপ —লে বিম্মিত হইল না, একটা অকারণ দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া বুকের বোঝা অনেকখানি হাল্কা করিল। পুরুষের জ্বল হল্লা করিয়া তখন নিমন্ত্রণ-বাড়ী হইতে বিদায় লইতেছিল হাড়-হাৰাতে মাঠষ্ট চিতাগ্রির মত দাউদাউ করিয়া জলিতেছিল। শৈলেশ মাঠে প৷ বাড়াইয়াই এক ৰূলকৃ তপ্ত নিশ্বাস অহঙ্কৰ করিল। দুঃখীরাম অমনি আত্মপ্রশংসায় উন্মুখ হইয়া উঠিল। এসব হযোগ সে কোনদিনই বার্থ হইতে দেয় না। সে বলিল আমার কথা না শুনলে স্বজি কি কইটাই না পেতে দাদাবাৰু। শৈলেশ দুঃখীকে খুলি করিবার জন্যই বলিল, এই জয়েই ত আর সবাইকে বাদ দিয়ে তোকে সক্ষে আনতে চাই স্থখু। দুঃখী আত্মমৰ্যাদা উপলব্ধি করিয়া গুদগাভাবে বলিল, কত ভাৰাৰুও আমাকে ভিন্ন জার কাউকে সঙ্গে নেন না । এমন সময়ে দুখীয়ামের মনে পড়িয়া গেল, –তাই ত, সেই বাঢ়টা আবার যদি এই অবসরে বাগানের উপর উৎপাত হুরু করিয়া দেয়, অৰে ভাঁহাকে বাৰা দিবীর মত কেহ যে নাই। এখন উপায় ? কোন উপায় স্থির করিতে না পারিয়া দুঃখারাম নিডtঞ্চ অসহায়ভাবে বলিল, দাদাবাৰু, এই স্ব?—একটা ভুল হ’য়ে গেছে যে । শৈলেশ বলিল, ক্ষি সাখার তোর ভুল ছলে ? ছুঃখীরাম নিতাঙ্ক প্রাণহীনের মত বলিল,
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪৩৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।