পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪৪৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

838 তাই, বলিয়! মাঝি ক্ষণকাল শুব্ধ হইয়৷ রহিল। পরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলিয়া আরম্ভ করিল,— কমৃলি-মায়ের তখন ন’-দশ বছর বয়স-ঙ্গান বুদ্ধি হয়েছে, সব কথা বুঝতে পারে। বাপু যখন প্রকৃতিস্থ থাকত, সে বীপকে কত করে” বোঝাবার চেষ্ট্র করত । তপন বীপের অস্তৃতাপ হ’ত ; মেয়েকে বলভেন,—স্বাক্ষী মা, ভাই হবে, আর ৪ সব ছোবে। লী । মেয়ে স্নেহ-কোমল-স্বরে মাজার করে’ ব’লত,—এবীর কিন্তু দেঙ্গলে তোমার হাত থেকে টেনে ও ধৰ মেলে দেব বলে দিচ্চি বালা, তখন তুমি ব’কতে পাবে না কিন্ত । —আচ্ছা মা, তাই হবে, বগে হেসে বাপ মেয়েকে কোলের মধো টেনে নিতেন । কিন্তু পেটে ৪ বিধ প’স্কুলে, মাল্পৰ মায় মাছুষ থাকে না। সেইদিনই সা-র সময়ে বাবু উrর প্রতিঙ্গ ভুলে, ইয়ারদের নিয়ে বৈঠকখানা ঘরে মাত লাম্বি করচেন...স্বরের দরজাটা সেদিন বন্ধ করে দিতে লোপ হয় মায় মনে নেই.কমলিলা ঝড়ের লেগে ঘরে ঢুকে তার টানাটাল চোখে বিদ্যুতের দীপ্তি হেনে গ্ৰীক ভাৰে শুধু বললে,-বাবা, আবার ? দত্তবাবু মাতাল অবস্থায়ও যেন একটু চম্কে উঠলেন। কিন্তু সে মুহুর্জের জঙ্ক । ভর পরেই টালতে টল্‌তে উঠে এসে গুড়িয়ে জড়িয়ে বললেন,—কেরে ছুড়ি, এমন জমাটি ফুঞ্জির সময়ে ব্যাঘাত ঘটাতে এলি ---ফী’ বেরে। এখান থেকে--শীগগির--- ইয়ারের হাঃ হাঃ করে জটহাসি হেসে তার কাজের সমর্থন করল। কমূলি-মা দৃপ্তকণ্ঠে ব’লল,-কি বললে বাবা, আমি বের হৰ ? স্বত্তবাবু মত্ত পশুর মতন গর্জন করে উইলেন-হ্যাঁ, বেরে, এখান থেকে দূর হয়ে ধা--- ৰলিই তাকে জোরে একটা ঠেলা দিলেন। [ञश्श ि কলি-যা সে ঠেলা সামূলাতে না পেরে, দরজার চৌকাঠে হোচট খেয়ে সজোরে ঘরের বাইরে ছিছকে পড়ে গেল। সেই যে অঞ্জন হয়ে গেল, সারারাত্তির আর জ্ঞান হ’ল না। কেবল প্ৰলাপ ব’কতে লা’গন,—আমায় দুর করে’ দিয়েছ, বেশ, আমি দূরই হব, বেশ । পুরের দিন সকালে বাবুর যখন জ্ঞান হ’ল, কন্যাহারা জননীর কঙ্কণ হাৰ্তনাদ শুনে পূৰ্ব্বরাত্রের ঘটনা সব তার মনে পড়ল, অীর তীব্র স্বস্থশোচনায় বুক যেন ভেঙে যাবার মত হ’ল । কিন্তু তখন সব জগুশোচনাই বৃথা,--শ্বা হুষার তা’ হ’য়ে গিয়েছে । এই ঘটনার পর থেকেই বাবুর ব্যবসায়ে লোকসান জারম্ভ হ’ল । পয় পর ক’ট। ঘ! গেয়ে তা’র দোকান অতি অল্পদিনের মধ্যেষ্ট প্রায় উঠে যাবার স্থাপিল হ'ল। উপযুক্ত বড় ছেলে হঠাৎ ছুদিনের স্থার মারা গেল। তা'র মালখানেকের মধ্যেই গিল্পী-মা মাথায় রক্ত উঠে মারা গেলেল। এই সব দেখে যাযুর আর বাড়ী থাকস্তে লাহুল হ’ল না, -ক’টি ছেলে নিয়ে দেশত্যাগী হলেন । সেই থেকে তা’র জার দেশে ফেরেন নি। এখন স্ট্রা"া কোথায় কি ভাবে আছেন, তাও কেউ জানে না। বাবুর সে দোকানও শুনেছি, অনেকদিন হ’ল উঠে গেছে। শার সেই তিনমহলা বাড়ীর দুর্দশা আপনার ত নিজের চোখেই দেখছেন। এই পৰাস্ত বলিয়া মাঝি চুপ করিল। স্বামীদের মন তখনও ৰেল আর্তীত কালের এক নবনির্ণিত স্বহস্তেময় প্রাসাদের আনাচেকানাচে ঘূরিতেছিল। হয়ত জঙ্ক সময়ে আর কাছাৱও মুখে শুনিলে ঘটনাটিকে অবাস্তব কাহিনী বলিয়াই উড়াইয়া দিতাম, কিন্তু সেদিন সেই মেঘ-মেয় আকাশ, বর্ধণ-মুখর সন্ধ্য, বাহি