পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৪৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

#ఆ8 হঠাৎ দেখিলাম, রাস্তাটা যেখানে র্যাকিয়া গিয়াছে, সেইদিক হইতে কে যেন আসিতেছে । নারীমূর্তিই বটে। যাকৃ, বাচা গেল । সামূনাসামণি হইবামাত্র আমি রমেনের শিক্ষামত বলিলাম, ‘ফকীরকে একঠো অ'থেল। জেলায় দেও মায়ি ।” কিন্তু যায়ীর তাহাতে ক্ৰক্ষেপ নাই । তিনি অগ্রসর হইলেন। আমিও উহার সম্মুখীন হইয়। আবার হাত পাতিলাম। অন্ধকারে মুখ পেখিতে পাইলাম না, তবে অনুমানে বুঝিলাম,—ইনি রমেনের ভাবীবধুটিই বটেন । এবার উত্তং ছইল, "লেহি হায় । স্বাস্থ ।" কিন্তু আমিও মাছোড়বাণী। প্রায় তাহার কাছ থেসিয়া আসিয়া বমিলান, ই কেয়৷ বাত মায়ি, একঠো আপেল মেহি হাঁয় ? হাতমে তো সোনেক চুড়ী স্থায়, জাউই কথা ছিল, যেন নিকটেই লুকাইয়া খাকিবে । আমি উহাকে অগ্রসর হইতে দিব না, সেই সময় সে আসিয়া বীরত্ব দেখাইয়। জামাকে দূর বরিয়া দিবে এবং উহাকে উদ্ধার করিয়া বাড়ী পৌছাইয় দিবে। রাগটা বেশী করিয়া দেখাইতে গিয়া যেন আমাকে প্রহায়ট্রহায় না করে, সে কথা তাঁহাকে পুনঃপুনঃ ভাল করিয়া বলিয়ু পিয়াছিলাম । তারপর সে দুষ্মন্ত হোক বা জগংসিংহ হোক বা ষ্টীমারের ঝাঁপ দেওয়া সেই তরুণ নায়ক হোক, তাহাতে আমার আপত্তি ছিল না। একটু রাগের সহিত উত্তর হইল, নেহি হয়ে বোলা— আমিও সামূনে আসিয়া পখরোধ করিয়া ধাড়াইলাম । বুকের ভেতর তখন ধেন গুল্পগুর করিয়া কঁাপিতেছিল। জামার কম্বলটা বোধ হয় তাহার শাড়ীয় জাচলটা স্পর্শ ফরিদ্ধা नयम वरै থাকিবে, হঠাৎ তিনি দূরে ছিটকাইয়া গিয়া চীৎকার করিয়া উঠিলেন, ‘পুলিল—” বঁকের মুখে দেখিলাম একজন বাঙ্গালী ভদ্রলোক অত্যন্ত বাস্তভাবে এদিকে আসিতেছেন। ফাৰু, ব্লমেনটাই তবে আসিয়া পড়িয়াছে। কিন্তু, হাভে লাঠি কেন আবার ? যাই হোকৃ, গাস্থের কম্বলট এবং মুখের গোষ্ণদাড়িগুলা খুলিতে পারিলে যে বঁচি } মুহূর্ভের মধ্যে আমার মুণে টর্চ লাইটের তীব্র আগে পড়িল, এবং সঙ্গে-সঙ্গেই কঁাধে এক ঘা লাঠি । তারপরই এক চীৎকার এবং সঙ্গেসঙ্গেই এদিক-ওদিক হইতে পাচ-সাতটা লোক ছুটিয়া আসিল । কি সৰ্ব্বনাশ ! এও কি রমেনের প্ল্যানের মধ্যে না কি ? আমাকে যিনি লাঠি মারিয়ছিলেন, হঠাৎ টর্চে লাইটট একবার তাহার মুখের উপর পড়িতেই, আমার বণ্ঠ হইতে একটা অঙ্কুট আওয়াজ বাছির হুইয়া আসিল । এ কি, এ তে রমেন নয় । সে হতভূগো তয়ে গেল কোবার ? আমাকে এই বিপদের মুণে ফেলিয়া— যে লোকগুলি জলিল, তাহার যে জামায় সঙ্কে কিক্ষপ ব্যবহার করিল, তাহা না বলিলেও কাহারও জহুবিধা নাই। মোটা কম্বলের কল্যালে প্রথম আধান্তটা অামি কোনরূপে গছ করিয়াছিল:ম, কিন্তু তারপরের চার-পাচ ঘাঁ । উঃ, সে কথা মনে পড়িলে আজও চোখের জল চাপিয়া ঝুঁথিতে পারি না। দুর্ভোগটা সেইখানেই শেষ হইল না। থানায় আলিতে হুইল। তাহারা কেস ডায়েরী করিয়া দিয়া চলিয়া গেলেন । আমাকে হাজতের ছুম্বায় খুলিয়া দিল । চোখে জল অনেকক্ষপ আসিন্ধাছিল, এবার স্পষ্টষ্ট কাদিয়া ফেলিলাম । প্রায় ঘন্টাখানেক পরে জাবার জাবার ভাস্ক