পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

دن سے জাত-অজ্ঞাত অবজ্ঞাত লেখকের স্বম্বস্ত উপজ্ঞাস খোলা পড়িয়া থাকিতে দেখিয়াছে, কিন্তু পাঠ্যপুস্তকের এমন দুর্দশ যে কোনঞ্জিন দেখিয়াছে বলিয়া তাহার মনে পড়ে না। সন্তোষ তাড়াতাড়ি বইথন বন্ধু করিতেই বীণা হাসিয়া ফেলিয়া বলিল, গুগুলোর ধুলো ঝেড়ে-পুছে একবার যখন খুলে বসেছ, তখন আর বন্ধু করো না, বরং আমিই ফিরে যাচ্ছি। সন্তোষ বীণার এ কথার তাৎপৰ্য্য ভাল করিয়া বুঝিতে পারিল মা ! অ্যার এমনটির জন্তু সে প্রস্তুতও ছিল না। বীণ। ফিরিয়া গাড়াইতেই সে বলিল, বৌদি", এখন উপস্তল নয়। তাহার ভিতরের কথা বীণা বুঝিল , বলিল, . উপন্যাস হ’লে বোধ হয় আমি চলে গেলেই छूर्षि খুলি হতে, ঠাকুরপো ? না, তাও না –বলিয়া সন্তোৰ মেহাগিনি কাঠের টেবিলের উপরকার চঞ্চচকে পালিশের উপর দৃষ্টি পাতিয়া বসিয়া ছিল। . ধীগ। ফিরিয়া ধাড়াইয়া টেবিলের উপর একটা হাত রাখিয়া নীরব হইয় রছিল। এই জমুণ্ডধ্য নীরবত্তা উভয়ের মধ্যে কাজ করিয়া যাইতেছিল। যৌনত ত্বে কখনও প্ৰগলভ বাক্যালাপকেও ছাপাইয়া উঠিতে পারে, তাহা ইহার পূর্কে সন্তোষের কোনদিন ধারণা ছিল না। কত সম্ভব-অসম্ভব, সুস্পষ্ট-অস্পষ্ট কথার জালোড়নে তাহার অন্তর বিধ্বস্ত হইয়া .যাইতেছিল। বীণা তাহার কাছে নীরব থাকিয়াই যেন আরও প্ৰগলভ মুখর হইয় উঠিয়াছিল । ঠাকুরপো ! আর মুহূর্তের বিলম্বে সন্তোৰ হয় ত উন্মাহের মত চীংকার করিয়া উঠিয়া ৰলিত, বৌদি", কথা কও ন ত্বে ?—এখন তাহার এই ৰিপুল উৎকণ্ঠা , ঠেলিয়া একটা ক্ষীণ দীর্ঘশ্বাস বাহির হুইয়া নবম বর্ষ আসিল । সময়ে সময়ে নীরবতার বেদনা যে কস্তখান তীব্ৰ হুইয়া উঠিতে পারে, তাহার পরিচয় জীবনে সে এই প্রথম পাইল । বীণা সন্তোষকে পূৰ্ব্ববৎ নীরব দেখিয়। বলিল, ঠাকুরপে, একটা কথা বলব বিশ্বাস ৰুরবে ? বীণা যে তাহাকে কোথা হইতে কোথায় লইয়া ধাইতেছে, তাহ অল্পমান কল্লিতে না পারিয়াই সে নীরব হুইয়া রছিল। বীণ চেয়ায়ের হাতলের উপর একটা হাত রাখিয়া সঞ্জোযের অতি কাছে ফুকিয়া পড়িয়া বলিতে লাগিল, ঠাকুরপো, জামি যে তোমাকে সত্যি ভালবাসি একথা তুমি বিশ্বাস করতে পার ? সঙ্কোৰ দেহের উপর একটা উগ্র উত্তপ্ত নিশ্বাস অনুভব করিয়া চমূকাই উঠিল। এমন কিছুর জঞ্চ সে একেবারেই প্রস্তুত ছিল না । তাহার মনে হইতেছিল, কে যেন তিল তিল করিয়া তাঙ্কাকে জাতীয় পিৰিয়া মারিতেছিল। চতুৰ্দ্ধিক হইতে যেন রন্ধহীন বিপুল অন্ধকার ধীরে ধীরে তাহাঙ্কে ছাইয়া ফেলিতেছিল। বীণা ঠোটের সীমান্তে মৃদু হাসির রেখা টানিক্স স্বলিল, নেহাতই উপন্যালের মত শোনায় বটে, মা ? সম্ভোৰ কম্পিক্তকণ্ঠে নিজের অস্তিত্ব সুপ্রমাণ করিয়া তুলিতেই যেন ডাকিল, বৌদি ! বীণা সংষত্তকণ্ঠে বলিয়া চলিল, ঠাকুরপো, কথাটা ধখন একবার উঠে পড়েছে, তখন তা" শেষ করে ফেলাই ভাল । আমার রূপের না কি স্বার তুলনা হয় মা ! একখা আমি প্রথম জানতাম ম। লোকের মুখে শুনে শুনেই ক্রমে আমার মধ্যেও কেন জানি মা শুই ধারণাই জন্মে গেল । কগুস্ত্রী যুগ শুনি তাঁর নিজের নাভীগন্ধে পাগল পাগল হু’য়ে স্বায় ; কিন্তু যার জঙ্গে সে পাগল, তার সন্ধান লে কিছুতেই পায় না। অামার