পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পৌষ, ১৩৪* পরিবর্তন করা দরকার। কোথায় যাব কিছুই ঠিক্‌ করতে পার্লুম না। গিী গভীরভাৰে হুকুম করলেন—“অত ভাবতে গেলে চলে না। পুরী কিম্বা মধুপুর যেথা হোক চলো । ‘আমি হাসূলুম। মনে মনে বল্লুম— "ওখানে অনেক খরচ, ও স্ববিধা হবে না P কিছুক্ষণ ভেবে বঙ্গলুম—“দেশে বাব স্থির করেছি। এখন ওখানে দুধ-মাছ খুব সঞ্চা ; দু’দিনেই স্বাস্থা ফিরে যাবে।” “গিল্পী খুব উৎফুল্ল হ’য়ে উঠল। শেও কখনো দেশ দেখে নি। বললে—“বেশ, তাই ভাল ? তারপর একদিন সন্ত্ৰীক দেশের বাড়ীতে গিয়ে ওঠা"গেল । ‘দিন কয়েকের মধ্যেই শরীর অনেকটা ভাগ হয়ে গেল । বেশ বল পেলুম। রোগ যুক্ত হওয়ায় আনন্দ্রে মন ভয়ে উঠল । খাট দুধ স্বার গ্রচুর মাছ খেতে পেয়ে সতীও কড় কম খুশি হলো না। “সেদিন সকালে যাইয়ের ঘরে বসে জমকয়েক প্রজার সঙ্গে বাকী খাজনার হিসেব করছিলুম, হঠাৎ শ্ৰীধর এসে খবর দিলে—“বোস-মশায়ের বাড়ীতে দারোগ এসেছেন, লোকে লোকল্পিণ্য - “কি ব্যাপার জানতে বড় কৌতুহল হলে ॥ " গ্রামের মধ্যে বোস-মশায় নিরীহ, ধাৰ্ম্মিক লোক : তার বাড়ীতে পুলিশের হানা কেন ? প্রদাদের বিদায় করে, তাড়াতাড়ি সেখানে ছুটে গেলুম। “গিয়ে দেখলুম, তার চণ্ডীমণ্ডপে দারোঙ্গাবাবু বসেছেন ; তার আশে-পাশে গ্রামের মাত্তৰবর লোকের দাড়িয়ে । সকলের চোখে-মুখেই একটা ক্রর নিষ্ঠুর হাসি। ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে তারা কি বলবিলি করছিল। ‘বোস-মুশায় বারোগার সামনে নতমুখে চুপ কলঙ্ক ভঞ্জন ¢\ኳፃ করে বলেছিলেন , আর মাঝে মাঝে কাপড় দিয়ে চোখ মুছছিলেন। বোস-মশায় কতরুস্বরে স্বারোগীবাবুকে বলছিলেন— *আমার বিরুদ্ধে যখন অতগুলি প্রমাণ পেয়েছেন, তখন স্ত আমার কোন যুক্তিই চলে না। ধা’ শাস্তি ঘেৰার জামাকেই দিন ; দয়া করে বেীমার জবানবন্ধী আৰু নেবেন না ? ‘দারোগাৰাৰু তার গম্ভীর মুখ আরো গষ্ঠীর করে” বললেন, "ছ" " ‘আমি এগিয়ে গিয়ে প্রশ্ন করলুম—‘ব্যাপার কি মারোগাবাৰু ? “তিনি একবার বক্রন্থটিতে আমার দিকে চাইলেন। ভবিট। এই যে,—তুমি কে ছে বাপু ? বৃদ্ধ রায়-স্বশায় এগিয়ে গিয়ে বলম্মেল—একে চিন্‌গেন ন হুজুর ? এ জায়াদের রজনীদা’র ছেলে । একেবারে রত্ন । সহরে ওকালতি করে ; দু-চাদিনের জন্য দেশ দেখতে এসেছে। দ্বারোগীবাবু বাবাকে যেন খুবই চিনতেন, এমনি মূখ-ভগ্নী কয়ে’ বললেন--"ও। তারপর আমার দিকে স্বপ্রলয়-দৃষ্টিতে চেয়ে বললেন— “বলেন কেন মশায়, তাই কেস। কালপেবেল হোমিসাইও এই বোস-মশায়ের বিধৰা তাত্রবধু পরশু রাত্রে একটি পুত্র প্রসব করেছিল ; আর ইনি তাকে হত্য করে শুই গাধগাছটার লীচে পুতে ফেলেছেন। অবৈধ প্রদের ফলে যে পাপের স্বষ্টি, তার হাত থেকে কি অত সহজেই মুক্তি পাণ্ডস্থ যায় ? এই ৰলে’ ভিনি হাসতে লাগলেন। কী বীভৎস সে হালি ! বোল-মশায় আমার দিকে কাতর-পৃষ্টিতে চাইলেন। ‘সাক্ষীদের জবানবন্দ দারোগীবাবু পূৰ্ব্বেই নিয়েছিলেন ; আমার দিকে চেয়ে বললেন-- “মায় লাল পর্যন্ত বেরিয়েছে—প্রমাণের ত জার