পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃtঘ, ১৩৪৪ পালাই। কিন্তু কাচ্চাবাগুলোর কচি মুখ আর সে হতভাগীটার কথা মনে হ’লে পায়ে কে যেন শেকল বেঁধে দেয় । মাস মাস যে এই দশটা করে টাকা পাঠাতে পাচ্ছি—সেই আমার বহু ভাগ্যি !" শেষটা ওর গলার স্বর আটকে আসে। মেঘে ঢাকা অন্ধকার রাতের কালিমা ওর মূখের ওপর ছায় ফেলে। আর কিছু বলে না। নীরবতা বড় বিশ্ৰী হ’য়ে খাজে। চেয়ার ছেড়ে অপূর্ণ উঠে দাড়ায় । বাণীকান্ত হাণ্ডবিলের সাধন খুলে অৰ্দ্ধেক ভাগ কমিয়ে বাষ্ট্ৰীট। অলিমারীতে তুলে রাখে। একরাশ আবেদনপত্র বার করে অপূর্ণর হাতে তুলে দিয়ে বলে— "আপনি এই সাদাগুলো নিমূ-- হাঁগুৰিলগুলো বরং আমার কাছে থাকৃ।” দু’জনে ঘর ইত বেরিয়ে এলে ছয়ারে তাগ দেয়। তেতািলর সিড়ি ভেঙে বিরাট আটালিকার অন্ধকারময় জঠর ছেড়ে আলোকিত রাজপথে সেমে জালে । টাউন-হল । *প্রফুল্ল জয়ন্তী'র স্থবিপুল সমারোহ ! আভিজাত-সম্প্রদায়ের অর্ধ-স্কুট কথার গুঞ্জয়ণে তোরণ-পথ মুখরিত-আতর আর চুরুটের গন্ধে ভরপুর। নারীদের চাক্ষ-অঙ্গ ঘিরে নানাবর্ণের বিচিত্র জুবা নানা ছন্দে লীলায়িত। মোটরের বিকট হর্ণে" শব্দ গভীর বিদ্রুপে ভূগ্নে’ ওঠে। অন্ধছিন্ন অৰ্দ্ধমলিন ৰসনে ঘুরে স্বারা দ্বাড়িয়ে থাকে--ভয়ে ভয়ে দু-একপা করে এগিয়ে এসে তারা জিজ্ঞেস করে—“কিসের তামাস বাৰু?” অপূর্ণ জবাব দেয় না। মনে মনে ভাৰে— তামসাই বটে । জহুরূপবাবুর হুকুম ছিঙ্গ, डिमि न घांमः श्रृंérख़ दिलां*न बिलि gशन बक यब्लकौछे ðፃ থাকে। তিনি এলে পর নিজে থেকে তার বন্দুেরবস্ত করে দেবেন। ভিড় ঠেলে জহুরূপধাৰু হাসিমুখে সামনে এসে লড়ান। সঙ্গে ক্যাসিয়ারবাৰু ও ইঞ্জিনিয়ার বংশীবদনবাৰু। অঙ্গরূপবাৰু অপুর্ণকে জিজ্ঞেস করেন— “কতক্ষণ এসেছ ?” অপূর্ণ বলে—”এই কিছুক্ষণ হলো।” জুজুরূপবালুর জ্বালার মৃত চেহারা । গলার আশুম্বাজ তেমনি গষ্ঠীর । সবুদ্ধ প্রান্তরের কোলে ভূপহীন ভূগণ্ডের মত তালুর ওপর টাক । গেীরবর্ণ—বয়স চল্লিশের কোঠায় । অনেকে ঠাটা করে তাকে ৰলে—“আচল পৰ্ব্বত ।" গাড়ী-বারান্সার তুলে হলের প্রকাগু ছুয়ায়ের সাম্নে এসে অঙ্কন্ধপবাবু দু’জনকে জুই সীমাণ্ডে ছাড়িয়ে কাগজ ৰিপি করবার উপদেশ দিয়ে ইঞ্জিনিয়া বাৰু ও ক্যাসিয়ারবাবুর সঙ্গে তিনি ভেতরে প্রবেশ করেন। ৰাণীকান্ড বলে—“দেখলেন ত কাওধান একবার—ছুটে টাকা খরচ কয়ে থ’খান টিকিট কিনৃতে গাঘে যেন বিছে কামড়ালো ! কিঞ্জিনের একশেষ ” লে গাড়ী-বারান্সার দক্ষিণ সীমান্তে চলে’ च[* ॥ পত্রপুপ স্থশোভিত ছয়ারের দু'পাশে পাতাবাহায়ের টৰ—সবুজ হালির অভ্যর্থনা বয়ে' মর্শ্বৱ সোপানাৰলীর ধাপে ধাপে লেমে এসেছে। রঙ-বেরও কাগজের কৃত্রিম শুঙ্খল স্তঞ্চের মাঝে মাঝে পাষাণ-পুরীর কণ্ঠহারের মত বাতাসের নিশ্বাসে ছলে ছলে উঠছে । তলায় লাল কঁকয়ের রাস্তা। কোন লাতি অনাবৃত বেদনার গভীর রঙে রঙীন । দামী জুতোর ভারী জণ্ডিয়াঙ্ক আঘাতের চিহ্ন একে