পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাখ, ১৩৪e ] আর শরি লি । অনাহারে মরতেও সাহসে কুলোলে না ; কাজেই যে আমাকে এই অপযশের মধ্যে এমন করে ডুবিয়ে দিল, ভারই কাছে গিয়ে খোরপোম্বেব জন্যে দাবী জানাতে হলো । তা' ছাড়া, আর অক্স উপায়ুও ভ ছিল না আমার । সেও রাঙ্গী হলো । যে আধখন কপাল পুড়তে সেদিনও বাকী ছিল তাও পুড়ে খাকৃ হলো । এখনও ভ আবার অনীহাক্সেই মরতে হবে s কিন্তু সেদিন মরতে কেন যে ভয় পেয়েছিলাম, তা’ ত ভেৰে পাই ল ৷ সবই গ্রহের ফের বেীমা, গ্রহের ক্ষের । বলিয়া সে যেন একটা স্বন্তিম দীর্ঘশ্বাস ফেলিল। অন্ধকারে বীণার চোপ বাহিয়াও ছুই ফোট। তপ্ত অখ গড়াইয়া পড়িল । বীণা মৃথন ব্যথাক্ষতির হৃদয়ে এই স্বস্তুতপ্ত। শারীর স্বীকারোক্তির নিগূঢ় কারণ আবিষ্কার করিতে নিজেকে নিয়োজিত করিয়াছিল, তথল সন্তোষ লিজের ঘরে স্বালে হাতে প্রবেশ করিয়াই বিস্ময়ে ডুবিয়া গিয়াছিল । স্থানেঅস্থানে প্রক্ষিপ্ত পুস্তকরাশি যে ছটিয়৷ শ্ব স্ব স্থানে ফিরিয়া যায় নাই ভাই। ঠিক । আর তুলিয়া রাখা শয্যাট যে আপনি পাতা হইয়৷ যায় নাই, তাহাও বোঝা এমন কিছু কঠিন নয় । একবার তাহার মনে হইল, মা যদি ধরের অগোছান অবস্থা যেগিয়া সমস্ত ঠিকৃ-ঠাকৃ কল্পিস্থা সাজাইয়। রাখিয় থাকেন। কিন্তু কাত্যাহ্মণী দেবীর কোন কাজ না থাকা সত্ত্বেও অবসন্ত্র তিনি কোনদিনই পান না। সকাল হইতে সন্ধ্যা পৰ্য্যস্ত তিনি এমনি সব নগণ্য কাজের পিছনে খুরিয়া ফেরেন যে, দিনান্তে তাঁহাঁর হিসাব করিতে গিয়া দেখেন, প্রধান ও প্রয়োজনীয় কাৰ্য্যগুলিই করিতে ভুলিয়া গেছেন। সমস্ত দিনে তিনি যে কতবার স্বান করিতেন, তাহ হিসাব কৱিস্থা বলা কঠিন। অক্সাত কেহু তাহার পাশ দিয়া গেলে বিস্ময় సిరి নিজের শুচিত রক্ষণ করিবার জুস্থ উহাকে পুকুরের ঘাটে যাইতে হইত। শুচিত সম্বন্ধে এতখানি প্রখর দৃষ্টি আছে বলিয়াই তিনি পুত্রের কক্ষে পারতপক্ষে প্রবেশ করিতেন না এবং প্রবেশ করিলেও বাহিরে অসিয়াই স্থান করিয়ু ফেলিতেন। তাই সন্তোষ সহজেই বুঝিল যে, মায়ের দ্বার তাহ। কিছুতেই সঞ্চৰ নয় । কধুেকনি পখ্রিস্থ সে ইহাই লক্ষা করিয়া আলিতেছে যে কে একজন একাস্থ গোপনে লিশকে তাহার কক্ষগুলি করিয়া ধিয়া যাইতেছে । প্রণয় সে বীণাকেই সন্দেহ করিয়াছিল, কিঞ্চ বীণা প্রকাশ্যে না করিয়া অলক্ষিত থাকিয়? কাঞ্জ কপিৰে কেল, তাহাক্ট সে বিশ্বাস করিতে পারিতেছিল না। অনেক ভাবিয়া-চিন্তিয়াও এই গোপনচান্ত্রিণ সেবা-নিরক্তাকে যুগল সে আবিষ্কার ধরিতে পারিল না, তখন স্বস্বল্পম্ভাবে পাতা শধ্যার উপরে যে তাহার দেহভার এলাইয়া দিল সহসা পিঠে কি-একটা জিনিষ বিধিতেই আবার সে উঠিয়া বসিল । পিঠে স্বাস্থা লিপিয়াছিল, তাঙ্কারই উপর ঘরের জালে পড়ায় তাহ চিক্fচক্‌ করিয়া জ্বলিতেছিল। সেদিকে চাহিয়া লঙ্কোৰ চৰকাইয়া উঠিল। বীণার কানের স্বর্ণগুল সে নিমিষেই চিলিস্ক লইয়া বিস্ময়ে শুষ্ক হইয়া রহিল । গোপনচারিণীকে মুহূর্তেই আবিষ্কার ফরিস্থ ফেলিয়া দে আরও বিপদে পড়িয়া গেল ! -- একটা বিষাক্ত রূপ তাঙ্গার চোখের সামলে থাকিয়া থাকিয়া ক্ষণ-বিদ্যুতের মত ঝলকিয়া উঠিতেছিল, একটা বিরাট রূপইন আশঙ্কা ক্ষণে ক্ষণে ভাহীর চোল চাপিয়া ধরিতেছিল,--তাহার সারা দেহে একটা বিপুল অশান্ত রক্ত চঞ্চল্য থাকিয়া থাকিম্বা উদ্ভান্স উদাম হইয়া উঠিতেছিল, পাছে এই রক্তের ঝলকৃ একটা নিদারণ চাপ দিম্ব সমস্ত বাধা-বন্ধ টুটিয়া ফেলিয়া বাহির হইয়া আলে। আলোটার দিকে নিতান্ত অসহার দৃষ্টি