পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఆరీ: ফেলিতেই মনে হইল, মাথায় তাহার আগুন ধরিয়া গিয়াছে । দুই হাতে সূৰলে মাথাটা চাপিয়া ধরিয়া সে শব্যার উপর মুখ গুজিয়া পড়িয়া রহিল। পৰ্ব্বক্ষণেই আবার তাহার মনে হইল, না, না, সে ত এত স্থৰ্ব্বল নয় । কিন্তু ঘরের মালোটা যে তাহার দুৰ্ব্বল হৃদয়কে একান্ত ব্যঙ্গ করিম্ভেই হাসিতেছে,ভাঁহা না মনে করিয়াণ্ড সে থাকিতে পারিল না । সন্তোষ তাড়াতাড়ি হাত বাড়াইয়। আলোচ। নিবাইয়া দিয়া চোখ বুঞ্জিল ; কিন্তু নিশ্বাস ফেলিতে গিয়া সহসা তাহার ধারণ হইল, বুকের মাঝে শ্বাস জমাট বাগিয়া গিয়াছে । চিচুর মা কপালে হাত ঠেকাইয়া তখন ৰীগাকে বুঝাইতেছিল, সব আদেষ্ট বৌম, সব আদেষ্ট ! তোমার আমার হাতে কিছুই নেই। এ দুনিয়ার দোষ তাই কিছুতেই দেওয়া চলে ন। -- ইত্যাদি, আরও কত কিছু। ভোরের কচি জীলোর স্পর্শে অঞ্চকারে জৎকাইয়া ৪ঠার সঙ্গে সঙ্গে সস্থোৰ একলাফে ঘয়ের বাহিরে আসিয়া ধাড়াইল । যে জুর দেবতা ঘরের মাঝে থাকিয়া থাকিয়া তাছাকে তপ্ত দীর্ঘশ্বাসের ধাচে তিল তিল করিয়া দুগ্ধ করিয়া মারিবাঙ্গ সংকল্প করিয়াছিল, তাহার কবল হইতে মুক্তি পাইয়া সে যেন পূরম পরিতৃপ্তি লাভ করিল। ঘরের প্রত্যেকটি জিনিষ ক্ষিসের স্পর্শ পাইয়া যে সহসা তাহার কাছে এমন বিষ হইয়া উঠিয়াছিল, তাহী সে ভাবিয়া পাইক্তেছিল না। কিন্তু বীণার সেদিনকার সেই কথাটী —“ঠাকুরপো, তুমিও আমাকে ভালবেসেছ— সারারাত তাহার বুকের মাঝে এমন ঝড় তুলিয়ছিল যে, সে বিভ্রাস্ত হইয়া ছনিরোধ বিপন্নতার কাছে আত্মসমৰ্পন করিয়া বসিয়াছিল। বাহিরে আসিয়া সে বুঝিল, রাত্রি যত দীর্ঘই হউক না কেন, তাহাও কাটিয়া যায়। সে যে [ নবম বর্ষ কী তৃপ্তি ! তাহার ভাব দেখিয়া মনে হইল, সে যেন আর কিছুতেই তপন ভয় পায় না। সহসা বীণা মৃদ্ধ হাসিয়া একেবারে সম্মুখে জাগিয়া ধাড়াইল : বলিল, ঠাকুরপো, আমার গোশার দুলট যে কোথায় খসে পড়ে গেল তা’ভ ভেবে পাচ্ছি না। মাকেও জানাতে সাহসে কুলোচ্ছে না ; কেন না, সোনা হারালে না কি স্বামীর অমঙ্গল হয়—শুনতে পাই। সঙ্কোৰ কোন কিছু না ভাবিয়াই বলিল— ফেলিল-স্বামীর অমঙ্গলের জন্তে আজিও কি ঙ্গোমাৱ ভস্থ হয় বৌদি' ? বীণার মুথ একটি সঙ্গাঙ্গ পবিত্র দীপ্তিতে উৰুক্তি হইয়া উঠিল। ভিতরে অনেকখানি উত্তেজন লে যেন অতিকষ্ট্রে চাপিয়া লইয়া উত্তর ৰঞ্জিল-হিন্দু-স্ত্রীর স্বামী যে কি জিনিষ, তাত তোমার অঞ্জনা নয় ঠাকুরপে । বে হিন্দুস্ত্রী উচ্ছৃঙ্খল, অপরকে ভালবাপে —তা’র পক্ষেও ঙ্কি ও কথা শ্বাটে না কি ?— ৰলিয়া সত্ত্বেৰি বীণার দুর্বল স্থানটিতে আঘাত করিতে পারিয়াছে ভাবিয়া মনে মনে খুশি হইয়া छैलेिन । বীণ অহম্বীপ্ত শাস্তকণ্ঠে বলিল-অপরের কথা বলতে পারি না, কিন্তু সতী-সাবিত্রীর চোখে তাদের স্বামী ঠিক যেমনটি ছিল, জামার চোগে৪ আমার স্বামী ঠিক তেমনই ঠাকুরপে ! -—তা’ হ’লে এমন করে” আর একজনকে ভালেবেগে তার মধ্যাঙ্গাকে স্কুঞ্জ করতে কখনই সাহসী হতে না বৌদ্ধি’। সতী-সাবিত্ৰী কী না পাৰ্বতন, কী না পেরেছেন ? — হাভের পাঁচট। জণ্ডিল যদি সমান হ’ত, আর ছনিয়ায় একটা বই ছটো পথ যদি না থাকভে ত আর ভাবনা ছিল কি ঠাকুরপো। ৰলিয়া বীণা বিপুল বেগে হাসিয়া উঠিল । বীণার বিন্ধপত্মিক হালির ধাক্কা সামূলাইতে