অন্যদিকে ভাতের ইড়ি জলের বল্লী, এনামেলের একখানি থাল। আর ঘটি। হোটেলে আর খাইভে যায় না, এখন স্বাস্ত্রী করে ও নিজের হাতে । এমনি ভাবে আরো তিলমাস কাটিয়া গেছে। এতদিন পরে অপুৰ্ব্ব সত্যসভাই বাড়ী যাইবার আয়োজন করিতে লাগিল । দুই যাহার স্বামী কলিকতীয় খাকিয়া হগুস্থ ফু’বার টাকা পাঠায়ু, পল্লীগ্রামে তাংরি গতির লক্ষ্মীনের অবধি থাকে মা । আঞ্জকাল কল্যাণীর বাড়ীড়ে পাড়াঃ cभएग्नरल टेद** य८न । >iभूि-भॊअ इञ्च, श्भছুঃখের আলোচনা চলে - কল্যাক্টর সহিত আলাপ করিতে পারিয়ু অনেক নারী সিঞ্জেক্ষে ভাগ্যবতী ভাবে । কেহ ছেলে-মেয়ের অমৃগের কথা বা নিজের দৈংষ্ট স্থানাইল্প চায় ছ'মান পয়ল নেয়, কেহ বা টাঙ্কণয় একমান স্থদে দুপাচ টাঙ্কণও ধার করে । দেখিতে দেখিতে মেয়েম্বছঃগ কল্যাণীর স্বর্দী কাল্পধায় জমি উঠে। চ’ পাঁচ টাকা হইতে দৃশ পুঁচিশ ও কল্যাণী ধার দেয় –কিন্তু খালি হাতে নয়, স্থির মত গোপীরূপার গহনা আখৰ পিতল কাসার বাসন বন্ধক রাখিয়া । পড়ার মেয়েদের মধ্যে আলেকে পীল করিয়া কল্যাণীর কাছে রাত্রে শুইতে আসে, স্বাকে স্বাঝে আহারাদিও করে। সেদিন বিকাল হইতে কাল-বৈশাখীর মাতণ স্বল্প হইয়াছিল, সন্ধ্যা উত্তীর্ণ হইয়া গেলেও ঝড়-জ্বল থামিতে চায় না কল্যাণী এক-এক বিছালীয় গুইয়া কত কি চিস্তা করিতেছিল । ফুৰ্য্যোগের জন্য আজ আর কেহ শুইতে [নবম বর্ষ আসিভে পরে নাই । আজ স্বামীর কথাই ওর মনে পড়ে বেশী কত্ৰিয় । এমন লোক, নিজের আসল ঠিকানটা পৰ্য্যস্ত এই ছ’মাসের মধ্যে লিখিয়া জানাইল না –স্বাঞ্জ একরকম,কাল আর এক্রকথ্র-স্কোপায় থাকে কে জানে! দীর্ঘ এই ছ’নামের মধ্যে ন দিল একখানা চিঠি, ন এতটুকু কুশল সংবাদ । কেমন আছে-- হয়তে ব- কোনো হোটেলের অন্ধকার ধরে অক্ষপে পড়ির আছে---কিংৰ হুয়তো টাকার মোহে নিরাত্রি পরিশ্রম করিতে ঋরিতে চিঠি লিখিবার সমদুই পঃস্থ না ? কল্যাণীকে আর কিছুদিন পূরে স্বাপেক্স ৰাষ্ট্রীতে মাইতে হইবে,-সুতুমাস উত্তীর্ণ হয়—প্রসবের সময় এখানে এমন কে আছে, যাহার ভরসা" সে এঙ্কা একা এই নিজম ধাঞ্জাভেই বাস করিম্ভে পারে । অথচ স্বামীকে সংবাদ দিবাঞ্জ উপায় নাই ! একদিন পরে কল্যাণী খাচায় পাখীর মত ফুটুফটু করিতে লাগিল। শুঙ্খলাবদ্ধ কয়েদীর বাৰ্থ ক্ৰন্থমে বাল্লিশ ভিল্লাষ্টয়া ফেলিল । মন রিঠি দিয়াছেন—ন হবে পাট সাতখানি । সব চিঠিগুলি তোষকেপ্ল নীচে হইভে বহির কfপ্লয়, কল্যাণী একখানির পর একখানি পড়িতে লাগিল । চোগের জলে দৃষ্টিশক্তি ঝাপস হইয়। স্বাগে; ইচ্ছ। হল্প খানিকগণ ডাক ছাড়িয়া কাদে ! টাকাই কি নারীর সূৰ্ব্বস্ব ! স্বামী হইয়াও কেন তিলি এ-কথাটা বুঝিম্বা দেপিলেন না! এখন স্বার স্থপূৰ্ব্বর একখানি মাত্র ভাঙাঘরই সম্বল নয়, এখন দস্তুর মত বাড়ী হইয়াছে ; ভাঙাধর মেরামত হইলাছে, চারিদিকে পাচিল উঠিয়াছে, সদর দরজায় কপাট পয্যন্ত লাগানে হইয়া গেছে - কল্যাণীর কল্যাণে বাকী কিছুই নাই । কেবল যার জিনিষ, সে আসিয়া দেখিলেট কল্যাণীর শ্রম সার্থক হয়। কৰ্ভু-জলের মাড়ল তখনো সমানে চলিতেছে ;
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৫৯৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।