ফাল্গুন, ১২৪e ] অসম্ভব ; মাহূব কখন ঘোড়ার সঙ্গে সমানে তাল রেখে চলতে পারে।” ঘণ্টা কতক বাদ ইস্কৃ ফিরিস্থ আসিলেন— বিষন্ন, চিস্তামগ্র । খানিক পরে তরুণ হাদিতে হাসিতে আসিয়া উপস্থিত হইল। গুণধর জিজ্ঞাসা করিল, “মানে ?” তরুণ ধীরকণ্ঠে বলিল, “চোখ থাকলে অনেক কিছুই দেখভে পেতে গুশধর । সে দৃষ্টি তোমার নেই, কাজেই মানে জিজ্ঞাসা করা সুখ । তোমায় বোঝাবার সময়টা আমার অস্থসন্ধানের পেছনে লাগালে বেশী কাজ হৰে ।” গুণধর ব্যস্ত হুইয়। বলিল, “কিন্তু সামঞ্জ এখানে থাকার কৰ্ত্তব্যটা অস্তুত্তঃ আমায় পুঝিয়েও ত দুগুয়া ফুরকায় ?” তরুণ বিরক্তভাবে ডাহুর দিকে চাহিয়া খলিল, “তুমি কেন এতদিন আমার সঙ্গে সঙ্গে ফিয়ছ বলতে পারি না। কপালের ওপর অত বড় বড় চোখ দুটো থেকেও নেই। প্রত্যেক কথার মাণেই যদি বোঝান্তে হয়, তা হলে একটা খাধাকেও রাখলে চলে । যা, শোল, ক’ঞ্জন বাড়ীর কাছে আসে, ৰ'জন বেরোয়, এ থোঙ্গ রাখবে । নিত্য আমাধ তাঁধ হিসেব দেবে । আfর দেখবে, তোমাদেরই মত আর কেউ এ বাড়ীটা চৌকী দিচ্ছে কিনা : গুণধরের বড় ইচ্ছা হইল জিজ্ঞাসা করে, চৌকী দিবার লোক তাহারা ছাড়া আর কেউ আছে না কি ? কিন্তু তৎসিত হইবার ভয়ে সে কথা বলিতে সাহস করিল না। তরুণ তাহার মুখের দিকে চাহিয়া হাসিল ; বলিল, “তোম্বার মনের কথা যা, তা বুঝেছি । ইঁ্য আছে ; আর তারই ঠিকানা আমাদের জানতে হবে।” গুণধর চুপ করিয়া রহিল। ভক্ষণ আপনমনে বলিয়৷ চলিল, “জাল আমারই অজুকুলে রহস্তের রঙমহল છt{{: গুড়িয়ে চলছে; বেশ বুঝছি, যা ভেবেছি, তাই । আচ্ছা, দেখা যকৃ ” তারপর গুণধরকে কহিল, “থাবার ঢাকা আছে খেল্পে শুল্প পড় আমি নিক্সেই পাহারায় রইলুম। ঘণ্টা তিনেক বন্ধে কি একটা শব্দে হঠাৎ জুগিরিত হইয়া গুণধর দেখিল, তরুণ তাঁহায় সিদ্ধারিত স্থানে নাই। ডাংরি আর বিশ্রাম কল্প চলিল না ; লীকাইয়া জনিলার নিকট গিয়৷ দাড়াইল । ম্বেশিল দূরে কে দুইজন চলিয়া যাইতেছে—উভয়েরই ছদ্মবেশ । পিছনের লোকটী বোধ হয় খঞ্জ ; কিন্তু পথ চলিতে বড় ওস্তাদ । ক্টে:রের আলে৷ পূৰ্ণ গগনে ফুটিস্থা উঠার সঙ্গে সঙ্গে সে দেগিল, আগে ইস ক্, পশ্চাতে অনেকখানি দূরে সেই থয় বাড়ীর দিকে আসিভেtছল । উক্তয়েই প্রাঙ্ক, ফ্রাঙ্ক, অবসয় । ইমাকু নিজের বাড়ীতে প্রবেশ করিলেন ; থঞ্চ তাহাজের স্বাড়ীর দিঞ্চে অগ্রসর হইল। প্রশান্ত-মুখে তরুণ গৃঙ্গে আসিয়া বলিল, -খামাথ ওয়া চিঠি পাঠিয়েছে গুণপয়, এই দেণ ।” সূiaছে পঞ্জখানি হাতে লইয়া গুণপুর উল্টাইয়া-পাটাইয়া দেখিঙ্গ ভারপর পুড়িতে লাগিল । ত৫৭ গ্ৰোধেন্দ, লোকে লাখ কিংবা টাকার ক্সঞ্চৈ এ একম মামুধের পিছনে কুকুরবৃত্তি করিতে ছুটে । তোমার চাই কি ? নাথ, তোমার যথেষ্ট আছে ; স্বনাম, ইহ। অপেক্ষ পাইবে না, এটা নিশ্চয় ; অর্থ, কত চাও? আমরাই দিব । নিবৃত্ত হও।” ভক্লশের মুখের দিকে চাহিয়া গুণধর বলিল, -এ চিঠি কোথায় পেলেন ?” তরুণ হাসিয়া বলিল, “সেটা না শুনলেও আপাততঃ চলবে । শুধু এই পৰ্য্যন্ত জেনে রাপ, জ্বলি দুর্ভেদ্য নত্ব । সতর্ক চক্ষু রাখ ; আসামী খুব বেশী দূরে নেই।” গু৭ধয় দেখিল, তরুণের মুখে-চোথে কেমন
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।