や鉛や একটা অদ্ভুত জ্যোত্তি । সে দৃষ্টির নিকট যেন কোন কিছুই লুকাইয়া ছাপাইয়া থাকিতে পারে না। সে ধীরকণ্ঠে বলিল একটু বিশ্রাম করলে হ’ত না ; আবার চল্লেন যে ” তরুণ বেশ হর্সোংফুল্প-কণ্ঠেই বলিল, “কাজ আগে, বিশ্রাম পরে । যেটা কবৃতে হবে, সেটা নিম্পন্ন না হওয়া পর্যাপ্ত আস্বাম কর। মরজের কাজ নয় ॥** তাহার গতিশীল চরণ বাহিরের পূথে মিলাইয়া গেল। গুণধর গবাক্ষ-পথে চাহিয়া দেখিল, ইসাক্সাহেব প্রায় ঝড়ের বেগে ছুটিয়া চলিয়াছেন : পশ্চাতে একজন মুসলমান ফকির। সে পথে গাড়ীর চলাচল খুবই ক্ষম ; কাজেই বহুদূর পর্য্যন্ত দৃষ্টি প্রতিহত হইল না । গুণধর আরও দেখিল, পশ্চাতের ফকির খুব সতর্ক , কারণ, ইসাক্সাহেব হঠাৎ একধায় কি ভাবিয়া পশ্চাতে চাহিলে ফকির একটা গাছের আড়ালে আত্মগোপন ফঞ্জিল । তারপর এমন ভাবে পশ্চাৎ অমুসরণ করিল যে, ইসা নিজের সম্বেছটার উপরেই সন্দেহ করিয়া মাথা নাড় দিয়৷ মগ্রসর হইতে লাগিলেন । ভিন বৰ্দ্ধমানে আসিয়া ইপাকূ-সাহেব লামিয়া পুড়িলেন। তরুণ প্রস্তুতই ছিল ; সঙ্গে সঙ্গে মামিয়া পড়িতে এতটুকু ইতস্ততঃ করিল না। কিছুদূরে একটা দোকাণে অসিয়াইলাক-সাহেব পান-আহার করিয়া লইলেন। তরুণও সম্মুখের এক দোকান হইতে কিছু সীতাভোগ কিনিয়া জলযোগের পালাটা সারিয়া দেওয়াই যুক্তিযুক্ত মনে করিল ; যদিও হিন্দুহোটেলের সাইনবোর্ড সম্মুখেই ছিল, কিন্তু ইসাকুকে চক্ষুর অন্তরালে রাখিতে হইৰে ভাবিয়া সেখানে ঘাইতে হংসা করিল না। প্রায় ঘণ্টাখানেক বাদে ইসাকূ-সাহেৰ গিয়া এঙ্কট ৰাসে উঠলেন। তরূণ গ্ৰন্থতই ছিল ; [নবম বর্ষ শক্ষে সক্ষে সেণ্ড লেই গাড়ীতে ‘সফারে’র পাশ্বে fসয়া বসিল । ভাগ্যে বাসে অারও অন্যান্ত যাত্রী ছিল, তাই ভ তাহার সে কাৰ্য্যটা লোকের উপেক্ষার মধ্যেই রহিয়া গেল ; কাহারও মমে সন্দেহ জাগিল না। ক্রমে ক্রমে সকল যাত্রীই নামিয়া গেল । সফর পিছনের দিকে চাহিয়া ইসাক্কে জিজ্ঞাস) করিল, “আপনি কতদূর স্বাবেল ?” ইসাক খাহা জ্বলিলেন, তাহা বেশ মনোযোগ দিয়া তরুণ শুনিয়ু লইল । তাহার কথার উত্তরে সঞ্চৱ যখন বলিল, “জামার বিট অতদূর নয় ; ভা ছাড়া, আউট যেতে চ’লে দু-তিন স্থানে থান পড়বে। এখনকার র্যাড়ী বড়ই শক্ত বাবুজী : লাইসেন্স নিয়ে ভারী টানাটানি করে ; কাজেই আমি যেতে পারব না ।” ইলা হতাশ-কণ্ঠে বঙ্গিলেন, “তৰে উপায় ? আমার যে বাওয়াই চাই ।” মৃফীল্প বঙ্গিল, “এক কাজ করলে পারেন্স ; জামি এক জায়গায় আপনাকে তুলে দেব,যেখানে ষোড় ও সাইকেল ভাড়া পেতে পারবেন। সেখান থেকে গেলে আপনার স্ববিধেই হবে ; তাই ভাল--কি বলেন " ইশাকৃ স্বীকার করিলেস। তরুণের দিকে চাহিয়া সফল্প তখন বলিল, “আপনি ?” তরুণ ধীরকণ্ঠে বলিল, “আমাকেও সেই ঘোড়াওয়ালার সঙ্গে দেখা করিয়ে দাও । আমি আরও ছ’গ্ৰাম দূরে যাব, অনন্তপুর।” অনন্তপুর বলিয়া সত্যই কোন গ্রাম আছে কি না তরুণের তাহ জানা ছিল না ; কিন্তু কথাটা বেশগঞ্জীরভাবেই শুনাইয়াদিয়া সে স্ট্রাটিয়া-সপটিয়া বসিল । আরও ক্রোশ দুই যাইবার পর সফার বলিল, “এইবার স্থাপনাদের নাবতেহবে। এখান থেকে সোজা উত্তরে গেলে বেঁটে খসরু বলে’ একজন লোক ভাড়া দেয় । বেশী দূর নয় ; রসি
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।