পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬২৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

করিয়া বুঝিয়াই উত্তরে বলিল, তা’ হোক, তবুও আমাদের যেতে হবে। এক একটা লোককে নানাপ্রকার ব্যাধি যেমন করিয়৷ ঘিরিয়া ধরে জগত্তারিণী দেবীকে গু পূজা পাৰ্ব্বণ তিথি-তাড়ণ ঠিক ভেমন করিয়াই ঘিরিয়া ধরিয়াছিল। এমন কোন মুদিন স্বক্ষণ তাহাকে ফঁাকি দিতে পরিক্ত লু। ফেজিন লোক খাওয়ানোর সহজ পুণ্যটুকু সঞ্চয় করিয়া লইস্তে তিনি জুলিয় ঘাইতেন। সক্ষে ছিল তাহার এসব ব্যাপারের বাধা নিমন্ত্রিত ব্যক্তি। ছোটখাট ব্যাপারে এক তাহারই তাক পড়িত, বড় বড় গুলিতেও আর সকলের সঙ্গে সেগু খাজ ঘাইত कt | কি সীমাগু একটা কু-স্থািনের উপলক্ষ করিন্থ। তিনি শৈলেশকে লক্ষ্মীক নিমন্ত্রণ করিয়া পাঠাইলেন । শৈলেশ সন্ত্ৰীক নিমন্ত্রণ রক্ষা করিতে আলিয়া দেখিল, বীণ রন্ধনকার্গো বিশেষরূপে ব্যাপৃত। রন্থিয়াছে । বীণ। শৈলেশ চৈতীকে দেখিয়। অস্তে মাথার কাপড়টা আর একটু তুলিয়া দিয়৷ লশকে হাতাটা মাটিতে নামাইয়। রাখিয় উঠিয়। আসিয়া বলিল, ঠাকুরপে, এত দেরী করে এলে যে ? আমি মনে করি, বুঝি বা ভুলেই গেলে । শৈলেশ মৃদু হাসিয়া বলিল, আমার স্থতিশক্তি সূখন্ধে লোকের ধারণা এই রকমই বটে। কিন্তু বৌদি, সে অপবাদ তো জামার পড়াশুনোর বেলায়, এসব ব্যাপারে আমার তীক্ষ্ণ মেধাকে স্বামার অতিবড় শত্রুঞ্জ যে প্রশংসা না ক’রে পারে না । আবিও করি ঠাকুরপো —বলিয়া চৈতীর সলঙ্গ অবগুণ্ঠন তুলিয়া ধরিয়া বীণা বলিল, জার অামি জানতাম যে, বোলুটি জাম্বার আছে [নবম বর্ষ স্বখন তখন তুমি ইচ্ছে করলেও সহজে এড়াতে পারবে না । চৈতী অন্যদিকে মুখ ফিরাইয়া লইল । শৈলেশ বলিল, সে কথা বলে না বৌদি। আমারই বরং অনেক সাধা-সাধন ক’রে তবে তোমার কোনটিকে রাজী করাতে হয়েচে । প্রশংসার স্বৰী করতে হ’লে তা আমিই করতে পারি। চৈতীয় পা হুইতে মাথা পর্যাঙ্ক একটা অস্বস্তিকর প্রবাহু পেলিয়া গেল । বীণা ইহ। ঠিক আশা করে নাই। মুহূৰ্ত্তেই শৰার সে নিজেকে জয়ত্ব করিয়া লইয়া কহিল, এখন চল’, গুম্বরে গিয়ে বলবে —বলিয়া চৈতীর একটা হাত ধরিয়া সেদিকে অগ্রসর হুইল । দুঃশীরাম এমন সময় বলিল, দাদাবাবু, আমি যে আমার হাম্ভের কাজ ফেলে এসেচি। আমি এখন খাই, আবার এসে নিয়ে স্বাৰ’খন । শৈলেশ দুঃখীরামের প্রস্তাবে সন্মড হুইজে বীণা বলিল, দুঃখীরাম, ঘাবার পথে তোর সম্ভোষ দাদাবাবুকে একটা খবর দিয়ে যাস তো। আচ্ছ। —বলিৰ দুঃশীরাম চলিয়া গেল। শৈলেশ খলিল, সন্তোধের গু নিমস্তয় আছে বুঝি r বীণা বলিল, লোকজন নেই, ঠাকুরপোই ড়ে। জিলিষ-পত্তর যোগাড়-মুস্থ ক’রে দিলে । জগত্তারিণী দেবী দূর হইতে শৈলেশ চৈতীকে লক্ষ্য করিয়া উল্লসিত হইয়া কহিলেন, শৈল এলি ? বেীমা এলো?--তারপরে অকৃপণ স্বাশীৰ্ব্বাদে এই দুইটি তরুণ তরুণীর লক্ষ্মী-বিনম্র শির ছাইয় দিলেন। বীণা তাহদের তত্ত্বাবধানের ভার শ্বাশুড়ীর উপর দিয়া জলমাপ্ত কাজ শেষ কবিতেই আবার চলিয়া গেল ।