و لي6b দিনের জানা-শোনা । শিলংয়ে তিনি একবার তাঁর প্রাণরক্ষণ করেছিলেন। —কোথায় শুমূলে ? বলতে সাহস হচ্ছে না। বালার নিষেধ সত্বেও পুনরায় মনীষা দেবীর বাড়ী গিছলাম, এ কথা শুনে না জানি তিনি হয়ত ভীষণ রেগে উঠৰেন। উত্তর দিতে আমার বিলম্ব হচ্ছে জেগে সাৰা বললেন-কোখার তার সঙ্গে তোমার দেখা হয়েছিল ৰুেতকী ? নিম্নকণ্ঠে বল্লাম—মনীষা দেবীর বাড়ী । আমার কথা শুনে বাবার মুখ দিয়ে অঙ্কুট শঙ্ক নির্গত হ’ল । ভাবলাম, এইবার অামার ওপর উার ক্ৰোধ ফেটে প’ড়বে । কিন্তু তিনি সম্ভবতঃ সে-কথা ভূলেই গেলেন। ঙ্কিপ্রকণ্ঠে বলে উঠলেন—সেখানে সে কি করতে গিয়েছে। --তা" বলতে পারি না। বোধ হয়, সে এখানকার প্রত্যেক বাঙালীর বাড়ী গিয়ে কণি মজুমদারের খোজ করছে। তার বিশ্বাস, সেই লোকই তার দাদাকে হত্যা করেছে । সে স্বলে -- —ঙ্কি বলে ? —সে বলে কণি মজুমদার এই শহরের কোথাও লুকিয়ে অাছে। তাকে খুজে বীর করে তবে সে নিরস্ত হবে । বাবা মাথা নেড়ে তীক্ষ কণ্ঠে বলে উঠলেন— মিথ্যে কথা ! তাকে কোনদিন দেখতে পাবে সা। ফণি মজুমদার বহুদিন মারা গেছে। শাস্ত কণ্ঠে বজাম—সে কথা সে বিশ্বাস করে না । আর কেনই বা তা করবে ? —তার মানে ? —তার মানে সে-কথা সূত্যি নয় । ফণি মজুমদার মারা ধার নি। সে তা জানে। কঠিন বিবর্ণ মুখে বাবা চেয়ার ছেড়ে উঠে গাড়ালেন,-ক্টার মারা দেহ উত্তেজনায় কঁপিছে। iনবম বর্ষ ৰিকুত-কণ্ঠে বলে উঠলেন—কে বললে ; কে বললে, সে ময়ে নি। কাল্প ম্পন্ধা বলে যে ফণি মজুমদার অাজে বেঁচে আছে ? এক মূহূৰ্ত্ত মেীন থেকে অবিচলিত স্বরে ৰাম-বাবা স্বাগ কোরো না। আমিই বলতে পারি সে কথা । আমি জানি, বহুদিন, বহু বছর আগে, তুমি নিজেকে ফণি মজুমদার নামে পরিচয় দিতে। চন্দ্র তোমাকেই খুজছে! যার মুখ থেকেই ধ্বনিত হোক, সত্য যখন আপনাকে প্রকাশ করে তখন তার সেই আকশ্বাং উদঘাটিত দীপ্তির কাছে মানুষের মাথ৷ আপল-থেকে জুয়ে আসে । বাবা আমার কথায় প্রতিবাদ করবার ভাষা খুজে পেলেন না। তিনি পুনরায় টেবিলে ভর দিয়ে ব’লে পড়লেন—ক্টার দুই চোখ যেন অবসন্নতার ভরে নির্মীলিত হয়ে এলে । কয়েক মূহুৰ্ত্ত বিবণ নিম্পন্নভাবে নীরব থাকবার পর স্বত্ব স্বস্তকণ্ঠে বললেন—সে কি তা সন্দেহে করে ? সেই জন্তেই কি সে এখানে এসেছিল ? বল্লাম না ; সে জোমার কাছে তার দাদার সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করতে এসেছিল। তার বিশ্বাস ফণি মজুমদার এই শহরেই আছে। ==কেমম ক’রে তার মনে এ-ধারণা պաitsii r —মে মনীষা দেবীর বাড়ীতে উীর ডুয়ারের মপ্যে ছবি দেখেছে । স্বামীর কথায় স্টার লারা দেহ যেন বজাহত হয়ে গেল ? ধীরে ধীরে তিনি বিছানার ধারে এসে শষ্যার উপর গা মেলে দিলেন। স্টার বাক-শক্তি কে যেন হরণ করে নিয়েছে। তার পায়ের কাছে বসে পারে হীত বুলতে বুলতে বল্লাম—বাবা । অনেক দিন সয়েছি, কিন্তু পারছি নি,-এ-গুপ্ত-ত্বহস্তের গুরুভার তিলে তিলে আমার নিঃশ্বাস কুদ্ধ করে ফেলছে ।
পাতা:গল্পলহরী-নবম বর্ষ.djvu/৬৪৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।