পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y NR o jștig তানের মত, সে হাসি থিয়েটারের এক কোণ থেকে আর এক কোণ পর্যন্ত সাত সুরের বিদ্যুৎ খেলিয়ে গেল। অভিনয়ের দোষে নলের । সজোরে পলায়নটি যে ঈষৎ হাস্যকর ব্যাপার হয়ে উঠেছিল, তা র্যার চোখ আছে তিনিই স্বীকার করতে বাধ্য, কিন্তু সেই হাসিতে বড়বাবুর মাথায় বজাঘাত হল। তার কাণে সে হাসি চিরপরিচিত বলে ঠেক’ল- এ যে পটেশ্বরীর হাসি! যে অঞ্চল থেকে এই হাসির তরঙ্গ ছুটে এসেছিল, সেই অঞ্চলে মুখ ফিরিয়ে, ঘাড় উচু করে নিরীক্ষণ করে তিনি দেখলেন যে, চিকের গায়ে মুখ দিয়ে যে বসে আছে, তার দেহের গড়ন ও বসবার ভঙ্গী ঠিক পটেশ্বরীর মত। অবশ্য চিকের আড়াল থেকে যা দেখা যাচ্ছিল, সে হচ্ছে একটি রমণীদেহের অস্পষ্ট ছায়া মাত্র, কারণ সে বক্সের ভিতরে কোনও আলো ছিল না। তাই নিজের মনের সন্দেহ ঘোচাবার জন্য, তাকে একবার ভাল করে দেখে নেবার জন্য, বড়বাবু দাড়িয়ে উঠে সেই বক্সের দিকে ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে রইলেন। এবারও তিনি সে স্ত্রীলোকটির মুখ দেখতে পাননি, তার চােখে পড়েছিল শুধু কালে কস্তাপেড়ে একখানি সাদা সুতোর শাড়ী। বড়বাবু জানতেন যে, ওরকম শাড়ী তীর স্ত্রীরও আছে। এর থেকে র্তার ধারণা হল যে, ও শাড়ী যার গায়ে আছে, সে নিৰ্ঘাত পটেশ্বরী। তারপর তঁর মনে পড়ে গেল যে, ও শাড়ীর “আঁচড়ে উজোর সোণ|” লুকান আছে। সেই তপ্তকাঞ্চনের আভায় তঁর চোেখ কলসে গেল, তার আঁচে র্তার চোখের তারা দুটি যেন পুড়ে গেল, তিনি চোখ চেয়ে অন্ধকার দেখতে লাগলেন । ও ভাবে দণ্ডায়মান বড়বাবুকে সম্বোধন করে চারদিক থেকে লোকে Sit down, Sit down kā Šegt 45 ti šis tri: ভদ্রলোকটি বললেন-“মশায় থিয়েটার দেখতে এসেছেন, থিয়েটার দেখুন, মেয়েদের দিকে অমন করে চেয়ে রয়েছেন কেন ? আপনি দেখছি অতিশয় অভদ্র লোক ”-এই ধমক খেয়ে তিনি বসে পড়লেন। বলা বাহুল্য, তার পক্ষে অভিনয়ে মনোনিবেশ করা আর সম্ভব হল না। তঁর চোখের উপরে ব্ৰহ্মাণ্ড ঘুরে যাচ্ছিল, আর বুকের ভিতর কত