পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S\9R 外丽不牢交 মনস্থির করলেন যে, তাকে এম. এ. পাসের পর সিভিল সার্ভিসের জন্য বিলেতে পাঠাবেন। বীরেন্দ্রলাল যে সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, সে বিষয়ে তার বাপের মনে কোনও সন্দেহ ছিল না। বিলেতে ছেলে পড়বার টাকারও তীর সংস্থান ছিল। শ্যামলাল জানতেন যে, খাওয়ার উদ্দেশ্য জীবন ধারণ করা, এবং পরার উদ্দেশ্য লজ্জা নিবারণ করা ; সুতরাং তঁর সংসারে কোনরূপ অপব্যয় কিংবা অতিব্যয় ছিল না। কাজেই তার হাতে দশ বারে হাজার টাকা জমে গিয়েছিল। ছেলে কলকাতায় পড়তে যাবার পর থেকে শ্যামলালের দৈনিক জীবনের একমাত্র অবলম্বন হল তঁর কন্যা। ইতিমধ্যে পড়ান। তার এমনি অভ্যাস হয়ে গিয়েছিল যে, কাউকে না কিছু পড়িয়ে তিনি আর একদিনও থাকতে পারতেন না । কাজেই তিনি তঁর সকল অবসর র্তার এই কন্যার শিক্ষায় নিয়োগ করলেন। তঁর যত্নে, তঁর শিক্ষায়, র্তার মেয়ের মন, ফুল যেমন উপরের দিকে, আলোর দিকে মাথা তুলে ফুটে ওঠে,-সেই রকম ফুটে উঠতে লাগল। লোকালয়ের বাইরে থাকায় তার চরিত্ৰও ফুলের মত শুভ্র এবং ফুলের মতই নিষ্কলঙ্ক হয়ে উঠেছিল। শ্যামলাল, তঁর মেয়েকে এত লেখাপড়া শেখাবার, এত বড় করে রাখবার ভবিষ্যৎ ফল যে কি হবে, তা ভাববার অবসর পাননি। তঁর মনে শুধু একটি অস্পষ্ট ধারণা ছিল যে, একদিন তঁর মেয়ের বিবাহ দিতে হবে ; তবে কবে এবং কার সঙ্গে, সে বিষয়ে তিনি কখন কিছু চিন্তা করেননি। তঁর বিশ্বাস ছিল যে, তঁর মেয়ের বিয়ের ভাবনা নেই ; আমন স্ত্রী পেলে, যে-কোন সুশিক্ষিত এবং সচ্চরিত্র যুবক নিজেকে ধন্য মনে করবে। আসল কথা, সমাজ বলে যে একটি জিনিস আছে, সে কথাটা তিনি সমাজ থেকে দূরে এবং আলগা থাকার দরুণ একরকম ভুলেই গিয়েছিলেন। তার মেয়ে যে অনায়াসে 'Tod's Rajasthan 4-3 Plutarch's Lives YIs its, Asir fif তঁর জীবন সার্থক মনে করতেন। ফলে, তঁর ছেলে যখন এম. এ. দেবার উদ্যোগ করছে, তখন তিনি তঁর মেয়ের বিয়ে দেবার কোন