পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ছোটগল্প S6 পাগো বিশ্বাস করতেন না, সুতরাং বাবার আশ্রয় নেওয়াই সঙ্গত মনে করলুম। জানতুম, আঁর আশ্রয়ে জ্বর বিষম হলেও সাবু খেতে হবে না। একদিন রাত দুপুরে রাণাঘাট থেকে একটি প্যাসেঞ্জার-ট্রিনে উত্তরাভিমুখে যাত্রী করলুম। মেল ছেড়ে প্যাসেঞ্জার ধরবার একটু কারণ ছিল। একে ডিসেম্বর মাস, তার উপর আমার শরীর ছিল অসুস্থ, তাই এক পাল অপরিচিত লোকের সঙ্গে ঘেঁসাধোঁস করে অতটা পথ যাবার প্রবৃত্তি হল না। জানতুম যে প্যাসেঞ্জারে গোল সম্ভবত একটা পূরো সেকেণ্ড ক্লাস কমপার্টমেণ্ট আমার একার ভোগেষ্ট BBBB SS SBDBDB BDBD D KS DDD S0 KDSDD SDB DB DBBD DDDS0 পারব, আর কোনও গার্ড-ড্রাইভার গোছের ইংরেজের সঙ্গে একত্রে মে যেতে হবে না, এ বিষয়ে নিশ্চিত ছিলুম। এর একটা আশা ফােলড়িল, আর একটা ফলেনি। আমি লম্বা হয়ে শুতে পেরেছিলুম, কিন্তু ঘুমােত পাইনি। গাড়ীতে একটা বুড়ে সাহেব ছিল, সে রান্ত চারটি পর্যন্ত অর্থাৎ যতক্ষণ হুস ছিল, ততক্ষণ শুধু মদ চালালে। তার দেহের গড়নটা নিতান্ত অদ্ভুত, কোমর থেকে গলা পর্যন্ত ঠিক বোতলের মত। মদ খেয়েই তার শরীরটা বোতলের মত হয়েছে, কিম্বা তার শরীরটা বোতলের মত বলে সে মদ খায়, এ সমস্যার মীমাংসা আমি করতে পারলুম না। যারা দেহের গঠন ও ক্রিয়ার সম্বন্ধ নির্ণয় করে, এ problem-টা তাদের জন্য, অর্থাৎ ফিজিওলজিস্টদের জন্য রেখে দিলুম। যাক এ সব কথা। আমার সঙ্গে বৃদ্ধটি কোনরূপ অভদ্রতা করেনি, বরং দেখবামাত্রই আমার প্রতি বিশেষ অনুরক্ত ত, সে ভদ্রলোক এতটা মাখামাখি করবার চেষ্টা করেছিল যে, আমি জোগে থেকেও ঘুমিয়ে পড়বার ভাণ করলুম। মাতাল আমি পূর্বে কখনও এত হাতের গোড়ায়, আর এতক্ষণ ধরে দেখিনি, সুতরাং এই তাঁর থাটি নমুনা কিনা বলতে পারিনে। সে ভদ্রলোক পালায় পালায় হাসছিল ও কঁদেছিল; হাসছিল-বিড় বিড় করে কি বকে, আর কাদচিল— পরলোকগত সহধর্মিণীর গুণ কীর্তন করে। সে যাত্ৰা গাড়ীতে প্ৰথমেই মানবজীবনের এই ট্রাজি-কমেড়ির পরিচয় লাভ করলুম। আমার পক্ষে