পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নীল-লোহিতের 6नोब्राहे-लैौल trసి পাই, অন্ততঃ খেতে পাব,” এই আশায় তিনি সেখানে থাকাই স্থির করলেন। কিন্তু খাবার আয়োজন দেখে তীর চক্ষুস্থির। চারদিকে তাকিয়ে দেখেন শুধু লঙ্কা, লঙ্কা, আর লঙ্কা! সে লঙ্কা কেউ কুটছে, কেউ বঁটছে, কেউ পিষছে, কেউ ছোিচছে। তার গন্ধতেই তার মুখ জ্বালা করতে লাগল। তিনি ঢোক গিলে মনে মনে বললেন, “এখন উপায় কি, মুণ দিয়েই ভাত খাব।” কিন্তু ভাত সেদিন তাঁর আর কপালে লেখা ছিল না। সে ক্যাম্পেও তার স্থান হল না। সকলে ধরে নিলে যে, তিনি একজন স্পাই। তাঁর যে এ-কুল ও-কুল দুকূল গেল, তার প্রথম কারণ তিনি অজ্ঞাতকুলশীল, আর দ্বিতীয় কারণ এই যে, তার সঙ্গে ব্যাগ-বিছানা কিছুই ছিল না। তিনি ঘর থেকে একছুটে বেরিয়ে পড়েছিলেন, সুরাটের লোকের কাছে এই প্রমাণ করবার জন্য যে, তিনি হচ্ছেন একজন স্বদেশপ্রেমে মাতোয়ারা সন্ন্যাসী। নীল-লোহিত মহারাষ্ট্র-শিবির থেকে যখন বেরিয়ে এলেন, তখন রাত দশটা বেজে গিয়েছে। আর তঁর অবস্থা তখন এই যে, পেটে ভাত নেই, পকেট পয়সা নেই, সুরাটে একটি পরিচিত লোক নেই। সভ্যসমাজের মধ্যে তিনি পড়লেন। দ্বিতীয় Robinson Crus০eার অবস্থায়। ঘোর বিপদের মধ্যে না পড়লে নীল-লোহিতের বলবুদ্ধি খুলত না। সহজ অবস্থায় নীল-লোহিত ছিলেন আর পাঁচজনের মত ; কিন্তু বিপদে পড়লেই তিনি হয়ে উঠতেন একটি Superhman, সংস্কৃতে যাকে বলে অতিমানুষ। তাই পথে বেরিয়েই তাঁর শরীর মনে কে জানে কোথেকে অলৌকিক শক্তি ও সাহস এসে জুটল। তিনি তঁর মনকে বোঝালেন যে, তিনি hunger-strike করেছেন-সভ্যসমাজের অবিচারের বিরুদ্ধে। অমনি তঁর ক্ষুধাতৃষ্ণ মুহূর্তের মধ্যে কোথায় উড়ে গেল। তিনি সঙ্কল্প করলেন যে, এ বিপদ থেকে তিনি আত্মবলে छैक्राद्ध ब्लाङ করবেন। কি করে যে তা করবেন, সে বিষয়ে অবশ্য তঁর মনে কোনও স্পষ্ট ধারণা ছিল না, কিন্তু তঁর ছিল আত্মশক্তির উপর অগাধ বিশ্বাস। সঙ্গে সঙ্গে জাতিবর্ণ নির্বিচারে সকল কংগ্রেসওয়ালার উপর তাঁর সমান অভক্তি জন্মাল, কারণ, তারা যা করতে যায়, তা দল বেঁধে ও পরস্পরের