পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২০২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ δ\ο sists —“হাঁ, চোখে দেখে। আমি একটি জাঁকাল স্বয়ম্বর-সভায় সশরীরে উপস্থিত ছিলুম, আর আমার চােখ বলে যে একটা জিনিষ আছে, তা ত তোমরা সকলেই জান ।” ব্যাপারটা কি হয়েছিল শোনবার জন্য আমরা বিশেষ কৌতুহল প্ৰকাশ করাতে, নীল-লোহিত তঁর বর্ণনা সুরু করলেন :- আমি একদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই একখানি চিঠি পাই, অক্ষরের ছাদ দেখে মনে হল মেয়ের লেখা। তার প্রতি অক্ষরটি যেন ছাপার অক্ষর, আর সেগুলি সাজান হয়েছে সব সরল রেখায়। লেখা দেখে মনে হল পূর্বপরিচিত, কিন্তু কোথায় এ লেখা দেখেছি, তা মনে করতে পারলুম না। শেষটায় চিঠিখানি খুলে যা পড়লুম, তাতে অবাক হয়ে গেলুম। চিঠিখানি এই :- “আপনি জানেন যে বাবা হচ্ছেন সেই জাতীয় লোক, আপনার যাকে বলেন idealist। একটা idea তীর মাথায় ঢুকলে, সেটিকে কার্যে পরিণত না করে তিনি থামেন না । আর অপর কেউ তঁকে থামাতে পারে না, কারণ তঁর পয়সা আছে, আর সে পয়সা তিনি অকাতরে অপব্যয় করেন। বড়মানুষের খোস-খেয়ালও ত একরকম idealism “বাবা যেদিন থেকে পৈতা নিয়ে ক্ষত্ৰিয় হয়েছেন, সেদিন থেকেই তিনি যথাযাধ্য শাস্ত্রানুমোদিত ক্ষাত্রধর্মের চর্চা করছেন। অতঃপর তিনি মনস্থির করেছেন যে, আমাকে এবার স্বয়ম্বর হতে হবে। আমাদের বাড়ীতে আগামী মাঘী পূর্ণিমায় স্বয়ম্বরসভা বসবে। আপনি যদি সে সভায় উপস্থিত হন,-অবশ্য নিমন্ত্রিত হিসেবে নয়, দর্শক হিসেবেত খুসি হই। এরকম অপূর্ব নাটক আপনি কলকাতায় কোন থিয়েটারেও দেখতে পাবেন না । অবশ্য আপনাকে ছদ্মবেশে আসতে হবে । কি করে কি করতে হবে সে সব মেজদা আপনাকে জানাবেন। ইতি भांना ” চিঠি পড়েই বুঝলুম যে এ মািলমীর চিঠি। আমাদের ভিতর কে একজন জিজ্ঞাসা করলেন, “মহিলাটি কে,