পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১০

R 0 8 钢水* সাপের দাঁত। আর সকলেরই বঁ হাতে খাবাপ্ৰমাণ বেতের ঢাল। প্ৰথমে এদের দেখে চিনতেই পারিনি। মাথার চুল এখন আর তাদের কঁধের উপর ঝুলছে না, ছাতার মত মাথা ঘিরে রয়েছে। শুনলুম। মাথার চুল দিনভর ময়দা দিয়ে ঘষে ঘষে ফুলিয়েছে। এই নাকি তাদের যুদ্ধের বেশ। ঠাকুরবাড়ীতে ঢুকে দেখি, নাটমন্দির লোকে লােকারণ্য। আর সুমুখের ঠাকুরদালান খালি, শুধু দু’ধারে দু’সার চেয়ারে বরবাবুরা বসে আছেন। একাধারে সাদা কাপড়ের উপর বড় বড় শালুর লাল অক্ষার লেখা রয়েছে “কৰ্মবীর”, অন্যধারে একই ধাঁচে “জ্ঞানবীর” । ঘোর মূর্থের দলরা হচ্ছে সব কৰ্মবীর, ইংরাজীতে যাকে বলে Sportsujan —তাদের কারও হাতে রয়েছে ক্রিকেট ব্যাট, কারও হাতে টেনিস র্যাকেট, কারও হাতে boxing glowes, কারও হাতে হকি স্টক, কারও হাতে ফুটবল। শুধু একজনের হাতে রয়েছে দেখলুম এক হাত লম্বা একটি খাগড়ার কলম, শুনলুম ইনি হচ্ছেন্ন লিপিবীরা। মধ্যে যেখানে চার ধাপ সিঁড়ি দিয়ে চণ্ডীমণ্ডপে উঠতে হয়, সেখানটা ফাঁক । তারপরে জ্ঞানবীরদের আসন। এর সকলেই ডক্টর-শুধু কারও D-র পিছনে আছে L, কারও L. T, কারও S. C. । কে কোন দলের লোক, তা তাদের মাথার উপরের placard না দেখলে বোঝা যায় না। দু'দলেরই রূপ এক। ব্যাং DBD DDBD S BBD DBSDD BD DDD SS SBDBDB BB DBDB পরস্পরকে অবজ্ঞার চক্ষে দেখছিলেন। রাজাবাহাদুর নাটমন্দিরে ঢুকতেই একটি উচ্চাসনে অর্থাৎ হাইকোর্টের জজের চেয়ারে বসেছিলেন। তঁর এক পাশে ছিল নটনারায়ণ, আর এক পাশে দেওয়ানজী। চণ্ডীমণ্ডপ ও নাটমন্দিরের মধ্যে যে গলিটা ছিল, আমি আমার দলবল নিয়ে সেইখানে গিয়ে দাঁড়ালুম। সকলেরই মাথায় লাল পাগড়ি, গায়ে সাদা চাপাকান, কোমরে তলওয়ার, আর পায়ে নাগরা জুতো; শুধু আমার মাথায় পাগড়ি ছিল ডাইনে নীল বঁায়ে লাল, আর একমাত্র তলওয়ারে ছিল হাতীর