পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

分离(可邻 R8s গ্রীলোকের সঙ্গে তঁর কস্মিনকালেও কোনও কারবার ছিল না, হৃদয়ের দেনাপাওনার হিসেবে তঁর মনের খাতায় একদিনও অঙ্কপাত করেনি। তাই ভদ্রসমাজে তিনি মেয়েদের সঙ্গে দুটি কথাও কইতে পারতেন না, ভয়ে ও সঙ্কোচে তাদের কাছ থেকে দূরে সরে থাকতেন। ইংরেজ ভদ্রলোকেরা ডিনারে বসে যত না খায় তার চাইতে ঢের বেশি কথা কয়। কিন্তু আমাদের নভেলিস্টটি কথা কহঁতেন না-শুধু নীরবে খেয়ে যেতেন। এর কারণ, তিনি ওরকম চর্ব-চোস্য-লোহা-পেয় জীবনে কখনও চোখেও দেখেননি। এর জন্য তাঁর স্ত্রী-চরিত্র সম্বন্ধে বিশেষজ্ঞতার খ্যাতি পাঠিকাদের কাছে কিছুমাত্র ক্ষুন্ন হল না। তারা ধরে নিলে যে, তাঁর অসাধারণ অন্তদৃষ্টি আছে বলেই বাহাজ্ঞান মােটেই নেই, আর তার নীরবতার কারণ র্তার দৃষ্টির একাগ্রতা। ক্রমে সমগ্র ইংরেজ-সমাজে তিনি একজন বড় লেখক বলে গণ্য হলেন ; কিন্তু তাতেও তিনি সন্তুষ্ট হলেন না। তিনি হতে চাইলেন এ যুগের সব চাইতে বড় লেখক। তাই তিনি এমন কয়েকখানি নভেল লেখবার সঙ্কল্প করলেন, যা সেক্সপিয়ারের নাটকের পাশে স্থান পাবে। এ যুগে এমন বই লণ্ডনে বসে লেখা যায় না ; কেননা, লণ্ডনের আকাশ-বাতাস কলের ধোঁয়ায় পরিপূর্ণ। তাই তিনি পান্তাড়ি গুটিয়ে প্যারিসে গেলেন ; কেননা, প্যারিসের আকাশ-বাতাস মনোজগতের ইলেকটি সিটিতে ভরপুর। এ যুগের য়ুরোগ্লের সব বড় লেখক পারিসে বাস করে, আর তারা সকলেই স্বীকার করে যে, তাদের যে সব लॐ নোবেল প্রাইজ পেয়েছে, সে সব প্যারিসে লেখা। প্যারিসে কলম ধরলে ইংরেজের হাত থেকে চমৎকার ইংরেজী বেরয়, জার্মানের কাত থেকে সুবোধ জার্মান, রাসিয়ানের হাত থেকে খাঁটি রাসিয়ান, ३७ांति । প্যারিসের সমগ্ৰ আকাশ অবশ্য এই মানসিক ইলেকঢ়ি সিটিতে পরিপূর্ণ নয়। মেঘ যেমন এখানে ওখানে থাকে, আর छद्ध भी भी থাকে৷ ফাক, প্যারিসেও তেমনই মনের আড়া এখানে ওখানে ছড়ান আছে । কিন্তু প্যারিসের হোটেলে গিয়ে বাস করার অর্থ মনােজগতের दशेंद्र थांक ।