পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৩৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ ७८ठ*4-ञ्चल రీ ঔষধের সাহায্যে তাদের দেহে আবার রক্তচলাচল ফিরিয়ে আনলেন । সে যাই হোক, সমস্ত দিনটা ছোট বড় মাঝারি নানা আকারের নানা নদী পেরিয়ে, সন্ধ্যার সময় সুন্দরবনের খালে ঢুকলুম। ট্রেন সুড়ঙ্গে ঢুকলে যেমন দেহমনের একটি আসোয়ন্তি ঘটে, আমার অবস্থাও হল তাই। খালের দু’পাশে ঘোর বন নয়, ঘন জঙ্গল। অর্থাৎ গাছ নেই, আছে শুধু আগাছা । আর সে আগাছা বেজায় মাথা ঝাড় দিয়ে উঠেছে, দেখতে প্ৰায় গাছের মতই উঁচু। জলজ উদ্ভিদ যেন ডাঙ্গায় চড়ে হঠাৎ নবাব হয়ে উঠেছে। দু’পাশের গাছ সব সুপুরি গাছের মত সরু সরু, কিন্তু তার কাণ্ডগুলি সুপুরির মত মজবুত নয়, সজনে গাছের মত জলভরা আর পত্ৰবহুল। আর সে সব নলের মত এমন ঘনবিন্যস্ত মে, তাদের ফাক দিয়ে আলো-বাতাস আসবার জো নেই। এ সব খালে ঢুকে আমার দম আটকে আসতে লাগল। চলতি স্টীমারের গুণে একটু আধটু হাওয়া পাওয়া যাচ্ছিল, তাই রক্ষে। মনে হচ্ছিল স্টীমার গামলেই হাঁপিয়ে মরব। জাহাজের searchlight-এর পিচকারী জলপথের এই সব চোরা অন্ধকারের গায়ে আলো ছিটিয়ে দিচ্ছিল। আর বিদ্যুতের মত চোেখ ঝলসে দিচ্ছিল। আমি অন্ধকারের জীব নই, আর বাতাসে আমার প্রাণী । এ সব tunnel থেকে কখন বেরল জিজ্ঞেস করায়, সারেঙ্গ বললেন, খানিকক্ষণ পরেই বড় নদীতে গিয়ে পড়ব, আর বারদরিয়ার কোল ঘেসে যাব । তখন আর হাওয়ার জন্য তঁাবতে হবে না । তখন বলবেন, এ হাওয়া থামলেই রক্ষে পাই । G খালের এই অসহ্য গুমটি, উপরন্তু আমার সহযাত্রীদের অফুরন্ত গল্পগুজবে আমি নিতান্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলুম; তাই তাদের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে ক্যাবিনে গিয়ে শুয়ে পড়লুম। তখন রাত প্ৰায় বারোটা। কিন্তু ঘুম হল না। ঘণ্টা দুয়েক আধঘুমন্ত অবস্থায় শুয়ে থাকবার পর আমার জনৈক সহযাত্রা এসে বললেন-“ওঠ, বাইরে চল।” আমি জিজ্ঞেস করলুম-“কেন ?” তিনি ठखद्ध कद्रव्लम--