পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

द्भां,ि १ांझ KD KK রায় মশায় ঘোষালকে চব্বিশ ঘণ্টা ধমকের উপরেই রাখতেন; কিন্তু তার বিরুদ্ধে অপর কাউকেও একটি কথা বলতে দিতেন না। “আমার পাঠ আমি লেজের দিকে কাটিব, কিন্তু অপর কাউকে भूgद्भ দিকেও কাটতে দেব না”—এই ছিল তাঁর 'মটাে'। তিনি তাই একটু १भ ईश द86 -কেন, ওর বুদ্ধির কমতিটি দেখলে কোথায় হে উজ্জ্বলনীলমণি ! তোমাদের মত ওর পেটে বিদ্যে না থাকতে পারে, কিন্তু মগজে ঢের বেশি। বুদ্ধি আছে; তাগমাফিক অমনি একটি যুতসই উপমা লাগাও ত 6श् ि! —আজ্ঞে, ওর বুদ্ধি থাকতে পারে। কিন্তু রসজ্ঞান নেই। --রসজ্ঞান ওর নেই, আর তোমার আছে ? করা ত অমনি একটা রসিকতা ! --আজ্ঞে ঐ রসিকতাই প্ৰমাণ, ওর মনে ভক্তির নামগন্ধও নেই। যার ধৰ্মজ্ঞান নেই, তার আবার রসজ্ঞান ! স্মৃতিরত্ন এ কথা শুনে আর চুপ থাকতে পারলেন না ; বললেন— এ আবার কি অদ্ভুত কথা ! ঘোষালের ধৰ্মজ্ঞান না থাকতে পারে, তাই বলে কি ওর রসজ্ঞান থাকতে নেই ? -অবশ্য না! ও দুই ত আর পৃথক জ্ঞান নয় ? —আমাদের কাছে যা সামান্য, আপনার কাছে ধখন তা বিশেষ, আমাদের কাছে যা বিশেষ আপনার কাছে তা অবশ্য সামান্য ; এ এক নব্যান্যায় বটে ! -শুনুন পণ্ডিত মশায়। যার নাম রসজ্ঞান তারি নাম ধৰ্মজ্ঞান ; আর যার নাম ধৰ্মজ্ঞান তারি নাম রসজ্ঞান। নামের প্রভেদে ত আর বস্তুর প্রভেদ হয় না ? --বলেন কি গোসাইজি ! তাহলে আপনাদের মতে, যার নাম কাম তারি নাম ধর্ম, আর যার নাম অর্থ তারি নাম মোক্ষ ? -আসলে ও সবই এক। রূপান্তরে শুধু নামান্তর হয়েছে। -বুঝছেন না। পণ্ডিত মশায়, কথা খুব সোজা। গোসাইজি বলছেন 86