পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

W8 গল্পসংগ্ৰহ কি যে, যার নাম ভাজা চাল তারি নাম মুড়ি-নামান্তরে শুধু রূপান্তর 枣弧豆1 মদের পিঠা পিঠ এই চাটের উপমা আসায়, রায় মশায়ের পাত্ৰমিত্ৰগণ মহা-খুসি হয়ে অট্টহাস্যে ঘোষালের এ টিল্পনির অনুমোদন করলেন। উজ্জ্বলনীলমণি এর প্রতিবাদ করতে উদ্যুত হবামাত্র, তার মাথার উপর থেকে একটা টিকটিকি বলে উঠল, “ঠিক ঠিক ঠিক” । সঙ্গে সঙ্গে স্মৃতিরত্ন মহাশয়ের প্রস্ফুরিত ও বিস্ফারিত নাসিকারন্ধ হতে একটা প্রচণ্ড সহাস্য “হেঁচ্চ”ধ্বনি নিৰ্গত হয়ে, উজ্জ্বলনীলমণির বক্ষদেশ যুগপৎ হাস্য ও নস্যরসে সিক্ত করে দিলে । তিনি অমনি “রাধামাধব” বলে সরে বসলেন। রায় মশায় এই সব ব্যাপার দেখে শুনে ভারি চটে বললেন --তোমরা কটায় মিলে ভারি গণ্ডগোল বাধালে ত হে ! আমি শুনতে চাইলুম গল্প আর এরা সুরু করে দিলেন তর্ক, আর সে তর্কের যদি কোনও মাথামুণ্ডু থাকে! ঘোষাল! গল্প বল। -হুজুর, এই বললুম বলে। -শীগগির, নইলে এরা আবার তর্ক জুড়ে দেবে। একি আমার শ্রাদ্ধের সভা যে, নাগাড় পণ্ডিতের বিচার চলবে ? উজ্জ্বলনীলমণি বললেন -আজ্ঞে, সে ভয় নেই। যে সভায় ঘোষাল বক্তা, সে সভায় যদি আমি আর মুখ খুলি তা আমার নামই নয় -“ভদ্ৰং কৃতং কৃতং মৌনং কোকিল জলদাগমে।” -পণ্ডিত মশায়ের বচনটি খাপে খাপে মিলে গিয়েছে। কাল যে বর্ষা, তা ত সকলেই জানেন। তার উপর গোসাঁইজির কোকিলের সঙ্গে যে এক বিষয়ে সাদৃশ্যও আছে, সে ত প্রত্যক্ষ। উজ্জ্বলনীলমণির গায়ে এই কথার নখ বসিয়ে দিয়ে ঘোষাল আরম্ভ 夺孤丽一 —তবে বলি, শ্রবণ করুন। -দেখা, মধুর রসের গল্প যেন একদম চিনির পান করে তুলিসনে। একটু মুনকাল যেন থাকে।