পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8R o 帘称不$领 --তুই যত অদ্ভুত কথা বানিয়ে বলছিস । —হুজুর। তাহলে গিয়ীর একটা আজগুবি খেয়ালের কথা শুনুন। খোকাবাবু অনেক দিন বিয়ে করেননি । কারণ বিয়েতে তার আপত্তি ছিল। বিয়ে করা মানে নাকি একটি স্ত্রীলোকের স্বাধীনতা হরণ করা। " —আমর! বলিস কি ? বিয়ে করলে ত পুরুষেরই স্বাধীনতা চলে যায় । —শেষটায় তার বয়েস যখন তিরিশ পেরোল, তখন তার মায়ের খেয়াল হল পুত্রবধুর মুখ দেখতেই হবে। মায়ের খেয়ালের সঙ্গে ছেলের খেয়ালের বাধল ঝগড়া। মায়ের খেয়ালই থাকল বজায় ; খোকাবাবু বিয়ে করলে। তারপর গিয়ীর নিত্যনতুন বিয়ে দেবার নেশা লাগল। বিয়ে মানে তিনি বুঝতেন বাজনাবাদ্য, চোখঝলসানো আলো, অলঙ্কার ও পানভোজন। তার খেয়াল হল, পুত্রবধূর পুতুলের সঙ্গে ওঁদের বন্ধু বোসজার পুত্রবধূর পুতুলের বিয়ে দেবেন। খোকাবাবু একথা শুনে প্ৰথমে মহা চটে গেলেন ; শেষটায় রাজি হলেন, এক্ষেত্রে পুতুলের অসবৰ্ণ বিবাহ হবে, তাই জেনে। কর্তাও এতে মহা আপত্তি করলেন, কিন্তু গিয়ী যখন বললেন যে এ বিয়ের খরচ তিনি দেবেন, তখন আর র্তার আপত্তি টিকিলো না। বোসজা গিন্নার গহনা বন্ধক রেখে টাকাটা যোগাড় করে দেবেন বলবেন । গিন্নীর বারমেসে মহাজন ছিলেন বোসজা। তাতেও বোসজার দু’পয়সা লাভ ছিল। তারপর মাসখানেক গিন্নী বিয়ের জল্পনা-কল্পনায় মত্ত হয়ে রইলেন। মেয়ে তঁদের, ও ছেলে বোসপরিবারের। বিয়ের সময় কোন কোন ক্রিয়াকর্ম অবশ্যকর্তব্য, সে বিষয়ে গিল্পীর সঙ্গে বোসগিন্নীর ঘোর মতভেদ হল । কেউ কারও মত ছাড়বেন না । বোেসগিন্নী বলেন ধর্মকর্মের বিষয়, আমরা কারও কথায় তার একচুলও এদিক-ওদিক করতে পারব না। আর খোকাবাবুর মা বলেন, বনেদি ঘরের চাল আমরা কিছুতেই ছাড়তে পারব না। শেষটায় দাঁড়াল এই যে, এ সম্বন্ধ প্ৰায় ফেসে যাবার জো হল। তারপর গিামীর আদেশে দু’পক্ষের মধ্যস্থতা করতে আমি নিযুক্ত হলুম। আমি গিয়ে বােস গিল্পীকে