পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৪৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8w Rigg শিবের মন্দিরের গায়ে গিয়ে পড়ল ; আর দেখি-মনিরুন্দির সর্বাঙ্গে লাল লাল দাগ, যেন কেউ সিঁদুর দিয়ে তার গায়ে ডোরা কেটে দিয়েছে। মনিরুদি মার খেয়েছে দেখে হেদাৎউল্লা লাফিয়ে উঠে বললে, “ধর বেটা সড়কি।” ঈশ্বর বললে, “ধরছি। কিন্তু সড়কি যেন আমার পেটে বসিয়ে দিও না। জানি তুমি খুনে। কিন্তু এ ত কাজিয়া নয়আপোষে খেলা। আর এই কথা মনে রেখ, রক্ত যেমন আমার গায়ে আছে, তোমার গায়েও আছে।” এর পর সড়কির খেলা সুরু হল। সড়কির সাপের জিভের মত ছোট ছোট ইস্পাতের ফলাগুলো অতি ধীরে ধীরে একবার এগোয়, আবার পিছোয়। এ খেলা দেখতে গা কি রকম করে, কারণ সড়কির ফলা ত সাপের জিভ নয়, দাঁত। সে যাই হোক, হেদাৎউল্লা হঠাৎ “বাপ রে’ বলে চীৎকার করে উঠল। ( . ) তখন তাকিয়ে দেখি তার কজি থেকে ফিনকি দিয়ে রক্ত ছুটছে, আর তার সড়কিখানি রয়েছে মাটিতে পড়ে। ঈশ্বর বললে—“হুজুর, নিজের প্রাণ বাঁচাবার জন্যে। ওর কজি জখম করেছি, নইলে ও আমার পেটের নাড়ীভুড়ি বার করে দিত। আমি যদি সড়কি ওর হাত থেকে খসিয়ে না দিতুম, তাহলে তা আমার পেটে ঠিক দুকে যেত। এ খেলার BDDSBDDDB DB DBB DS SDBDYDB BB BDBDSDD DB করতে।” হোদাৎউল্লার রক্ত দেখে লেঠেলদের মাথায় খুন চড়ে গেল, আর সমস্বরে ‘মার বেটাকে” বলে চীৎকার করে তারা বড় বড় লাঠি নিয়ে ঈশ্বরকে আক্রমণ করলে। ঈশ্বর একখানা বড় লাঠি দু'হাতে ধরে আত্মরক্ষা করতে লাগল। তখন আমি ও নায়েব বাবু দুজনে গিয়ে লেঠেলদের থামাতে চেষ্টা করতে লাগলুম। হুজুরের হুকুমে তারা সব তাদের রাগ সামলে নিলে। তা ছাড়া লাঠির ঘায়ে অনেকেই কাবু হয়েছিল; কারও মাথাও ফেটে গিয়েছিল। সুধু ঈশ্বর এদের মধ্যে থেকে অক্ষত শরীরে বেরিয়ে এসে আমাকে বললে, “আমি সুধু এদের