পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bांद्र-शेव्रांद्रौ-रुथ ويل সেইক্ষণে আমি বুঝেছিলুম যে, আমার জীবনে একটি নূতন জ্বালার সৃষ্টি হল,-আমি চাই আর না চাই, তোমার জীবনের সঙ্গে আমার জীবনের চিরসংঘর্ষ থেকেই যাবে। —-এ সব কথা ত এর আগে তুমি কখন বলনি। —ও কানে শোনবার কথা নয়, চোখে দেখবার জিনিষ । সাধে কি তোমাকে আমি অন্ধ বলি ? এখন শুনলে ত, এস সমুদ্রের ধারে গিয়ে বসি । আজকে তোমার সঙ্গে আমার অনেক কথা আছে । যে পথ ধরে চলুম। সে পথটি যেমন সরু, দু’পাশের বড় বড় গাছের ছায়ায় তেমনি অন্ধকার। আমি পদে পদে হোচট্ট খেতে লাগলুম। “রিণী” বললে “আমি পথ চিনি, তুমি আমার হাত ধর, আমি তোমাকে নিরাপদে সমুদ্রের ধারে পৌছে দেব।” আমি তার হাত ধরে নীরবে: সেই অন্ধকার পথে অগ্রসর হতে লাগলুম। আমি অনুমানে বুঝলুম যে, এই নির্জন অন্ধকারের প্রভাব তার মনকে শান্ত, বশীভূত করে আনছে। কিছুক্ষণ পর প্রমাণ পেলুম যে আমার অনুমান ঠিক। মিনিট দশেক পরে “রিণী” বললে—“সু, তুমি জানো যে তোমার হাত তোমার মুখের চাইতে ঢের বেশি সত্যবাদী ?” --তার অর্থ ? —তার অর্থ, তুমি মুখে যা চেপে রােখ, তোমার’হাতে তা ধরা পড়ে। - সে বস্তু কি ? -CN52 | --তারপর ? --তারপর, তোমার রক্তের ভিতর যে বিদ্যুৎ আছে, তোমার আঙ্গুলের মুখ দিয়ে তা ছুটি বেরিয়ে পড়ে! তার স্পর্শ সে বিদ্যুৎ সমস্ত শরীরে চারিয়ে যায়, শিরের ভিতর গিয়ে রি। রি করে । —"রিণী, তুমি আমাকে আজ এ সব কথা এত করে বলচ কেন ? এতে আমার মন ভুলবে না, শুধু অহঙ্কার বাড়বে।—আমার