পাতা:গল্পসংগ্রহ - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৯৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

उांछऊि SVG জানতুম না,-গড়নে কক্ষে ফুলও এর কাছে হার মানে। মাদকতার আধার যে সুন্দর হওয়া দরকার, এ জ্ঞান দেখলুম। এদেরও আছে। প্ৰথমে এদের এই ধূমপানোৎসব দেখতে আমার আমোদ বোধ হচ্ছিল, কিন্তু ক্ৰমে বিরক্তি ধরতে লাগল। ছিলেমের পর ছিলেম পুড়ে যাচ্ছে, অথচ দেখি কারও ওঠবার অভিপ্রায় নেই। এদের গাজা খাওয়া কখন শেষ হবে জিজ্ঞাসা করাতে, সর্দারজী উত্তর করলেন--- “হুজুর, এদের টেনে না তুললে এর উঠবে না, সুমুখে ভয় আছে তাই এরা গাঁজায় দম দিয়ে মনে সাহস করে নিচ্ছে।” আমি বল্লম, “কি ভয় ?” সে জবাব দিলে, “হুজুর, সে ভয়ের নাম করতে নেই। একটু পরে সব চোখেই দেখতে পাবেন ।” এ কথা শুনে ব্যাপার কি দেখবার জন্যে আমার মনে এতটা কৌতুহল জন্মাল যে, বেহারিাগুলোকে টেনে তোেলবার জন্যে স্বয়ং তাদের কাছে গিয়ে উপস্থিত হলুম। দেখি, যে-সব চোখ ইতিপূর্বে যকৃতের প্রভাবে হলুদের মত হলদে ছিল, এখন সে-সব গঞ্জিকার প্রসাদে চুণ-হলুদের মত লাল হয়ে উঠেছে। প্রতি লোকটিকে নিজের হাতে টেনে খাড়া করতে হল, তার ফলে বাধ্য হয়ে কতকটা গাঁজার ধোঁয়া আমাকে উদারস্থ করতে হল ; সে ধোঁয়া আমার নাসারান্ধে, প্ৰবেশ লাভ করে আমার মাথায় গিয়ে চড়ে বসল। আমনি আমার গা পাক দিয়ে উঠল, হাত পা ঝিমঝিম করতে লাগল, চোখ টেনে আসতে লাগল, আমি তাড়াতাড়ি পাস্কিতে গিয়ে আশ্রয় মিলুম। পান্ধি আবার চলতে সুরু করল। এবার আমি পাস্কি চড়বার কষ্ট কিছুমাত্র অনুভব করলুম না, কেননা আমার মনে হল যে শরীরটে যেন আমার নয়অপর কারো । খানিকক্ষণ পর,-কতক্ষণ পর তা বলতে পারিনে,--বেতারাগুলো সব সমস্বরে ও তারস্বরে চীৎকার করতে আরম্ভ করলে। এদের গায়ের জোরের চাইতে গলার জোর যে বেশি, তার প্রমাণ পূর্বেই পেয়েছিলুম, --কিন্তু সে জোর যে এত অধিক, তার পরিচয় এই প্রথম পেলুম। এই কোলাহলের ভিতর থেকে একটা কথা স্পষ্ট শোনা যাচ্ছিল-সে হচ্ছে রামনাম। ক্রমে আমার পাড়েজীটিও বেতারাদের সঙ্গে গলা