পনেরো টাকা দামের সিল্কের ছাতাটা! ছাতা ফিরবে না, ফাউণ্টেন-পেনও ফিরবে না, কিন্তু সব চেয়ে আরামের কথা হচ্ছে— সেও ফিরবে না।
কী বল দাদামশায়— তোমার সেই ফাউণ্টেন-পেন, সেই ছাতা, তুমি ফিরে পাবে না?
ভদ্র বিধান -মতে ফিরে পাবার আশা নেই।
আর, অভদ্র বিধান -মতে?
ভালোমানুষের কুষ্ঠিতে সে লেখে না।
আমি তো ভালোমানুষ নই, আমি তাকে চিঠি লিখব— তোমার সে কথা জানবার দরকার হবে না।
আরে ছি ছি, না না, সে কি হয়। আর, লিখে হবেই বা কী। সে বলবে, আমি নিই নি।
জানি, ও তাই বলবে। কিন্তু, আমরা যে জেনেছি ও চুরি করেছে, সেইটেই ওকে আমি জানাতে চাই।
সর্বনাশ! ঠিক সেইটেই ওকে জানাতে চাই নে— ভদ্রলোকের ছেলে চুরি করেছে— ছি ছি, কতবড়ো লজ্জার কথা! আমার এমন কত গেছে, তুমি তখন জন্মাও নি। তখন ব্রাউনিঙের কবিতার আদর নতুন বেড়েছে। খুব আগ্রহ করে পড়ছিলুম। আমার সাহিত্যিক বন্ধুকে উৎসাহ করে একটা কবিতা পড়ে শোনালুম। তিনি বললেন, এ বইটা আমার নিশ্চয় পড়া চাই, তিন দিন পরেই ফিরিয়ে দেব। আমার মুখ শুকিয়ে গেল। বললুম, এটা আমি এখন পড়ছি। এতই ভালোমানুষের স্বরে বলেছিলুম যে, বইটা রাখতে পারা গেল না। দিন কয়েক পরে খবর নিয়ে জানলুম, তিনি গেছেন একটা মকদ্দমার তদবির করতে বহরমপুরে। ফিরতে দেরি হবে। আমার জানা হকারকে ব’লে দিলুম, ব্রাউনিঙের